শিরোনামটা এমন হলেও পারত একাত্তরের কয়েকটি দিন --গল্প থেকে লেখা জার্নাল , কিংবা শুধুই গল্প । তাই প্রথমেই বলে নেই এটা কোন ভাবেই ইতিহাস নির্ভর লেখা নয় , এটা আমার ভীতু বাবার স্মৃতি থেকে থেকে শোনা গল্প । গল্পটা টা শুধুই আমার , আমার প্রিয় একটা গল্প ।এমন একটা গল্প যেখানে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই ,কোন ভূমিকাও নেই শুধুই কিছু মানুষের প্রতি মুগ্ধতা । গল্প টা আমি বহু বার শুনেছি , তাই আপনাদের শোনালাম । তবে স্মৃতি বিভ্রাট জনিত কিছু কম বেশি থাকতে পারে ।
গল্প টার শুরু এরকম ,
প্রথম দিন গুলো....২৬ ,২৭, ২৮, ২৯ .....
২৫ শে মার্চ রাতে ঢাকায় অনেক গণ্ডগোল হয়েছে আমরা শুধু এটুকু জানতাম ।তখন তো এত সহজে খবর পাওয়া যেত না । শুনলাম বঙ্গবন্ধু নাকি স্বাধীনতা ডিক্লেয়ার করেছে । তখনও পর্যন্ত আর তেমন কিছু জানতাম না ।
কিন্তু চারদিকে কেমন যেন একটা গুমোট ভাব । এদিকে কিন্তু দেখলাম বিহারী আর বাঙ্গালী দের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছে । । দেখলাম ট্রাকে করে বিহারীদের লাশ নিয়ে যাচ্ছে । কিন্তু ঘটনা কোন দিকে যাচ্ছে তখনও ঠিক বোঝা যাচ্ছিল না ।
২৬ তারিখ এভাবে গেল । আমরা কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার একটা বাসায় থাকি , সেখানে আবার যে ছেলেটা রান্না করে সেই ছেলেটা আবার সেদিন আসেনি । আমাকে এক বন্ধু ওর বাসায় আমাকে খেতে বলেছে ভাবলাম পরিস্থিতি ভালনা তাই তারাতারি যেয়ে খেয়ে চলে আসি । সন্ধ্যায় গেলাম ,খেতে বসেছি সবাই পরিস্থিতি নিয়ে গল্প করছি । রেডিও টা ধরানো ছিল ।
এমন সময় হঠাৎ করেই , শুনলাম আমি মেজর জিয়া বলছি ...
ঘোষণা এমন ছিল প্রায় যতদূর মনে পড়ে ,
আমি মেজর জিয়া বলছি , on behalf of Bongobondhu Sheikh Mujibur Rahman ,I declare myself as a provisional president of Bangladesh. We want support from all. Insha’Allah victory will be ours .
এমন ইংরেজি আর বাংলায় , কয়েকবার করে বলল । আমরা তখন আর খাব কি , উঠকণ্ঠায় আর আকস্মিকতায় কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না । প্রায় কোনরকমে খাবার শেষ করে তারাতারি বাসায় ফিরে যাব , এমন সময় এক পরিচিত লোক আসল ,স্যার মুক্তি যুদ্ধ তো শুরু হয়ে গেছে , ওই খানে গুলি আর বন্দুক দেয়া হচ্ছে (স্থানীয় কোন আওয়ামী লীগ নেতার বাসা থেকে ) , আমি কত গুলি নিয়ে আসছি । দেখি কি সে লুঙ্গিতে করে কতগুলো গুলি নিয়ে আসছে !
