তখন ২০০৯ সাল, মাত্র এস.এস.সি. পরীক্ষা দিয়ে শেষ করলাম। হাতে এখন প্রায় তিন মাস ছুটি, মাথায় একটাই চিন্তা ছিল এই তিন মাস ছুটি কিভাবে কাজে লাগানো যায়। আমার এই চিন্তা যখন মাথায় ঘুরপাক দিচ্ছিল, ঠিক তখন এক বড় ভাইয়ের কাছে ইন্টারনেটে ডাটা এন্ট্রি করার কাজ পেলাম।
তখন আমি ইন্টারনেটের কিছুই জানিনা। সেই ভাই আমাকে সব কাজ কিভাবে করতে হয় তা শিখিয়ে দিলো। আমি আমার প্রতিদিনের কাজ যেখানে করতাম সেখানে সেই বড়ভাই দেখতাম অন্যান্য কাজের পাশাপাশি একটা ওয়েব সাইটে বেশির ভাগ সময় ঠুকে থাকতো।
আমার মনে কৌতুহল সৃষ্টি হলো, হটাৎ একদিন সেই বড় ভাইকে জিজ্ঞাসা করলাম, এইটা কিসের ওয়েব সাইট ? তখন উনি বললো এটা একটা ব্লগ। ব্লগ নাম আমার জীবনে প্রথম শুনলাম। তাই উনাকে আবার জিজ্ঞাসা করলাম যে ব্লগ মানে কি ? তখন উনি আমাকে ঠিক এইভাবে জিনিসটা বুঝালেন যে,
ব্লগ হচ্ছে ব্লগ হচ্ছে ওয়েবলগের সংক্ষেপ। এটি একধরনের ওয়েবসাইট; একটি অনলাইন জার্নাল বা ডায়েরী। অনেকেই নিজস্ব ওয়েবসাইটের বদলে ব্লগ রাখতে পছন্দ করেন, কারণ এটি সহজেই আপডেট করা যায় ও কোন কারিগরী জ্ঞান দরকার হয় না।
ব্লগ একটি খুবই ফ্লেক্সিবল লেখার মাধ্যম যাতে লেখার পাশাপাশি ছবি আর ভিডিও সংযুক্ত করা সম্ভব। এতে আপনি ডায়রী লেখার মত নিজের ভাবনা, অভিজ্ঞতা অপরের সাথে শেয়ার করতে পারবেন। এমনকি অন্যের লেখা বা ছবির উপর আপনার নিজস্ব মতামত রেখে অনেকের সাথে কথোপকথন শুরু করতে পারেন।
তারপর একদিন সামহয়ারইন ব্লগের ওয়েব সাইটটা ওপেন করে পড়তে শুরু করলাম। দেখলাম সাম্প্রতিক বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। তখন এমনিতেই আমারও লিখতে ইচ্ছা হলো। কিন্তু কিভাবে লিখবো ? কি করতে হবে ? আমি কিছুই জানতাম না।
হটাৎ চোখে পড়লো ব্লগ লিখতে চান ? রেজিস্ট্রেশন করুন। দিলাম এই লিখার উপর ক্লিক। দিয়ে সেই কাংক্ষিত স্থানটি চলে আসলো। রেজিস্ট্রেশন ফর্মটি যখন পুরন করি তখন আমি কম্পিউটারে বাংলা টাইপ জানতাম না। ইংরেজি স্থান গুলো পুরন করার পর আমি আমার নামের স্থানে যতই ইংরেজিতে লেখার চেষ্টা করছি, সেই স্থানে বাংলা উঠছিলো, কি আর করবো কি-বোর্ডের একটি বাটন চেপে ধরলাম বাস্ হয়ে গেল ১৫ টা “ত”। সেই থেকে সামুতে আমি “ততততততততততততততত”।
এই ছিল আমার নিক “ততততততততততততততত” এর কাহিনী।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৫