.
.
.
...Dreams from My Father, Steve Jobs, No Easy Day, দ্য রেপ অব বাংলাদেশ; প্রতিটা বই কয়েক পাতা পড়ে রেখে দিয়েছি। লাইব্রেরিতে যাই না অনেক দিন। লেখাপড়াও হচ্ছে না। কেন জানি কিছুই পড়তে ইচ্ছে করে না।
আবার নতুন করে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখা শুরু করেছিলাম। খুব একটা এগোতে পারি নি। কোড দেখলেই কেন জানি মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে। প্রথম রোজার পর আর কলেজেও যাওয়া হয় নি। আসলে খুব প্রয়োজন না হলে বাসা থেকে বের হচ্ছি না
জীবনটা কেমন যেন থমকে গেছে। সারা দিন প্রায় কিছুই করি না। ১২ টার দিকে ঘুম থেকে উঠি। উঠে নেটে বসি। ফেবুর নোটিফিকেশন চেক করি। ক্রিমিনাল কেস আর পুল খেলি খানিকটা। এভাবে কিভাবে যেন ইফতার তারপর সেহরির সময় হয়ে যায়। চারটা সারে চারটার দিকে ঘুমাই, ১২ টায় উঠি। ইফতার সেহেরি করি। আবার ঘুমাই, উঠি। এভাবেই চলছে। জীবনটা স্থির হয়ে আছে। কেবল সময় বয়ে যাচ্ছে। মহামূল্যবান সময়।
হঠাৎ হঠাৎ বিষ বাষ্পে টান দিতে খুব ইচ্ছে করে। অনুভূতিগুলো কেমন যেন ভোতা হয়ে আছে। কোন কিছুতে খুব একটা বিচলিত হচ্ছি না। কিছু লিখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু কি লিখব?
এবারের রোজাটাও নষ্ট করলাম। লক্ষ্য ঠিক করার পর পাঁচ বছর পার হয়ে গেলেও লক্ষ্যের দিকে পাঁচ আঙ্গুলও এগোতে পারি নি।
আমাকে আবার হতাশ ভাববেন না যেন। আমি হতাশ নই। আমি কিছুতেই হতাশ হই না। আমি স্বপ্নবাজ। আমি স্বপ্নে বাঁচি। স্বপ্নবাজরা কখনও হতাশ হয় না। তবে আমি খানিকটা বিষণ্ণ। ঠিক জানি না কেন।
চার দিকটা সব সময় কেমন যেন ধোয়াচ্ছন্ন ধোয়াচ্ছন্ন মনে হয়। মাঝে মাঝে খাটের মাঝখানে আসন গেড়ে বসে থাকি। আবার কখনোবা মেঘ ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে হয়। একটা ভালো ক্যামেরা থাকলে আপনাদের মেঘের কিছু রূপ দেখাতে পারতাম। যে রূপে মেঘ শুধু আমার জন্য সাজে। আমার বাল্য বন্ধু মেঘ। কিংবা ঐ চাঁদ। যে মাঝে মাঝেই আমাকে ডাকে। ইচ্ছে করে দন্ত্যন হয়ে বাড়ি ছেড়ে কয়েকটা দিন রাস্তায় কাটিয়ে আসতে।
সম্ভবত ঝড় আসছে। মনের মাঝে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সমস্ত পাপ-পঙ্কিলতা কালো মেঘে হয়ে মনের আকাশ ঘিরে ফেলেছে। আসুক ঝড়। কালো মেঘেরা গাল বেয়ে ঝরে পরে নতুন সূর্যের আলো জ্বলে উঠুক হৃদয়ে। নিয়ে যাক আমায় আমার লক্ষ্যে।।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৩