হুমায়ূন আহমেদের দেওয়া কৌতুকটা দিয়েই শুরু করি,
মনে করেন, ভারতে গে সমাজ চালু হয়ে গিয়েছে।
এক লোক প্যান্ট বানাতে গিয়েছে।
দর্জি মাপ নিয়ে বলল, ভাই, চেইন সামনে দেব নাকি পিছনে?
যৌন তাড়না বা প্রবৃত্তির ভিত্তিতে মানুষকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে।
ক) সমকামীঃ সমলিঙ্গের মানুষের প্রতি যারা যৌন তাড়না অনুভব করে।
খ) উভকামীঃ যারা নারী-পুরুষ উভয়ের প্রতি যৌন বাসনা অনুভব করে।
গ) বিসমকামী বা অসমকামীঃ যারা বিপরীত লিঙ্গের মানুষের প্রতি যৌন তাড়না অনুভব করে।
বাংলায় সমকামিতা শব্দটা এসেছে ‘সমকামিন’ (সম + কাম + ইন্) থেকে। এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হোমোসেক্সুয়ালিটি তৈরি হয়েছে গ্রীক ‘হোমো’ এবং ল্যাটিন ‘সেক্সাস’ শব্দের সমন্বয়ে। ‘ল্যাটিন হোমো’ আর ‘গ্রীক হোমো’ সমার্থক নয়। ল্যাটিনে হোমো অর্থ মানুষ। গ্রিক ‘হোমো’ মানে ‘সমধর্মী’ বা ‘একই ধরণের’। আর সেক্সাস শব্দটির অর্থ হচ্ছে যৌনতা। কাজেই সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বোধ করার (যৌন) প্রবৃত্তিকে বলে হোমোসেক্সুয়ালিটি। আর যারা সমলিঙ্গের প্রতি এ ধরনের আকর্ষণ বোধ করেন, তাদের বলা হয় হোমোসেক্সুয়াল। ১৮৬৯ সালে কার্ল মারিয়া কার্টবেরি সডোমি আইনকে তিরষ্কার করে ইংরেজিতে প্রথম ‘হোমোসেক্সুয়াল’ শব্দটি ব্যবহার করেন।
সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষ ভিঞ্চি, তিনি নাকি হোমোসেক্সুয়াল ছিলেন। বিখ্যাত লেখক, সমারসট মমও তাই। কম্পিউটারের জনক আর প্রচন্ড বুদ্ধিমান তুরিং, তিনিও তাই। আলেক্সজান্ডার দ্য গ্রেট(!), কবি অস্কার ওয়াইল্ড একই কাতারে।
তার মানে কি, হোমোসেক্সুয়ালিটি বুদ্ধির দরজা খুলে দেয়? যদি তাই হয়, তবে এটা খারাপ নয় নিশ্চয়ই। ভালো খারাপ পরে বিচার করি, আগে অস্কার ওয়াইল্ডকে নিয়ে একটা মজার ঘটনা বলি।
অস্কার ওয়াইল্ড ট্রেনের এক কামরায় বসেছেন। তার বিপরীত দিকে দুই মহিলা বসেছে এবং তারা জানালা নিয়ে নিজেদের মধ্যে বেশ তর্কাতর্কি শুরু করেছেন। রেফারি ভূমিকা পালন করছে কন্ডাক্টর।
প্রথমজন বলছেন, 'যদি জানালা খোলা থাকে, তাহলে নির্ঘাত নিমোনিয়া হয়ে আমি মরে যাব।'
দ্বিতীয়জন বলছেন, 'জানালা যদি বন্ধ থাকে, আমি নিশ্চিত দম আটকে মরব।'
মধ্যে থেকে কন্ডাক্টর পড়েছে ফ্যাসাদে।
একটা সময় অস্কার বিরক্ত হয়ে বুদ্ধি দিলেন, 'কন্ডাক্টর, প্রথমে জানালা খুলে দাও। একটা মরবে। তারপর জানালা আটকে দাও। আরেকটা মরবে। তখন জানালা শেষবারের মত খুলে মরা দুটোকে বাইরে ফেলে দাও। ব্যাস, শান্তি আর শান্তি।'
তো একবার আইন্সটাইনকে জিজ্ঞাসা করা হল “পৃথিবীর সব থেকে বুদ্ধিমান ব্যক্তি হতে কেমন লাগে?”
