somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

***“৩টি ছেলে এবং একটি মেয়ে”*** (পূর্ণাঙ্গ ছোট গল্প)

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দূরে অন্ধকারে কিছু হিরোইন-গাঞ্জাখোর বসে আছে। মুখের কাছে লাল আগুনের বিন্দু দেখা যাচ্ছে। হালকা আলোতে ধোঁয়াও দেখা যাচ্ছে। চারপাশে লোকজন খুব কম। আমি, জিয়া আর কনক রেললাইনে বসে আছি। হাতে একটা আঁকাবাঁকা কয়েন। গরম হয়ে আছে। মাত্র ট্রেনের চাকার নিচে দিয়েছিলাম। কয়েনটা হাতে নিয়ে আমি ওদেরকে উঠার জন্য তাড়া দিচ্ছি, “চলো তো, বাসায় যামু, ৯টা বাজে”। ১০ মিনিট পরে আমরা বাসার পথে হাঁটছি। বাসায় যাওয়ার পথে একটা মার্কেট পড়ে। মার্কেটটা হল বাসায় যাওয়ার শর্টকাট।



এখন রমজান মাস, দিনের বেলা সিয়াম সাধনা, এবং রাতের বেলায় শপিং। এই হল মেয়েদের রুটিন। এই সময়ে এই পোশাকের দোকানগুলোতে থাকে বেসম্ভব ভিড়। আমরা এখন আমাদের চারপাশে সেই ঠেলা খাওয়ার ফিলিংস পাচ্ছি। ঠেলার নাম বাবাজি। কিন্তু এখানে যে মহিলারা ধাক্কাধাক্কি করছেন। বলা যাবে না, কেমন সেই সুখকর ফিলিংস...............।



অনেক কষ্ট করে বের হয়ে হলাম। সামনে জুতার মার্কেট। আহ... আরেকটু পথ বাকি। তাড়াতাড়ি পা বাড়ালাম। হঠাৎ একটা মেয়ের সাথে আমাদের প্রায় ধাক্কা লেগে গেলো। আমি সরি বলতে গিয়ে থমকে গেলাম। কি দেখলাম আমি !!! এক মুহূর্তে চোখ যেন ঝলসে গেলো। অসাধারণ সুন্দর, চাঁদের মতো মুখটা ঝিলিক দিচ্ছে। খোলা চুলগুলো মুখের সামনে এসে ঝুঁকে পড়লো। মেয়েটা আমাদের দেখে খুব মিষ্টি করে হাসি দিয়ে বলল ‘সরি’। আমি তো ওখানেই শেষ। আমি মেয়েটার দিকে হা করে তাকিয়ে আছি। জিয়া আমার কাঁধে হাত রেখে আর্তনাদ করলো, “মাম্মাহহহহ। দেখসো কি চিজ............!!!! একদম পেস্ট্রিকেকের লাহান মুখ, পুরো মাখন আর মাখন, গরমে গলে পড়ে যাবে মনে হচ্ছে”। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো বললাম, “চলো তো দেইখা আসি কি করে...”। আর কনক আমাদের ঠেলছে, “তোরা চল তো মামা, এখন তো পাবলিকের হাতে মাইর খাওয়াবি”। টানাটানি করে কনক বের করে আনল আমাদের। এখনও আমাদের ব্রেন হাং হয়ে আছে। মাথার ভিতরের ভিডিও রেকর্ডারটা দিয়ে বারবার সেই মুখটা দেখছি। বাইরে দাড়িয়ে আছি এখন আমরা। ঠাণ্ডা বাতাসে লাগিয়ে মাথা ঠাণ্ডা করছি।