বাসায় ফিরলাম তারাতারি , আমাদের বাসা পুলিশ লাইনের কাছে । একটু পরই শুনি সেখান গুলির শব্দ । পুরদমে গুলি শুরু হয়ে গেল । আর তার জবাবে শুনলাম ক্যান্টনমেন্ট থেকে মর্টারের গুম গুম শব্দ । আমাদের বিল্ডিঙয়ে এসে পড়তে লাগলো গুলি । আমি , আমার বন্ধু আমরা সবাই তারাতারি সবাই মেঝেতে বসে পড়লাম । সেদিন সারা রাত্রি এভাবে গুলি চলল , আর আমরা নির্ঘুম জেগে রইলাম ।
সকাল বেলা থেমে গেল । এখানে তো আর থাকা যাবে না । আমাদের কলোনি নিরাপদ হতে পারে , চিন্তা করে আমরা সেখানে যাওয়া ঠিক করলাম ।
আজাদের সাথে আমার বন্ধুত্ব আছে , আমি ঠিক করলাম সেখানেই যাব ।
যেহেতু কাল সারা রাত ঘুমাইনি , আজকে আর জেগে থাকতে পারলাম না ।ঘুমায়ে পড়লাম ।ঘুম থেকে যখন উঠলাম প্রায় সন্ধ্যা । চারদিকে চুপচাপ কোন সাড়া শব্দ নেই, ব্যাপার কি !
একটু পর কাজের ছেলেটা বলল স্যার উনারা তো নাই , চলে গেছে , আপনি ঘুমাচ্ছেন দেখে আর আপনাকে বলে নি ।বলে কি ! ছেলেটা একটু বোকা , বলছে , স্যার সামনের পাহাড়ে অনেক আর্মি উঠতেছে । ব্যাপার কি দেখার জন্য গেলাম ।
সামনে পাহাড় , ডিসি হিলের একটা সাপোর্ট পাহাড় । সেখানে কয়েকশো আর্মি উঠেছে ।পাহাড়ের পড় মাঠ , মাঠের এই পাশে এই বাড়ি । আমাদের ওয়াপদা কলোনিতে নিরাপদ মনে করে অনেকে গাড়ি রেখে গিয়েছে , কয়েকশ গাড়ি । এই গাড়ি আর বিল্ডিঙয়ের আড়ালে কাউন্টার পজিশন নিয়েছে সম্ভবত মুক্তি বাহিনী । অন্ধকার ঠিক বোঝাও যাচ্ছে না ।
আমার আসলে যাওয়া উচিত ছিল আমাদের সিকিউরিটি অফিসার ক্যাপ্টেন চৌধুরির বাসায় ।এমন কিছু হবে আমি তো ভাবতেও পারিনি । কিন্তু এখন আর বের হবার উপায় নেই । আর্মি আর মুক্তি বাহিনী হোক , সম্মুখ সমর এমন একটা ব্যাপার সন্দেহ হলেই গুলি ।কি করব ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না , মনে হচ্ছিল আজই শেষ ।
কাজের ছেলেটাকে বললাম, বাঁচতে চাইলে একটাও শব্দ করবি না , সব লাইট অফ করে পর্দা টেনে দিলাম । অন্ধকার পুরো নামতেই অ্যাটাক শুরু হয়ে গেল ,এই বাড়িটা যেহেতু মাঝখানে আর অজস্র গুলি এসে পড়তে লাগলো । বুঝলাম এভাবে হবে না , গুলি এসে গায়ে লাগবে ।। বাথরুম ছিল মাঝখানে ,গুলি এখানে ডাবল দেয়াল ভেদ করতে পারবে না । দুটো তোষক এনে বাথরুমে বিছিয়ে দিলাম ।এবার কিছুটা নিরাপদ মনে হল ।
এদিকে যুদ্ধ কিন্তু চলছে পুরদমে ,এখান থেকে শোনা জাচ্ছে , ইংলিশে , বাংলায় সমানে কমান্ড দিয়ে যাচ্ছে , গুলি , আর চিৎকার আহতদের ! সেকি ভয়াবহতা বলে বোঝানো যাবে না ।
রাতে শুধু ভাত ছিল , আমরা সেই ভাত খেলাম অন্ধকারে বসে । রাত গভীর থেকে গভীর হতে লাগলো , যুদ্ধ চলছে , বাড়ছে চিৎকার আর কান্না । এভাবে শেষ রাতের দিকে কিভেবে যেন ঘুমিয়ে পড়লাম , সকাল বেলা ঘুম ভাঙল কাকের চিৎকারে !