আইন্সটাইন উত্তরে বলেছিলেন “আমি জানি না, এর উত্তর জানার জন্য নিকোলা টেসলাকে প্রশ্নটা করতে হবে।”
নিকোলা টেসলাকে (১৮৫৬-১৯৪৩) এত বেশী মেধাবী ছিলেন যে, তিনি কোন যন্ত্রকে বানানোর জন্য হাতে কলমে কোন কাজ করার দরকার হত না, সব কিছুরই তাঁর মাথায় আগেই ছবি তৈরী করে নিতেন এবং এই চিন্তাগুলো যখন বাস্তবে রূপ দিতেন তখন দেখা যেত তার ধারনা অনুযায়ী সব কিছু সঠিকভাবে কাজ করছে। তাঁর সারা জীবনে কখনও এই কাজে ভুল হয়নি।
কিন্তু কথা হলো, এত বেশি মেধাবী মানুষটি হোমোসেক্সুয়াল ছিলেন না। নিউটন, আইনস্টাইন, হকিং, এমনকি ডারউইন পর্যন্ত হোমোসেক্সুয়াল ছিলেন না।
তার মানে, হোমোসেক্সুয়ালিটি বুদ্ধির দরজা খুলে দেয় না। এটা নিজেকেই খুলতে হবে, নিজ চেষ্টায়, স্বীয় দক্ষতায়। একটা চীনা প্রবাদ আছে, "চেষ্টা" শব্দটি বুঝায় সাহস, "পারি" শব্দটি বুঝায় ক্ষমতা।
একজন মানুষ হোমোসেক্সুয়াল হয় তিন কারণে।
১. জীন ঘটিত
আশির দশকে বিজ্ঞানী ডিন হ্যামার দেখান সমকামীদের X ক্রোমোজোমে Xq28 এর পরিমাণ বেশি থাকে। ২০১২ সালে এসে সমকামীতার সাথে জীনের কোন সম্পর্ক আছে কিনা তা খুঁজে দেখতে আমেরিকার জেনেটিক্স সোসাইটি আরও ব্যাপকভাবে গবেষণা করে। তাতে দেখা যায় X ক্রোমোজম 8 এ Xq28 ব্যাপকভাবে এর উপস্থিতি জানান দেয় যেটা ঐ হ্যামার স্টাডিকেই সমর্থন করে।
২. হরমোন সংক্রান্ত
১৯৫৯ সালে ফিনিক্স নামের এক বিজ্ঞানী একটা হাইপোথিসিস অনুযায়ী সমকামীতার উপর হরমোনের প্রভাব আছে। তবে এই প্রভাব খুব একটা কার্যকরী নয়।
৩. পরিবেশগত
আমার মতে এটাই উপরের দুইটার উপস্থিতি বা প্রভাব থাকলে এই কারণটা মানে পরিবেশ ট্রিগার হিসেবে কাজ করে। বয়ঃসন্ধিতে ঘটা কোন ঘটনার স্হায়ী প্রভাব মনোজগত সহজেই পাল্টে দিতে পারে। এই সম্ভাবনাটা ৩০% এর উপরে।
সুতরাং সমকামিতা একই সাথে জন্মগত এবং আচরণগত (পরিবেশগত)। তাই কি? না, তা নয়।
যদি সমকামিতা জীনগত হতো তাহলে যমজের একজন সমকামী হলে অন্যজনও হতো। কিন্তু তা হয় না। একজন সমকামী হবার পেছনে সামাজিক এবং ব্যক্তিগত প্রভাব বেশি বলে মনে করি। তবে হরমোনগত প্রভাব ফেলনা নয়।
সমকামীদের চারভাগে বিভক্ত করা যায়।
১। Gay বা পুরুষ সমকামী
২। Lesbian বা নারী সমকামী
৩। Shemale বা হিজড়া
৪। Bisexual বা দ্বৈত যৌন জীবন
হিজড়া আর বাইসেক্সুয়াল’রা মূলত উভকামী তবে তাদের মধ্যে সমকামী বৈশিষ্ট্য বেশী প্রকট থাকে।
সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনের কারণে গে’রা নিজেদেরকে কয়েকটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেছে। প্রধান ভাগ তিনটি। এগুলোর আবার উপভাগ আছে।
টপঃ যারা যৌন মিলনের হওয়ার সময় পুরুষের রোল প্লে করে।
বটমঃ যারা নারী রোলে উপগত হয় সঙ্গীর সাথে।
ভারসেটাইলঃ যারা পুরুষ নারী যে কোন রোল প্লে করতে পারে।
অনেক জ্ঞান নিয়েছি, একটু হালকা হয়ে নিই। আপনি কি অশ্রু সংজ্ঞা জানেন?
