হায়রে অভাগা দেশ
স্বাধীন বাংলায় যুদ্ধাপরাধীর দেখি আজ একি বেশ।
কোথায় তাহারা থাকিবে লুকায়ে আলোহীন কোন কূপে
অথচ তাহারা গলাবাজি করে রাজনীতিকের রূপে।
বৃটিশ বেনিয়া সাতচল্লিশে দেশ ছাড়িবার পর
ধর্মের লাগি বাঙালি বাধিল পাকিস্তানে ঘর।
পাকিস্তান নামে সেই দেশে আসিলনা কভু সুখ
বাঙালি হলনা পাকি আর কভু বাড়িল কেবলি দুঃখ।
অত্যাচারের চাকায় পিষ্ট বাঙালি উঠিল ক্ষ্যাপিয়া
আন্দোলনে আগুন ছড়ালো সারা বাংলা ব্যাপীয়া।
বাঙালির পাশে রইলনা শুধু অল্প কিছু বাঙালি
নিজেদের পাপ সিদ্ধ করিতে ধর্মের নাম ভাঙালি।
স্বাধীন বাংলায় কিছুদিন তোরা চুপচাপ ছিলি ভালো
আজকে দেখি তোদের স্পর্ধা সব সীমা ছেড়ে গেলো।
বাঙালি হয়ে জন্ম নিয়ে করিলি পাকির সেবা
ঘৃনার সাথে স্মরণ করি ভুলিতে পারিবে কেবা?
রাজাকার নামে বাহিনী করিলি বাঙালি করিতে ধ্বংস
আল শামস আর আল বদরও একি কাজে নিল অংশ।
পাকিস্তানী হানাদার আর রাজাকারদের চেষ্টা
ধ্বংস করিয়া স্বাধীন হইলো আমাদের এই দেশটা।
গণহত্যার অপরাধে শুধুই পাক হানাদার দোষী নয়
রাজাকারও সমান পাপী আইন মোতাবেকেই তাহা কয়।
কিন্তু দেখো ষ্পর্ধা ওদের এতই বেড়েছে আজ
একাত্তরে ওদের কর্ম বলে নহে পাপ কাজ।
বাংলাদেশের দেশপ্রেমী সব নিবেদিত বোন ভাই
শপথ আজিকে যুদ্ধাপরাধীর কোনই ক্ষমা নাই।
দেশের লাগি লক্ষ শহীদ দিল যদি তাজা প্রাণ
এই দেশেরই সন্তান মোরা একি সুরে গাবো গান।
যাহারা সেদিন জড়িত ছিল বাঙালি জাতি ধ্বংসে
বিষ দাঁত আজ ভেঙে দিতে হবে পাছে ফের যদি দংশে।
যুদ্ধাপরাধী বাংলার সব বদর শামস আর রাজাকার
নতুন প্রজন্ম ফরমান হাতে কার পাপে কত সাজাকার।