এবার আর ভুল করলাম না । ঠিক করলাম ক্যাপ্টেন চৌধুরির বাসায় যাব । দরজা খুলেই দেখি সিঁড়িতে একটা লাশ ,দেখেই কেঁপে উঠলাম , সেই রকম ফুলে উঠেছে ।যেতে যেতেই কয়েকটা লাশ দেখলাম , কারো পাশে বন্দুক পরে আছে ।
এই দিকে আমাদের ম্যানেজার , আরও সবাই ক্যাপ্টেন চৌধুরির বাসায় আগেই জড় হয়েছিলেন । আর কিভাবে যেন জানতে পেরেছিল ,আমি এই খানে একা ছিলাম ।আজাদের এমন ব্যাবহারে সবাই খুবি বিরক্ত । ওরা ভাবছিল আমি শেষ !
ওখানে দেখি সব অন্য রকম । ড্রয়িং রুমে যেন একটা মুক্তিবাহিনীর ছোট খাট দপ্তর । ক্যাপ্টেন চৌধুরির তো মুক্তিবাহিনীতে যোগাযোগ আছেই , আর তার শালা মেজর ।আমাদের ক্যাপ্টেন সেই রকম সাহসী মানুষ, উনাকে ক্যান্টনমেন্ট উদ্ধার করে নিয়ে আসছেন , কিভাবে কিভেবে জানি আমাদের ওয়াপদার জীপ নিয়ে ।
তারপরের দিন গুলোর কথা.......
এখানে এসে স্বস্তি পেলাম । আমাদের দিনকাল এমন , আমি আর কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার , আমাদের ম্যানেজার উনি আবার বিহারী , উনি আছেন সপরিবারে , আর ড্রয়িং রুমে সেই মেজর ওয়্যারলেস ,রেডিও এসব নিয়ে সারাক্ষণই তারা যোগাযোগ করছে মুক্তিবাহিনীর সাথে , কমান্ড করছে , এসব দেখি । আর কোন কাজ নাই ।
রান্না হয় , খিচুড়ি , সবাই একই খাবার একই সাথে খাই , ঢালাও বিছানা তে ঘুমাই ।
-ক্যাপ্টেন কিভাবে যুদ্ধে যেত সেটা বল .....
ওহ আমাদের ক্যাপ্টেনের কথা শোন, উনার মত সাহসী মানুষ খুব কম দেখেছি । উনি বের হত সন্ধ্যায় , পাগলের বেশে , একটা লুঙ্গি পড়ে খালি গায়ে গান গাইতে গান যেত , পাগলের অভিনয় করে পাকিস্তান আর্মি বুঝতেও পারত না , ভাবত পাগল । পাগল কে আর গুলি করত না । উনি নিজেই বলত পাক আর্মির সামনে দিয়েই আসলাম , আমাকে কেউ সন্দেহ করে না ।খাবার গুলি , ওষুধ পত্র এসব নিয়ে যেত ।
আফসোস তার এই ছদ্দবেশ শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে গিয়েছিল ।
এপ্রিলের শুরুর দিকে , মুক্তিবাহিনী শহরের দিকে যে প্রতিরোধ করেছিল তা আর্মি ছত্র ভঙ্গ করে দিছে , বেসির ভাগ মুক্তিবাহিনী এখন শহরের বাইরে পাহাড়ে সংঘটিত হওয়া শুরু করল । সেখান থেকে তারা এখন শহরে আক্রমণ শুরু করলো । আমার মনে আছে , প্রথমেই মুক্তি বাহিনি কাপ্তাইয়ের ১৩২ কেভি টাওয়ার পুরো উপড়ায়ে দিয়েছিল ।