অশ্রু এমন এক জলীয় গোলীয় বল, যে বল দ্বারা মেয়েদের জলীয় শক্তির কাছে ছেলেদের ইচ্ছাশক্তি পরাজিত হয়।
আর জানেন? বর (বা ছেলেরা) একটি নিরীহ প্রাণী।
কারণ বিয়ের আসর থেকে সবসময় কনে (বা মেয়েরা) পালায়। কখন ও শুনেছেন বর (বা ছেলেরা) পালিয়েছে?
সমকামীদের নিয়ে ১৭তম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র যে আইন পাশ করলো, তাতে খারাপ কিছু নাই। একজন মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন করার অধিকার পেতেই পারে। যে জন্মগতভাবে সমকামী তার প্রতি আমার এই সহমর্মিতা (অবশ্যই সমর্থন নয়), কিন্তু তার প্রতি নয়, যে মানসিকভাবে বিকৃত সমকামী। মজার বিষয়, প্রথমবার ওবামার সরকার এর পক্ষে ছিল। তার পরেরবার বিপক্ষে। এইবার আবার পক্ষে। সবই রাজনীতি, বুঝলেন?
বলা বাহুল্য, জন্মগতভাবে যারা সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষিত হয়, তারা তাদের আকর্ষণ মানসিকতার মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখার সক্ষমতা রাখে। তারা মানসিক সাপোর্ট চায়, শারীরিক নয়। মানসিকভাবে বিকৃত সমকামীরা শারীরিক দিকটাকেই প্রাধান্য দেয়।
প্রায় ১৫০০ প্রজাতিতে সমকামিতার প্রভাব পাওয়া যায়। সমকামীরা এই বিষয়টা হাইলাইট করে। কিন্তু দেখা গিয়েছে পিতামাতার সান্নিধ্য কম থাকা পশুপাখিদের সমকামিতার অন্যতম একটি কারণ।
কারা সমকামীতাকে সমর্থন করে?
একটু কমনসেন্স খাটিয়ে যদি আপনার আশেপাশের সমকামী সমর্থনকারীদের চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্য খেয়াল করেন, তবে দেখবেন, তারা পুরুষ/নারী বিদ্বেষী, ধর্মীয় মূল্যবোধহীন/নাস্তিক, খুবই আত্মকেন্দ্রিক, খুবই বহির্মুখী, উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপনকারী, নেগেটিভ পাব্লিসিটির মাধ্যমে সেলিব্রিটি হবার বাসনা পোষণ করে। সহজ ভাষায় তারা আমাদের মতো স্বাভাবিক মানসিকতার নয়। তারা তথাকথিত মুক্তমনা।
কর্পোরেট সমাজ এমনভাবে একে সমর্থন করে যে আপনি তা বুঝতেও পারবেন না। এক পরিসংখ্যানে দেখেছিলাম, পর্ণসাইটে সবচেয়ে বেশি যে ক্যাটাগরিটি দেখা হয় তা হচ্ছে লেসবিয়ান। এর মানে কি, লেসবিয়ান দিয়ে বিশ্ব ভর্তি? না, এতে মানুষ আকৃষ্ট হচ্ছে। কর্পোরেট সমাজ পিছনে পিছনে সমর্থন জুগিয়ে চলছে।
কেন সমকামীতাকে সমর্থন করবেন না?