হঠাৎ করে আবার যেন কি হল... ওদেরকে বাইরে পাহারা দিতে বলে দ্রুত হেঁটে মার্কেটে ঢুকে গেলাম। আবার সেই মহিলাদের ভিড় পেরিয়ে, ৩ তলার ওভারপাসে দাড়িয়ে গেলাম একনজর মেয়েটাকে দেখার জন্য। মার্কেটের ভিতরে আমার ১ জোড়া আর বাইরে ২ জোড়া চোখ ওকে দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। হঠাৎ দেখি সিঁড়ি দিয়ে ৩ তলায় উঠছে সে, সাথে আবার মাও আছে। কি করব আমি চিন্তা করতে করতে পাশের দোকানের সামনে দাড়িয়ে গেলাম। দেখছি মেয়েটা কই গেলো। একটু পর মেয়েটা দোকানের বাইরে আমাকে দেখে মিটিমিটি হাসছে। আমি তো বেকুব বনে গেলাম। আমি মেয়ের দিকে তাকিয়েই রইলাম। যতক্ষণ দোকানে ছিল, তার সাথে আমার চোখাচোখি হচ্ছিল। লিপস্টিক কিনে বের হয়ে গেলো সে। আমি ছেলেটাকে ধন্যবাদ দিয়ে বের হয়ে গেলাম। আবার ওভারপাসে দাঁড়ালাম আমি। মেয়েটা দেখি জামা কিনতে ২ তলার দোকানে ঢুকল। আমি দৌড়ে গেলাম। দোকানের বাইরে একটু দূরে দাড়িয়ে আছি। কিছুক্ষণ পর খালি হাতে বাইরে বের হল সে। আমাকে দেখে একটু চমকে উঠলো। তারপর দেখলাম শপিং ব্যাগগুলো গুনছে। ওহো... শপিং শেষ ওদের। বাসায় যাবে এখন, স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।



একটু পর মেয়েটা জুতার মার্কেটের ভিতর দিয়ে বের হল। সে আর তার মা, ২ জন ব্যাগগুলো নিয়ে হাঁটছে। চাঁদের আলোয় আমরা তার পিছুপিছু যাচ্ছি। দূরে দেখা যাচ্ছে কতোগুলা ল্যাম্পপোস্ট। হঠাৎ খেয়াল করলাম রাস্তায় আর কোন মানুষ নেই। তাই না দেখে মেয়েটা বারবার পিছে তাকাচ্ছে। ওর মাকে কিছু বলছে না, কিন্তু বারবার পিছনে আমাদের দিকে তাকাচ্ছে। এখন আমরাই অস্বস্তিতে পড়লাম। মেয়েটার চেহারায় ভয়ের চিহ্ন প্রবল। আমার মনে হচ্ছে আমি অত দূর থেকেও তার চোখ দেখতে পাচ্ছি। ভীত হরিণীর চোখ সবচেয়ে সুন্দর হয়। আমরা দাড়িয়ে গেলাম। “ফলো করে লাভ নাই, পৌনে ১০ টা বাজে, বাসায় চল” – তাড়া দিচ্ছে কনক। আমি বিরক্ত হয়ে বললাম, এটাই আমাদের বাড়ির রাস্তা, এখান দিয়ে না গেলে আবার ঘুরে যেতে হবে”।

হঠাৎ আমার মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো। আমরা তাড়াতাড়ি হেঁটে ওদের পার করলেই তো বুঝবে যে আমরা বিপদজনক নই, ওর কোন ক্ষতি করতে চাই না। সেই হিসাব করে দ্রুত হাঁটতে লাগলাম। আমরা নির্জন রাস্তায় সমান্তরাল হয়ে যেতেই মেয়েটা তার মাকে ধরে একটা বিল্ডিঙের নিচে চলে গেলো। আমি পিছনে ফিরে দেখলাম তার চোখের ভয়। অসাধারণ সুন্দর চোখ দুটি যেন ভয়ে আরও বেশি জ্বলজ্বল করছে। আলোতে দেখলাম মেয়েটা ঠোটদুটো চেপে ভ্রু কুঁচকে আমাদের দিকে ভীত চাহনি দিচ্ছে।



একসময় আমরা ওদের ছাড়িয়ে গেলাম। আমি বাসার রাস্তা না ধরে অন্য রাস্তায় গেলাম। সামনে রাস্তাটা একদম স্কেলের মতো সোজা। আমরা হাঁটছি। ঘাড় ঘুরিয়ে জিয়া দেখল যে ওরা আমাদের পিছনে। আমরা আস্তে আস্তে হাঁটছি। “জিয়া, ওইখানে একটা দোকান। চল ওয়েট করি। দেখি ওরা কোথায় যায়” – আমি উত্তেজিত। দোকানের ভিতর ঢুকে আমরা কথা বলতে লাগলাম। টাইমপাস করা কথাবার্তা শেষ হওয়ার আগেই কনক আমাকে টেনে নিয়ে গেলো। আবার হাঁটা শুরু হল। জিয়া পিছনে ঘুরে দেখল ওরা ওই দোকানে ঢুকেছে। “আমিও যাবো” বলে একটা দৌড় দিতেই কনক আমার টি-শার্টের কলার ধরে টান দিয়ে কলার বড় করে ফেলল।