সেই মেজর আর বাসায় ই আসে না , উনি দেখলাম পুরাই পাহাড়ে জঙ্গলে চলে গেল । শহরের নিয়ন্ত্রণে এখন পুরাই আর্মি । আমরা কেউই বাসা থেকে বের হইনা , কারন আর্মি বাসায় বাসায় খুঁজে মুক্তি বাহিনীর কাউকে পেলেই সবাইকে মেরে ফেলছে ।
এদিকে তো খাবারে টান পড়ছে , দোকান পাট ও সব বন্ধ । শহরে যাওয়া রিস্ক । ক্যাপ্টেন করল কি একটা জীপে নিয়ে গেল , দোকানদারের বাসায় যেয়ে তারে উঠায়ে নিয়ে এসে দোকান খুলায়ে চাল ডালের বস্তা নিয়ে ফেরত আসল । আমরা তো খুবই ভয় পাচ্ছিলাম ।
চারপাশে এত লাশ প্রায় সব সিটি কর্পোরেশন এর গাড়ি এসে নিয়ে যায় , কিন্তু বাসার কম্পাউন্ডের মধ্যে দুটা লাশ রয়ে গেছে সেটা আর ওরা দেখেনি । এখন ওই লাশ তো ফুলে উঠেছে । এমন গন্ধ যে কাছে যাওয়াই মুশকিল ।
এখন ম্যানেজার এর বাচ্চা তো ছোট , সে কিভাবে যেন সেই লাশ দেখেছে , খুবই ভয় পেয়েছে । সে সারা দিনই বলছে , আব্বুজি মুঝে ডরা তি হ্যায় , আর কোন কথা নাই ।ম্যানেজার ক্যাপ্টেন কে বলল এখন কি করা যায় বলেন তো , ?
স্যার এক কাজ করি , গেটের কাছের লাশটা তো প্রায়ই কাক খেয়েই ফেলেছে , একটা কম্বল দিয়ে প্যাঁচায়ে গেটের কাছে রেখে আসি , ওরা নিয়ে যাবে , আর এটা অনেক ফুলে গেছে , এটা নেয়া যাবে না, এটা এখানে কবর দিয়ে ফেলি ।
তো আমরা করলাম কি কোদাল , দা যা আছে নিয়ে বাইরে গেলাম , কবর খুঁড়তে, আর তো আর্মি পাহাড় থেকে সাথে সাথে ফাঁকা গুলি করা শুরু করল ,আমরা সবাই এক দৌড়ে ভিতরে এসে পড়লাম , ওরা কি ভাবছে জান ?
ভাবছে মনে হয় আমরা ট্রেঞ্চ খোঁড়ার জন্য গিয়েছি । ক্যাপ্টেন বলল , এক কাজ করেন , আমরা এক জন একজন করে যেয়ে মাটি খুঁড়ে আসি , তাহলে মনে হয় আর গুলি করবে না ।
তাই করলাম আমরা । এক জন যেয়ে খুঁড়ে আসি , ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসি , এভাবে কবর খোঁড়া হয়ে গেলে ক্যাপ্টেন যেয়ে একটা কম্বল দিয়ে ঢেকে কবর দিয়ে আসল ।
আহা যুদ্ধ , আহা মৃত্যু ।
একজন বাসায় এসে ক্যাপ্টেন এর কাছে পেট্রোল চাইল । তখন পেট্রোল পাম্প বন্ধ , তেল কোথাও পাওয়া যায় না । উনি তো গাড়ি নিয়ে যুদ্ধের সরবারহের কাজ করেন , তাই বললেন , ভাই , এক পাউন্ড ব্লাড দে সেকতা লেকিন এক পাউন্ড পেট্রোল নেহি দে সেকতা ।
আর এক দিন এক বিহারী আসলো দৌড়াতে দৌড়াতে । উনি ম্যানেজারের কেউ ছিল সম্ভবত , হাঁপাতে হাঁপাতে এসে বলল , স্যার আমাকে মুক্তি বাহিনী ধরছিল , আমি কোন রকমে ছাড়া পেয়ে আসছি ।
বল কি ক্যামনে ছাড়া পাইলা ?