বৈজ্ঞানিক কারণ-
১. একজন সমকামি পুরুষ মানুষের সন্তানের গে হবার সম্ভবনা যেখানে ২০ ভাগ যেখানে স্বাভাবিক হার মাত্র ২-৪%।
২. একটি অনলাইন জরিপে দেখা গেছে প্রতি ১৩ জন জাপানীর মাঝে ১ জন করে সমকামী নারী, সমকামী পুরুষ, উভকামী অথবা লিঙ্গ পরিবর্তনকারী (এলজিবিটি) হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। জাপানের বর্তমান জন্মহার ২২১টি দেশের মধ্যে ২১৬তম। এটা প্রধান কারণ নয়, তবে ভূমিকা অবশ্যই রয়েছে।
৩. ইস্টার্ণ সাইকোলজিক্যাল এসোসিয়েশনে প্রকাশিত "Federal distortion of the homosexual footprint" এ ড: পল ক্যামেরুন দেখিয়েছেন পুরুষ ও মেয়ের বিবাহসম্পর্ক আয়ুষ্কাল বাড়িয়ে দেয় যেখানে সমকামিদের ক্ষেত্রে আয়ুষ্কাল ২৪ বছর কম। মানে সমকামীদের আয়ুষ্কাল কম।
৪. স্বাভাবিক যৌনাচারের চেয়ে সমকামিদের অবসাদ ও ড্রাগে আসক্তির সম্ভবনা প্রায় ৫০গুন বেশী।
৫. সমকামিদের মধ্যে আত্নহত্যার প্রবণতা ২০০গুণ বেশী। সমকামি পুরুষদের মধ্যে এই প্রবণতা আরো বেশী। সমকামি লেসবিয়ান, গে ও উভকামিদের মধ্যে নিজেদের ক্ষতি করার প্রবণতাও থাকে বেশী।
৬. ২০০৬ সালে এক জরিপে দেখা গেছে ৫৬০০০ নতুন এইচ আই ভি আক্রান্তের মধ্যে ৫৩% গে অথবা সমকামি। তাছাড়া গে'দের মধ্যে যারা এইডসে আক্রান্ত তাদের মৃত্যুঝুঁকি অন্যন্য এইডস আক্রান্তদের থেকে ১৩গুন বেশী। এর কারণ হচ্ছে, পায়ুপথের আবরণী একস্তরের, যোনী পথের আবরণী হইল তিন স্তরের। এইচআইভি ভাইরাস একস্তর দ্রুত পার করতে পারবে না তিনস্তর?
৭. যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটাতে ২০০৮ সালে সিফিলিস ৪০ভাগ বেড়ে যাবার কারণ উদঘাটনে সমকামিতার সম্পর্ককে পাওয়া যায়। ২০০৮ সালে মিনেসোটার ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ এ ১৫৯ টি সিফিলিস এর ঘটনা পাওয়া যায়, এর মধ্যে ১৫৪টিই ঘটে পুরুষের মধ্যে আর এর মধ্যে ১৩৪ জনই আরেকজন পুরুষের সাথে যৌনক্রিয়া করেছে বলে স্বীকার করে।
৮. কিছু কিছু রোগ আবার ‘গে রোগ’ নামের খ্যাতি ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছে, এরকই একটি হল 'স্টাপ স্টেইন'.
৯. চলতেই থাকবেই... নিজেরাই শেষ করে নিন।
ধর্মীয় কারণে...