এইবার আমরা আরেকটু হেঁটে সামনের ভ্যানগাড়ির উপর গিয়ে বসলাম। কনক জিয়াকে গুতাচ্ছে বাসায় যাওয়ার জন্য। ওরা আমাকে রেখে সামান্য এগিয়ে যেতেই আবার জিয়া ব্যাক করলো। ওর মুখে হাসি দিয়ে বলল, “আরেহ মিয়া নাটকের শেষই তো দেখলাম না”। বলেই আমার পাশে বসে পড়লো। অগত্যা কনককেও বসতে হল। কিছুক্ষণ পরে মেয়ে এবং মা আমাদের পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। মেয়েটার চোখে চোখ পড়লো। ওর চোখে রাজ্যের বিস্ময় দেখলাম। মাঝে মাঝে মেয়েটা ঘাড় ঘুরিয়ে আমাদের দিকে তাকাচ্ছিল। তারপর ওরা মোড় ঘুরে মেইন রোডে চলে গেলো।



কিছুক্ষণ বসে রইলাম আমরা। আবার কি যেন হল আমার............ আবার দৌড় দিলাম আমরা ৩ জন। মেইন রোডে চলে গেছে। এইবার হারালে আর খুজে পাওয়া যাবে না। মেইন রোডে একটাও গাড়ি নেই। ১-২ টা রিকশা যাচ্ছে। রাস্তার মাঝখানে গিয়ে ঘুরতে লাগলাম। ওকে খুজে পাচ্ছি না। চারপাশে অন্ধকার। হঠাৎ অনেক দূরে একটা ল্যাম্পপোস্টের আলোতে দেখলাম একটা মহিলা আর একটা মেয়ে। এইবার ঝেড়ে দৌড় দিলাম। অনেক দূর চলে গেছে ওরা। ওদের কাছে চলে এলাম। আরেকটু সামনে গিয়ে গেলাম ওদের চেহারাটা দেখার জন্য।



না না না। এই মেয়ে সেই মেয়ে নয়। হারিয়ে ফেলেছি ওকে। দাড়িয়ে হাঁপাতে লাগলাম। একে অপরের মুখের দিকে তাকালাম। সবাই হতাশ। নিজেকে সান্ত্বনা দিলাম এই বলে, “আজই শেষ নয় সুন্দরী, ঈদের দিন তো বের হবেই। ওইদিনই........................”



***



তারপর আর তার দেখা পেলাম না। সেই যে অন্ধকারে কোথায় হারাল, খুঁজে পাইনি। অবশ্য তার কোন খোঁজও করিনি। কারন হল, ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে নারায়ণগঞ্জের আন্তঃনগর প্লাটফর্মের দেয়ালে একটা চিকামারা (দেয়াল-লিখন) আছে যে “রাস্তার প্রেম রাস্তায় থাকে, ঘরে উঠে না”। আমি আবার কথাটা খুব ভাল করে ফলো করি। যদিও সম্প্রতি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে ছেলেদের প্রেমে পড়তে মাত্র ০.২ সেকেন্ড লাগে।



কনক ইতোমধ্যে একটা কোচিঙে পড়ানো শুরু করেছে। এমন একদিন শনিবারে আমরা ক্লাস নেয়ার আগে কোচিঙের বাইরে দাড়িয়ে চা খাচ্ছি সকালে। জিয়া, আমি আর কনক। ৩ জনে মিলে চা আর গল্প মিশিয়ে ভালই আড্ডা দিচ্ছিলাম। বিল কনকের। চায়ের কাপ ডান হাতে নিয়ে জিয়ার একটা কথায় হাসতে হাসতে কনকের কাধে বাম হাত রাখতেই ওর পিছনে চোখ পড়লো। সাথে সাথে চোখে পড়লো সেই সুন্দরী মেয়েটি। আমি উত্তেজিত হয়ে গেলে কাপ থেকে চা উপচে পড়লো কনকের পায়ের উপর। আর পায়ে গরম চায়ের ছেঁকা খেয়ে উল্টো লাফ দিয়ে কনক পড়লো মেয়েটির গায়ের উপর। আর মেয়েটি জঙ্গি হামলা ভেবে চিৎকার করে উঠলো, “ও বাবাগো, আমারে বাঁচাও”। কনক সরি বললে মেয়েটি কিছু না বলে চলে গেল। এরপর থেকে কনকের মুখ থেকে হাসি যেন আর সরেই না, দাঁত ও বন্ধ হয় না। আরেকটু আড্ডা দিয়ে ক্লাস নিতে চলে গেলো কনক।