স্যার আমাকে বলে , আমি নাকি বিহারী ! আমি বললাম যে কে বল্ল আমি বিহারী ? আমি রবীন্দ্রনাথের কবিতা শুনায়ে দিসি , তারপর আমাকে বাংলা বই পড়তে দিসে , আমি পড়ে শুনায়ে দিলাম , তারপর আমাকে ছেড়ে দিল !!!!
বিহারীরা যেহেতু পাকিস্তানি , তখন তাই কোন ছাড়াছাড়ি নাই , অনেক অবাঙ্গালীকে মেরে ফেলা হয়েছিল তখন। আবার বিহারীরাও অনেক বাঙ্গালীকে মেরে ফেলেছিল শেষের দিকে ।
বাংলা পড়তে না পারলে সেদিন তার খবর ছিল ! সেও এসে যোগ দিল আমাদের দলে !
এদিকে বিদ্যুতের তো বেহাল অবস্থা , ম্যানেজার সাহেব কে তো সার্কিট হাউজ থেকে আর্মি ডাকছে । আমরা তো জুনিওর আমাদের তেমন কোন কাজ নাই , আমদের অনেকেই দেশের বাড়িতে চলে গেছে , আমিও আর এখানে থাকলাম না , কিছু দূরে আমার চাচার বাসায় চলে গেলাম , ঠিক করলাম সহজে আর অফিসের দিকে যাচ্ছি না ।
কয়েকদিন পর ......
তেমন কোন কাজ নাই , ক্যাপ্টেন ম্যানেজার আরও সবাই বসে বসে তাস খেলে । এমন একদিন সন্ধ্যার সময় দুই জন লোক সিভিল ড্রেসে আসলো , ক্যাপ্টেন একটু এদিকে আসেন , সার্কিট হাউজ থেকে আপনাকে ডাকছে ।
তো উনি একে সাহসী মানুষ , তার উপর কিছু সন্দেহ করেননি , চলে গেলেন । একটু সামনেই আর্মির গাড়ি ছিল সেটা উনি জানতে পারেননি ।
সেই যে গেলেন , অপেক্ষা , অপেক্ষা , আর তো ফিরে আসেন না ।
সেই শেষ ,আর ফিরে আসেন নি । কোন খোঁজ ও পাওয়া যায়নি ।
পরদিন ম্যানেজার , কত খোঁজা খুঁজি , কেউ কিছুই জানেনা । কিছুই বলতে পারে না । ম্যানেজার বিহারী মানুষ , তার লিঙ্ক লাগায়ে কত যে খুঁজছে , লাশ ও যদি পাওয়া যেত !
পরবর্তীতে শুনেছিলাম , উনাকে তখনি মেরে ফেলা হয়েছিল ।
আমাদের ক্যাপ্টেন একজন অসাধারন মানুষ ছিলেন ,আমরা কত গুলো মানুষ তার বাসায় ছিলাম , খেয়েছি , সবই দেখাশোনা করা , মুক্তিযোদ্ধাদের সরবরাহ করা , কত কাজ যে উনি করতেন ।
আর সেই মেজর , তার কথা শুনেছিলাম , খুবই দুর্ভাগ্যজনক, শুনেছি পরবর্তীতে জিয়ার কেসে উনার কোর্ট মার্শাল হয়েছিল !!
যুদ্ধের তো আরও কতো গল্প আছে , এটাই ছিল আমার গল্প , আমার শোনা একটা সংক্ষিপ্ত গল্প ।