ওয়েস্টার্ন পাঠক হিসাবে আমাদের বেশিরভাগ পাঠকের ওয়েস্টার্নের সাথে পরিচয় হয়েছিল সেবা প্রকাশনীর হাত ধরে। কাজী মাহবুব, শওকত হোসেন, রওশন জামিলরা আমাদের ওয়েস্টার্নের সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন ১৮৫০ সালের আমেরিকার পশ্চিম অঞ্চলের পটভুমিতে। সময়ের সাথে সাথে আমাদের সাথে পরিচয় হয়েছে ওয়েস্টার্ন মুভিরও।
এই ওয়েস্টার্ন মুভির আবার বেশ কয়েকটি ধারা আছে। এর ভিতর অন্যতম জনপ্রিয় ধারা হচ্ছে স্প্যাগটি ওয়েস্টার্ন। আর এই স্প্যাগটি ওয়েস্টার্ন মুভির কল্যানেই আমরা ডলার ট্রিলজি, সাবাতা ট্রিলজি, ম্যাগনিফিসেন্ট সিরিজসহ অসংখ্য ক্লাসিক ওয়েস্টার্ন মুভি।
স্প্যাগটি ওয়েস্টার্নকে আমরা খুব অল্প কথাতেই ব্যাখ্যা করতে পারি। স্প্যাগটি ওয়েস্টার্ন মুলত ইতালিয়ান ওয়েস্টার্ন। যেখানে ওয়েস্টার্ন মুভিটি পুরোটাই আমেরিকার বাইরে চিত্রায়িত, ইতালিয়ান, ম্যাক্সিকান, স্প্যানিশ এবং কিছু সংখক আমেরিকান অভিনেতা অভিনয় করেন। ভাষা অনেক সময় ইতালিয়ান, স্পেনিশ হয়। এবং চলচিত্রটি প্রথমে মুক্তি পায় ইউরোপে তারপর আমেরিকায়।
এখন বিস্তারিত আলোচনায় আসি।
স্প্যাগটি ওয়েস্টার্ন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বড় ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা তৈরি করে মাস্টার ওয়েস্টার্ন ফিল্মমেকার সারজিও লিওনার হাত ধরে। ১৯৬৪ সালে তার হাত দিয়ে যখন দ্য ফিস্ট ফুল অব ডলার বের হয় সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ফিস্ট ফুল অব ডলার সারা বিশ্বে স্প্যাগটি ওয়েস্টার্নের পরিচয় তুলে ধরলেও সর্বপ্রথম স্প্যাগটি ওয়েস্টার্ন কিন্তু এটা না। সর্বপ্রথম স্প্যাগটি ওয়েস্টার্নটি বের হয় স্প্যানিশ চিত্র পরিচালক রডোল ওয়ালসের হাত ধরে। তার দ্য শেরিফ অব ফ্র্যাকচার জ(১৯৫৮) প্রথম স্প্যাগটি ওয়েস্টার্ন। ব্রিটিশ,আমেরিকান,স্পেনিশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই সিনেমাকেই স্প্যাগটি ওয়েস্টার্নের জনক বলা হয়। এর বিপুল ব্যবসায়ীক সফলতা পরবর্তীকালে তাকে আরো একটি ওয়েস্টার্ন সিনেমা বানাতে উৎসাহিত করে। সেভেজ গান(১৯৬১) নামক এই সিনেমাটিও ব্যবসা সফল হয়।
এই স্প্যাগটি ওয়েস্টার্ন, ওয়েস্টার্ন মুভিতে অপরাজেয়, ভবঘুরে ও সুপার ড্র করার ক্ষমতাসম্পন্ন গান ফাইটারদের একটা ধারা তৈরি করে যা পরবর্তীকালে ওয়েস্টার্ন মুভির একটি অন্যতম অনুসঙ্গ হিসাবে তৈরি হয়ে আসছে। সেই সাথে একটা শহরে এক অপরিচিত গান ফাইটারের আগমন, কোন অপরিচিত র্যাঞ্চারকে সহায়তা করার জন্য প্রভাবশালী শত্রুর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরা, অত:পর প্রতিশোধ নেয়া এবং শেষে গানফাইটারের শহর থেকে প্রস্থান। মোটামুটি ফিস্ট ফুল ডলার মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত স্প্যাগটি ওয়েস্টার্ন মুভির ধারাটা এমনই ছিল।
