স্বপ্ম কি আসলেই সত্যি হতে চললো নাকি ,পৃথিবির বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন এবার ট্রেনে চড়েই নির্বিঘ্নে ঘুরে আসা যাবে,
শুধু তা-ই নয়, রাখা হচ্ছে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসৌধ আর বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার যাওয়ার ব্যবস্থা।
প্রকল্প বাস্তবায়নে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে নতুন রেলপথ সম্প্রসারণ ও পুরনোগুলোর সংস্কার কাজ। এ সরকারের সময়ই চালু হতে যাচ্ছে রেলের এই নতুন কানেকটিভিটি। ফলে লোকসান থেকে বেরিয়ে লাভের মুখ দেখতে যাচ্ছে সরকারের অন্যতম এই পরিবহন সংস্থা। এমনই প্রত্যাশা রেল কর্তৃপক্ষের। রেলকে লাভজনক করতে এর আকর্ষণের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে তারা। এর অংশ হিসেবে ছয় জেলাকে নতুন এ নেটওয়ার্কের আওতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার নতুন রেললাইন বসানোর কাজ চলছে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে। এগুলো হলো মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, পিরোজপুর, কক্সবাজার ও সাতক্ষীরা। রেল সূত্র বলছে, দেশের ৬৪ জেলার ১৮টিতে রেললাইন নেই। দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে ৪০ বছর। এই দীর্ঘ সময়ে জনসংখ্যা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। বিপরীতে কমেছে রেলের যাত্রী ও মালামাল পরিবহন। ফলে লোকসান দিনকে দিন বেড়ে এসেছে রেলের। কিন্তু সব অপবাদ ঝেড়ে ফেলে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। জানা গেছে, রাজবাড়ীর কালুখালী থেকে গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া হয়ে কাশিয়ানী পর্যন্ত যে রেলসড়ক আছে, তা সচল করতে মহাজোট সরকার সংস্কার শুরু করেছে। এটি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত। আরেকটি লাইন নির্মাণ শীঘ্রই শুরু হবে। এটি চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে চলে যাবে কক্সবাজার সদরের পৌর পার্ক পর্যন্ত। রেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করে রেলসড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। যশোর হয়ে সাতক্ষীরা এবং সেখান থেকে সড়কটি চলে যাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবন। এ বিষয়ে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান জানান, তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাতক্ষীরা থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত রেলসড়ক সম্প্রসারণের দাবি জানিয়েছিলেন। এতে পর্যটক রেলমুখী হবে এবং সংস্থাটি আর্থিকভাবে লাভবান হবে।
সূত্র:এখানে