সেইদিন সন্ধ্যায় আমরা রেললাইনে আড্ডা দিতে সবাই উপস্থিত হলাম। ওমা !!! একি !!! এখনো কনকের মুখ থেকে হাসি সরেনি, দাঁত ও বন্ধ হয়নি। অন্ধকারে কনকের দাঁতগুলো উজ্জ্বল দ্যুতি ছড়াচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আমরা জিজ্ঞেস করতে বাধ্য হলাম ব্যাপারটা কি ? যা বলল, টা শুনে আমরা মোটামুটি থতমত খেলাম। মেয়েটা কনকের ক্লাসের ছাত্রী, কলেজে ১ম বর্ষে পড়ে। কনক এখন তার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক। এসব শুনিয়ে আমাদের কাছে সে হিরো হয়ে গেলো। মেয়েটা নাকি মুসলিম। কথাটা শুনে আমার মনে হল, পরীক্ষা দিতে বসার আগেই যেন আমার খাতা বাতিল হয়ে গিয়েছে। বাকি রইল জিয়া আর কনক। ২ বন্ধু এখন প্রতিদ্বন্দ্বী।



কিছুদিন পর সন্ধ্যায় আবার আমরা রেললাইনে আড্ডা দিতে বসলাম। কনকের দিকে সবার চোখ। কারন একটু পর পর মেসেজ আসছে। আর কনক আমাদের সাথে কথা কম বলে মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে বেশি তাকিয়ে আছে। বোঝা যাচ্ছে যে, ছাত্রী-শিক্ষকের সম্পর্ক আর সেখানে সীমাবদ্ধ নেই। আমরা যখন চরম ভাবে গল্পগুজবে মত্ত, তখন হঠাৎ কনকের কল আসলো। ফোনটা কানে দিয়ে ফিসফিস করে কি যে বলছে কে জানে !!! মোবাইলে কল-কারী যে একটা মেয়ে সেটা বুঝতে আর কারোরই বাকি নেই। কনকের পাশে বসেও আমি কিছু শুনতে পেলাম না, এবং অপর প্রান্তে মেয়েটি শুনছে কিনা আমি সিউর না।



ঈদের দিনে সন্ধ্যায় আমরা জাহাজঘাটে আড্ডা দিতে বসলাম, কনকের বাসার কাছেই। আমি কনককে ফোনে ট্রাই করছি, কিন্তু সে ফোন ধরছে না। অনেকবার কল করার পরে মনে দয়ার উদ্রেক হওয়ায় একবার ধরল ফোনটা। জানা গেলো সে ডেটিঙে বিজি। আমাদের সবার মনে জেগেছে একটাই প্রশ্ন – বন্ধু বড় না গার্লফ্রেন্ড বড় ? কিন্তু ঈদের দিন বলে সেদিনের জন্য কনককে ক্ষমা করা হল।



পরদিন কথা হল কনকের সাথে, গার্লফ্রেন্ডকে দামি গিফট দিয়েছে সে। ফোনে রিচার্জ ও দিয়েছে। তারা এখন সুখী বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড। আর অনেক কিছু শুনলাম। মেয়ে নাকি অনেক গিফট চায়। অনেকবার ডেটিং এ যেতে চায়। আমি জিজ্ঞেস করলাম, “তাতে প্রবলেম কি ?” মনে মনে যা ধরে নিয়েছিলাম, ত্তাই হয়েছে। এখন কনকের টাকা পয়সার টান পড়েছে।



এমন করে ২ সপ্তাহ কাটল, কনককে একদিন দেখি বিধ্বস্ত অবস্থায়। কি হইসে জানতে চাইলাম। আমাদের ভুলে যেতে পারে সে, কিন্তু আমরাতো বন্ধুকে ভুলে যেতে পারি না। বলে যে তাদের নাকি ব্রেকআপ হয়েছে। আর মেয়ে নাকি দামি গিফট গুলিও ফেরত দিতে চাচ্ছে না। আমি আর কি বলব......... সান্ত্বনা দিলাম, “মানবজীবনে মাঝে মাঝেই এইরকম হয়”। এরপর থেকে আবার আমরা সন্ধ্যায় একসাথে আড্ডা দেয়া শুরু করলাম। আবার আগের মতোই মজা, আগের মতোই ঘুরা-ঘুরি।



“২০২৩ সালে.........”