১৯৬৪ সালে প্রথম যখন ফিস্ট ফুল অব ডলার মুক্তি পেল, সারজিও লিওনা নিজের অজান্তেই ওয়েস্টার্ন মুভির আরেকটি ধারা তৈরি করলেন। যেখানে তিনি এমন একজন গানফাইটার চরিত্র তৈরি করলেন যেখানে গানফাইটার কারো পক্ষে নয় উল্টো নিজের গোপন ইচ্ছাকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুই গ্রুপের সাথেই লিয়াজো করে নিজের ইচ্ছাকে প্রতিষ্ঠিত করে। মুলত জাপানি সিনেমা ইয়োজোমবো(১৯৬১) র ওয়েস্টার্ন রিমেক তৈরি করেন সারজিও লিওনা। কিন্তু যখন ইয়োজোমবোর পরিচালক আকিরা কোরোসোয়া তাকে পত্র পাঠিয়ে সিনেমা তৈরির জন্য অভিনন্দন জানান এবং এটাও মনে করিয়ে দেন সিনেমাটা শুধু তারই তখন লিওনার ঘুম ভাঙ্গে। তিনি ওয়েস্টার্ন চরিত্রে নতুন ইমেজ আনার চেষ্টা করেন। যারই ফল দ্য ফিউ ডলার মোর।
কিন্তু বক্স অফিসে ফিস্ট ফুল অব ডলারের সাফল্যকে কেন্দ্র করে ইতালি আর মেক্সিকোতে তৈরি হতে থাকে এই ধরনের বেশ কিছু স্প্যাগটি ওয়েস্টার্ন। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য কিছু ওয়েস্টার্ন হলো এ পিস্তল ফর র্যাংগো, ব্লাড ফর এ সিলভার ডলার, পেমেন্ট ইন ব্লাডসহ বেশ কিছু ব্যবসা সফল স্প্যাগটি ওয়েস্টার্ন।
এদিকে লিওনা নতুন কনসেপ্ট কে কেন্দ্র করে হাতে নেন তার ডলার ট্রিলজির ২য় মুভি ফর এ ফিউ ডলার মোরের কাজ। এইখানে তিনি তৈরি করেন ওয়েস্টার্নের আরেকটি ধারা। সেটা হচ্ছে দুই মুল চরিত্রের মাঝে ভঙ্গুর চুক্তি। যা দুই চরিত্রই নিজের সুবিধা মত কাজে লাগায়, এবং চুক্তি ভঙ্গ করে।
এই মুভিতে কর্নেল মারটিমোর আর এক বাউন্টি হান্টারের মধ্যে এমন একটা মিত্রতা দেখানো হয় যা দুই পক্ষই যানে এই চুক্তির মুল্য নাই এবং এই চুক্তি ভঙ্গ যেকোন সময়ই হতে পারে।
এই মুভির মাধ্যমে মুল চরিত্রে বাউন্টি হান্টারদের প্রবেশ ঘটে। এবং সবারই নিজের লক্ষ্যের প্রতি সরব্বোচ্চ গুরুত্ব নিয়ে এগিয়ে যায় কাহিনী। সেই সাথে ছদ্ম পরিচয়ে আউট লদের দলে ভিড়ে নিজের লক্ষ্য হাসিলের থিমটাও পরবর্তীকালে স্প্যাগটি ওয়েস্টার্ন পরিচালকরা গ্রহন করে। এই ফিল্মের সফলতাকে কেন্দ্র করে অ্যারিজোনা কোল্ট, ভিনজেন্স ফর মাইন, টেন থাউজেন্ট ডলার ফর ম্যাসাকার, দ্য আগলি ম্যান, ডেড ম্যান ডন্ট কাউন্ট, এনি গান কেন প্লের মতো বেশ কিছু ব্যবসা সফল মুভি বক্স অফিস ও আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ সফলতা লাভ করে। এবং এই মুভিতে সারজিও লিওনা দুই ধরনের চরিত্রকে একই সাথে নায়কের ভুমিকায় রোল প্লে করাতে সফল হন। একই সাথে একজন ল ম্যান এবং একজন আউট ল একই সাথে দুই জনে দুই দিক থেকে মুভির শেষ পরিনতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। পরবর্তীকালে এই থিমকে মাথায় নিয়ে একই সাথে বয়স্ক ও কম বয়স্ক হিরোর আগমন ঘটে।
