মন্থর গতির এক দুর্দান্ত থ্রিলার/সাস্পেন্স ! এটা পড়ে আমি একধরনের ঘোরের মধ্যে চলে যাই (সপ্তাহ খানেক ধরে ঘোরের মধ্যে আছি

জ্যোৎস্না রাতে এক নগ্ন নারীর লাশ আবিষ্কার করে গ্রামের তরুণ স্কুল মাস্টার। খুনী সেই দরিদ্র স্কুল মাস্টারের আশ্রয় দাতা পরিবারেরই একজন। কাজেই বিষয়টা চেপে যায় সে। কিন্তু পরবর্তীতে অন্তর্দন্দে ভুগতে থাকে - একদিকে সত্য প্রকাশ করতে না পারার বেদনা অন্যদিকে তার আশ্রয় এবং শিক্ষাকতার পেশাটা হারানোর ভয়।
এই শিক্ষক শুধু যে একটা হত্যাকান্ডের বিষয়ে অবগত তা নয়, হত্যাকারীর আহ্বানে লাশ গুম করার ব্যাপারে একজন সহকারীও !
সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ অসাধারণ দক্ষতায় এই স্বল্প পরিসরে গড়ে ওঠা প্লটের উপরই একধরনের আলো-ছায়ার খেলা খেলেছেন। ঘটনার প্রেক্ষিতে একজন লোকের মনস্তাত্ত্বিক অবহ থেকে বাস্তবে ফিরে আসা অতঃপর আবার মনস্তাত্ত্বিক জগতে ফিরে যাওয়ার যে বর্ননা তা আপনাকে পাঠক হিসাবে বাস্তব অবাস্তবের এক ঘোরের মধ্যে নিয়ে যাবে। আসলে আমি বুঝাতে পারলাম বলে মনে হল না, ঠিক আছে ‘ইন্সেপশন’ মুভির মধ্যে এই জিনিস্টা আছে

_____________
* লেখক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনে মাত্র ৩ টি উপন্যাস, ৩ টি নাটক এবং কিছু ছোটগল্প লিখে গিয়েছেন। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে, ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর ফ্রান্সের প্যারিসে তাঁর মৃত্যু হয়, গভীর রাতে অধ্যয়নরত অবস্থায় মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়।
* চাঁদের আমবস্যা উপন্যাসটি লেখা হয় ফ্রান্সের একটি গ্রামে। তখন এটার ইংরেজি অনুবাদ ও বের হয়। (Dark Moon/ Night of no moon)
যাই হোক চাঁদের আমবস্যা সহ তাঁর বাকি ২ টি উপন্যাসকে (লালসালু, কাঁদো নদী কাঁদো) বলা চলে একেকটা মাস্টারপিস।