আমি আর কনক জিয়ার বিয়েতে উপস্থিত হয়েছি একসাথে। আমার বউ আসেনি, বাচ্চাদের এক্সাম আছে পরের দিন। কনক বিয়ে করবে ২০২৪ এ। পাত্রী দেখা শেষ। বিয়ের কার্ডে বউয়ের নামের সাথে আমাদের কিছু স্মৃতি জড়িত। নামটা কনকের গার্লফ্রেন্ডের।
আমরা এখন জিয়ার সাথে কথা বলছি। জিয়া বলল, “একটুপর আমার বউ এর সাথে দেখা করিয়ে দিবো।" কনক কথার এক পর্যায়ে বলল, “ দেখ, জিয়া ওই মেয়েটাকে পটাতে পারে নাই। তাই ওই নামের একটা মেয়ে খুঁজে এনে বিয়ে করেছে”। জিয়া শুনে হাল্কা হাসল। কথাটা শেষ হওয়ার আগেই আমি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়লাম। আমাদের সামনে দিয়ে সেই সুন্দরী মেয়েটা অনেক মেক-আপ লাগিয়ে, দামি শাড়ি গায়ে হেঁটে যাচ্ছিল। আমি কনককে কানেকানে বললাম, “কনক ঐ যে দেখো তোমার এক্স-গার্লফ্রেন্ড। অনেক সুন্দর করে সাজ দিয়েছে। জিয়ার বউয়ের কোন রকম আত্মীয় হবে নিশ্চয়ই” ।



তখনই জিয়া পিছনে ফিরে মেয়েটিকে দেখে হাত ধরে টান দিয়ে কাছে এনে বলল, “ দেখো তোমরা, এই আমার সুন্দরী বউ”।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হারিয়েছি অনেক কিছু....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৫৪

হারিয়েছি অনেক কিছু....

আমি প্রতিদিন নিয়ম করে বেশ কয়েক কিলোমিটার হাটি। তবে ইদানিং হাটাহাটিতে অপ্রত্যাশিত ছন্দপতন হচ্ছে! এই যেমন, হাটাহাটির টার্গেট মিসিং! যে পথে হাটার কথা, সে পথে না গিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ২০০০ বছরের পুরনো মরদেহের ডিএনএ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:১৫



২০০০ বছরের পুরনো মরদেহের ডিএনএ থেকে জানা গেলো যত চমকপ্রদ তথ্য।


পল্লব ঘোষ
Role, বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদদাতা
Reporting from লন্ডন
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাশ্মীরে বন্ধুকধারীদের হামলায় ২৬ জনকে হত্যা; নেপথ্যে উগ্রবাদী মোদীর বিতর্কিত কাশ্মীর নীতি!

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:২২

কাশ্মীরে বন্ধুকধারীদের হামলায় ২৬ জনকে হত্যা; নেপথ্যে উগ্রবাদী মোদীর বিতর্কিত কাশ্মীর নীতি!

পেহেলগাম, ছবি গুগল থেকে প্রাপ্ত।

কাশ্মীরে অন্তত ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর সবচেয়ে মারাত্মক হামলা। বিশ্লেষকদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষণিক ফুলের সুবাস ছড়িয়ে বিদায় নিবে অন্তর্বর্তী সরকার

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪



এই কাঠগোলাপ ফুলের সুবাস যেমন একটা নির্দিস্ট সময় পর্যন্ত থাকে এবং ফুলগুলোও সতেজ থাকে তখন চাইলেই এটা দিয়ে মালা বানানো যায়, দুল বানানো যায় কিংবা মাথায় হেয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিছু আশা, কিছু হতাশা, কিছু বাস্তবতা

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯



বাংলাদেশ যেন একটা রোলার কোষ্টারে সওয়ার হয়ে চলছে এখন। প্রতিনিয়ত পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে; একটা সংযোজন-বিয়োজনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। আমরা সরকারের কর্মকান্ডে আশান্বিত যেমন হচ্ছি, তেমনি হতাশায়ও নিমজ্জিত হচ্ছি;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×