somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

অর্বাচীন পথিক
https://www.facebook.com/fresh.wayfarer nলেখার কোন অংশ লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। বানান ভুল পাওয়া যেতে পারে এর জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চাই । ভুল বানান গুলো ধরিয়ে দিতে সাহায্য করলে সেটা ঠিক করে দেওয়া হবে। (ব্লগের লিংক ফেসবুক শেয়ার করা

বাক্স বন্দী স্বপ্ন... (১)

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি একটা বাগান বানাবো। যার নাম দিবো স্বর্গোদ্যান। বাগানে থাকবে না কোন বেষ্টন। সমস্ত বাগানের প্রাচীর হবে কাশফুল এর গাছ দিয়ে।

সারা বছর থাকবে সেখানে সবুজ খড়ের পালা কিন্তু শরৎ এর দিনে সেই কাশবনে ফুটবে সাদা সাদা কাশফুল। শিহরণ জাগাবে বাতাসের সাথে সাথে। টুকরো টুকরো কাশফুল ভেসে বেড়াবে আমার সারা বাগানময়।

আমার বাগানে থাকবে শুধু দুটো কাঠের বেদী। একটি আমাদের দুইজনের জন্য আর অন্যটি শুধু আমার জন্য।
আমাদের বেদীতে বসবো আমরা দুজন। দুইজনে দুইজনার হাত ধরে নয় কিম্বা কোন আলতো স্পর্শ করে না। আমরা বসবো আমাদের সেই চিরাচরিত রুপে। ভেংচি কাটা, অদ্ভূত সব নামে ডাকার সেই মন নিয়ে।

এই বেদীর পিছনে থাকবে ছোট্ট একটা কচুরিপানার ডোবা। মাঝে মাঝে ওকে বলবো “একটা কচুরিপানার ফুল এনে দাও”
যদিও জানি এটা শোনার সাথে সাথে উত্তর আসবে “তোমার জন্য আমি এখন ঐ কচুরিপানার ফুল আনবো !! পারতাম না, নিজে আনো।”
এরপর কয়টা অদ্ভুত সব নামে ডাকবে, ভেংচি কাটবে তারপর ঠিকই এনে দেবে।

এই বেদী থেকে অনেক দূরে আর একটা বেদী থাকবে যেটা শুধু আমার জন্য। সেই বেদীতে বসে, এই আমি আমার আমি কে অবিস্কার করবো প্রতিদিন নতুন করে। সেখান থেকে আমি ঘ্রাণ নিবো হয়তো কারো বাগানের অবহেলায় ঝরে পরা গোলাপের পাপড়ির।
বেদীর সামনে থাকবে একটা পদ্মফুলের ছোট্ট পুকুর। বাতাসের আনাগোনা, পদ্মফুলের হেলে পড়া, পানি পোকার মাতামাতি এই সব আমি দেখবো বেদীতে বসে। দুটো ব্যাঙ থাকবে এই পদ্মফুলের ছোট্ট পুকুর। ব্যাঙের গ্যাঙর গ্যাঙ শোনার জন্য কান পেতে রইবো বেদীতে বসার সময় থেকে।

এই বেদী হবে আমার অভিমানী মনের চরণ ভুমি। সুখের প্রাপ্তি, পাওয়া না পাওয়ার খেলা, হারানোর বেদনা, জীবনের মায়া এই সব কিছুর হিসাব কষবো এই বেদীতে বসে।
কখনও কখনও আমার চোখের কোণে জমবে রংহীন জলরেখা। তবে সেই রংহীন জলরেখা উৎস কষ্ট হবে না। হবে জমে থাকা অভিমানের কারন।

আমি বড্ড অভিমানী একজন মানুষ। আমি অভিমান জমিয়ে রাখি একটু একটু করে। এক সময় সেই জমে থাকা অভিমান গুলো দানা বাঁধে। এরপর পাথর হয়ে মনে জায়গা করে নেয়। আমার মনের অভিমান গুলো জমে জমে পাথর হয়ে গেছে। এই পাথর এখন আর আমি চাইলে ও সরাতে পারবো না। ঘাঁটি বেঁধে আছে এই আমার মনে।

আমি একটা বাগান বানাবো, যার নাম রাখবো স্বর্গোদ্যান।

আমার বাগানের ঠিক মাঝে থাকবে একটা ছোট্ট কাঁদার মাঠ। সেই মাঠে দাঁড়িয়ে আমি বৃষ্টিতে ভিজবো, বাউন্ডলে রমণীদের মত করে। কাঁদায় লেপ্টে নিবো সেই বৃষ্টিতে ভেজার স্বাদ। যে স্বাদ এখনও নেওয়া হয়নি।

বাগানে ঢোকার মুখে প্রথমেই পড়বে দুটি গাছ। ডান পাশে গাছটা হবে কৃষ্ণচুড়া আর বাম পাশে গাছটা হবে সোনালু। বাগানে সবাই আসবে নগ্ন পায়ে। তবে বাগানে আসার আগে পাদুকা জোড়া অবশ্যয় রেখে আস্তে হবে কৃষ্ণচুড়া আর সোনালু গাছের নিচে।

বাগান থেকে যখন সবাই বের হবে আর দেখবে পাদুকা জোড়া উপর লাল আর হলুদ ফুলের আস্তরণ তখন সবার মনের কি হাল হবে সেটা আমরা এখনি কল্পনা করতে পারি।

পাদুকা জোড়া কে এমন করে ফুলের আলিঙ্গন হয়তো নতুন কোন মাত্র যোগ করবে কারো জীবনে। এই রঙিন ফুলের স্তর হয়তো আবার ও কাওকে নতুন করে ভালবাসতে শেখাবে, কিম্বা ভালবাসা শেখাবে।

--- চলবে
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×