ভালো খারাপ মিলিয়ে বেশ চরম একটা ঈদ গেলো। অনেক অনেক প্রোগ্রাম করেছি। কিন্তু কোনোটাই সফল হয় নাই। তার বদলে হাতের কাছে যেসব জায়গা ছিল তাতেই রাতের পর রাত কাটিয়েছি। কারন দিনের বেলা আমরা গুহায় থাকি। তাই বের হই না।
নতুন কিছু বন্ধু পেলাম। কিন্তু দাড়িয়ে দাড়িয়ে গল্প করা মোটেও মজার কিছু না। বন্ধুরা কেও বাসায় দাওয়াত দেয় না। ফেসবুকের বন্ধুদের কাছ থেকে মিছা মিছা অনেক ট্রিট পাইসি, কিন্তু কেও বাসার ঠিকানা দেয় নাই। একমাত্র ট্রিট যা কপালে জুটসে, তা হইল আইসক্রিম। ঈদের দ্বিতীয় দিন অবশ্য অবুঝ মামাতো ভাইয়ের হাত থেকে ললিপপ কেড়ে নিয়ে গলাধঃকরন করসি। তা ব্যাপার না।
এই কয়দিন ঘন ঘন জেটিতে গেসি আর জাহাজে ধুমাইয়া ছবি তুলসি। তাই জাহাজের খালাসী মামারা আমাগোরে ভালোমত চিনে রাখসে। ভবিষ্যতে জাহাজে চুরি-চামারি হইলে মনে হয় আগে আমাদের ধরবে।
এইবারের ঈদে ব্যাপক দৃষ্টিভ্রম হইসে। এইবার মরুভূমির মরীচিকা রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে বেশী। বিকাল হইতেই বাসা থেইকা বাইর হইসি। তারপর হসপিটাল রোডে গিয়া হাঁটাহাঁটি করসি। হাসপাতালে পুরা নারায়ণগঞ্জের তাবৎ মেয়েজাতির আগমন স্বচক্ষে দেখলাম। দূর থেকে সবাইকে যেন ভালো লাগে। কিন্তু কাছে গেলে সেই মরীচিকা। আর এই একটা দিনেই, কোনো রেস্টুরেন্টে গেলে মনে পড়ে যে আজ গার্মেন্টসগুলোতে ছুটি চলছে !!!
সবাই রমজানে ও ঈদে দাম বাড়ার অভিযোগ করেন। তাই আমরা বেশ খুঁটিয়ে ভিতরের কাহিনী জেনেছি। রহস্যটা হল যে, সম্প্রতি গবেষণায় জানা গেছে, ঈদের সিজনে আটা ও ময়দার বিক্রি ডাবল হয়। এই আটা-ময়দা মেখে যারা ফ্যান্টাসি কিংডম বা নন্দন পার্কের ‘ওয়াটার ওয়ার্ল্ড’ এ যান, তারা ডুব দেয়ার পর পানি ঘোলা হয়ে যাওয়া ও জমাট বাঁধার অভিযোগ শোনা গেছে। রিপোর্টের এইখানে আমরা ভেজাল আটার সন্ধান পাই। আর গায়ে মাখা আটা-ময়দার ডিমান্ড বেড়ে যাওয়ার কারণেই দ্রব্যের দাম বাড়ে বলে জানিয়েছেন জনৈক বন্ধু।
আর কি বলবো ? ঈদ শেষ। এখনও ফ্যান্টাসির প্ল্যান সফল হইল না। ভাবতাসি প্লানটা নেক্সট ঈদ পর্যন্ত স্থগিত করা যায় কিনা ???