গল্পটা তিন ভাইয়ের। আমাদের বর্তমান জেনারেশন না। সত্তর দশকে কোনও প্রচুর জমি জামা ওয়ালা একজন লোকের ঘরে জন্মায় এই তিন ভাই। বয়সের বেশি ডিফারেন্স নেই। আমি হয়তো এই তিন ভাইয়ের কোনও একজনের সবচেয়ে ছোট ছেলেটা...
এই তিন ভাই বড় হতে লাগলো সময়ের সাথে সাথে। এই তিনজন আলাদা আলাদা ভাবে, স্ট্রাগল করে বড় হল, সামর্থবান হল, একজন অন্য জনের থেকে ক্ষমতাবান হল। তিন জনই দারুণ পার্সোনালিটির অধিকারী। সময় তো কারও জন্য থেমে থাকে না। ধীরে ধীরে এই তিন জনের সন্তানরাও বড় হতে থাকলো।
পৃথিবীর মাত্র একটা জিনিস এই তিন ভাইকে, চির শত্রু করে দিতে পারল। একটু আকটু পারিবারিক কলহ হয়তো সব পরিবারেই থাকে। কিন্তু এখনে পারিবারিক কলহটা যুদ্ধে পরিণত হল। এক মাত্র এবং শুধু একমাত্র পৈতৃক সম্পত্তির জন্য। একজন অন্যজনের রক্ত পিপাসী হয়ে উঠল। পৈতৃক সম্পত্তি ভাগ হল, একজন অন্যজনকে ঠকাতে লাগলো, মামলা মকোদ্দেমা হল, অশান্তি হল আর সবশেষে এই রক্তের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেল।
গল্পটা হয়তো আমাদেরই বাবা-চাচাদের। এই গল্প হয়তো আপনি ছাড়া আর কেউ জানে না। লেখাটা পড়ে মনে হবে,আপনার গল্প আমি জানলাম কিভাবে!
আমাদের জেনারেশনটা বড় রক্ত প্রবণ, আমাদের বাবা-চাচাদের সম্পর্কের মতো না। রক্তের সম্পর্কের প্রতি একটা আলাদা টান আছে। আমাদের কাছে হয়তো বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তির লোভ থেকে, একসঙ্গে খুনসুটিতে পুকুর থেকে সদ্য তোলা মাছের দোঁপিয়াজি আর ডাবের পানি খাওয়া অনেক আনন্দের। দেখি সময় কি বলে...
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