
ছবি-আমার ক্যম্পাস।
দেখতে দেখতে ৪ মাস হয়ে গেল।এখন মোটামুটি সব কিছু চেনাজানা হয়ে গেছে।হালকা পাতলা জার্মান ভাষা ও বলতে পারি।আমার ইউনিভার্সিটির ক্লাশ শুরু হয়েছে ১লা অক্টোবর কিন্তু ভিসা পেতে দেরী হওয়ার কারণে আমি পৌছাই ২২শে অক্টোবর,এই কারণে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়,৬মাসে সেমিস্টার ক্লাস হয় আড়াই মাস আর তার উপর আমি আসছি প্রায় ১ মাস পর,তাই অনেক আলাদা
Home Work করতে হইছে এই আড়াই মাস বন্ধের মাঝেও।
ছবি-ভার্সিটি হল।
দেরী করার ফল একটাই ভাল হয়েছে যা আমার আশাতীত ছিল।আমার ক্লাসে বিশ্বের ২১ টা দেশের ৪৫ জন ছাত্রছাত্রী ।প্রথম যখন ক্লাসে ঢুকলাম আমি 'থ' অবাক সবাই জানে যে বাংলাদেশের একটা ছাত্র আসবে,অনেকে আমি আসার সুবাদে
বাংলাদেশের নাম শুনেছে,শুধু তাই নয় সব স্যারেরা ও জানে যে আমি আসব ভিসা সমস্যার জন্য দেরী হচ্ছে।যে টিচারের ই প্রথম ক্লাস পাই তার প্রথম কথা তুমি বাংলাদেশ থেকে আসছ তাই না আরও অবাক হওয়ার পালা ২ য় যখন ভার্সিটি গেলাম আমার ক্লাসের একটা ছাত্রী এসে বলল তুমি ত দেরী করে আসছ তাই অফিস থেকে আমাদের সবাই কে ই-মেইল করা হয়েছে তোমাকে মিসিং লেকচার গুলো সম্পর্কে সাহায্য করতে।এটাই আমার গর্বের অনুভূতি বাংলাদেশ কে একটু হলেও চেনাতে পেরেছি বিশ্বের দরবারে,শুধু একটা জিনিস ই ভাল লাগেনা তা হল ক্লাস,বাড়ির কাজ আর পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোন ছাড় নাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৬:৫৫