কোন ধর্মই এটাকে অনুমোদন দেয়নি।
ইসলাম ধর্মে এটার শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে।
ডেড সি বা মৃত সাগরকে তো চেনেন। এটি জর্ডানে অবস্থিত। এর লবণাক্ততা শতকরা ৩০%। ফলে পানির ঘনত্ব ১.২৪ কেজি/লিটার। উচ্চ প্লবতার দরুন যে কেউ মৃত সাগরের পানিতে ভেসে থাকতে পারে।
লুত সম্প্রদায়ে সমকামিতা এতটাই বাড়াবাড়ি রকমের হয়ে পড়েছিল যে, তারা কোন ভ্রমণকারী বা পথিককে পেলেও ধরে ধর্ষণ করতো।
আল্লাহ পুরো জাতিকে উল্টে দেয় এবং পাথর বৃষ্টির মাধ্যমে তাদের ধবংস করে দেন। যদি ধর্মকে অবিশ্বাস করে এই ঘটনাকে অস্বীকার করেন, তবে একটু কষ্ট করে নেট ঘেটে দেখেন, বিজ্ঞানীরা ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেছেন।
ব্যক্তিগত মনোভাব বলি...
বিশ্বে সমকামীদের সংখ্যা ৬-১২ শতাংশ হলেও বাংলাদেশে এটি ১-২ শতাংশেরও কম। আমরা রক্ষণশীল। পাশ্চাত্যের মতো উচ্ছৃঙ্খল নই। আমেরিকার কথা বলি, যাদের পাশ করা আইনে লাফালাফি করছেন।
তারা নারী স্বাধীনতার কথা বলে, কিন্তু ৫-৭ বছর আগেই পড়েছিলাম, সেখানে প্রতি ৪৬ সেকেন্ডে একজন নারী ধর্ষিত হয়।
তারা বলে, তারা সভ্য, অথচ তাদের ৪৩% জারজ সন্তান।
এক সাংবাদিক সেখানকার একটা ঘটনা বলেছিলেন, একটা রুমে দুইজন ছেলে-মেয়ে রাত কাটিয়ে যখন সকালে চলে যাচ্ছিল, তখন মেয়েটি বলছিল, বাবার চেয়ে তুমি ভালো পারো। ছেলেটি উত্তরে বলেছিল, হ্যাঁ, মা-ও তাই বলেন।
তাদের পারিবারিক বন্ধন কত নিচে নেমে গিয়েছে কল্পনা করা যায়? আর তাদের একটা আইনে কি এসে যায়?
আর আইন করেছে তাদের জন্য, আমাদের জন্য তো আর না। যখন আমাদের দেশে বন্যায় মানুষ মারা যাচ্ছে, সীমান্তে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, মেরে ঝুলিয়ে রাখছে, পোকায় নষ্ট গমকে ভালো গম বলে চালানো হচ্ছে, রাজাকাররা বুক উঁচিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, খাওয়ার জন্য খাবার নেই, ঘুমানোর জন্য বাসস্থান নেই। মুড়ি আর পানি খেয়ে ইফতার করছে। এসব দেখার মতো চোখ নেই, অথচ যা আমাদের জন্যই করা হয়নি তাতে মেতে আছি। এমনটাই কি চাই?
শেষে শুধু একটা কথা বলি, এখনো আপনার মেয়ে/বোন তার বান্ধবীর বাসায় থাকলে আপনি স্বস্তিবোধ করেন। আপনার ছেলেকে/ভাইকে পড়াশোনা করতে বাহিরে পাঠাচ্ছেন, নিশ্চিন্তে তার দায়িত্ব দিচ্ছেন রুমমেট বড় ভাইয়ের উপর।
আপনি যখন এই সমকামীতাকে সমর্থন বা প্রশ্রয় দিচ্ছেন, তখন কি ভেবেছেন, এটা বিস্তার লাভ করলে আপনার পরিবারের কাউকে বাহিরে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন কিনা?
সহায়ক লিঙ্ক-
লিঙ্ক ১ লিঙ্ক ২ লিঙ্ক ৩ লিঙ্ক ৪ লিঙ্ক ৫ লিঙ্ক ৬ লিঙ্ক ৭ লিঙ্ক ৮
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০২