পরবর্তীকালে ওয়েস্টার্ন মুভিতে এই ওল্ড টাইমার আর ইয়ং গানের সম্মনয়ে বেশ কিছু ক্লাসিক স্প্যাগটি ওয়েস্টার্ন তৈরি হয়। এর মাঝে লি ভল ক্লিফের ডেথ রাইড এ হর্স ও ডে অফ এঙ্গার বেশ বিখ্যাত।
এর মাঝেই স্প্যাগটি ওয়েস্টার্নে আরেকটি ধারা তৈরি হয় সবার অজান্তেই। এতো দিন ওয়েস্টার্ন হিরোরা মুলত আমেরিকান হয়েছেন কিন্তু এবার আমেরিকান হিরোদের জায়গায় চলে আসলো মেক্সিকান চরিত্র। যেখানে মেক্সিকান চরিত্রের মুল চরিত্র মেক্সিকান বিদ্রোহী বা আউটল(অনেকটা সেবা প্রকাশনীর সাবাডিয়ার চরিত্রের মতো)। স্প্যাগটি ওয়েস্টার্নের এই ধারাকে অনেক পরিচালক জাপাটা ওয়েস্টার্ন হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এতো দিন মেক্সিকানরা মুল চরিত্রে না থাকলেও তারা চলে আসে মুল চরিত্রে। এই ধরনের সিনেমার কিছু উদাহরণ হিসাবে ডমিনো দামিনির এ বুলেট ফর জেনারেল সারজিও সেলামির ট্রেলজি দ্য বিগ গান ডাউন, ফেস টু ফেস ও রান ম্যান রান, সারজিও কোরবাচ্চির মার্সেনারী। তবে এই ওয়েস্টার্ন খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারে নি।
এরই মাঝে ১৯৬৬ সালে মুক্তিপায় সর্বকালের সেরা ওয়েস্টার্ন মুভি ও সর্বকালের অন্যতম সেরা মুভি দ্য গুড, দ্য ব্যাড এন্ড দ্য আগলি। নেগেটিভ রোল কে গুরুত্ব দিয়ে এন্টি হিরোদের নিয়ে তৈরি হয় এই মুভি।
আপনি যদি দ্য গুড, দ্য ব্যাড এন্ড দ্য আগলি দেখেন মুভিতে আপনি ভাল কোন লোকের দেখা পাবেন না। মুভিটা শুরুই হয়েছে টুকোকে দিয়ে যে শুরুতেই ব্যাঙ্ক ডাকাতির সময় বিশ্বাস ঘাতকতা করে তার সহযোগীদের সাথে। তারপর পরিচয় হয় দ্য ব্যাড এঞ্জেল আইএর সাথে। যে নির্বিকার চিত্তে আমন্ত্রণ কারীর টেবিলে বসে খেতে খেতে তাকে গুলি করে। টাকার জন্য যেকোন কাজই দ্য ব্যাডের দ্বারা সম্ভব। তারপর দ্য গুড বলে পরিচিত বাউন্টি হান্টার ব্লন্ডির সাথে পরিচয়। যে কিনা শুধু টাকার জন্য উপর তিনজন বাউন্টি হান্টারকে নিরধিধায় হত্যা করে। এবং টুকোকে আইনের হাতে তুলে দেয় এবং ফাঁশির কিছুক্ষণ আগে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। মোট কথায় সারজিও লিওনা এন্টি হিরোদের নতুন করে সঙ্গায়িত করেন সিনেমা প্রেমীদের কাছে। সেই সাথে প্রতিশোধের ব্যাপারটা নতুন করে উপস্থাপন করেন। সেই সাথে টাকাই মুল লক্ষ, নীতি বা নৈতিকতা নয় এমন একটা ভাবধারা এই ওয়েস্টার্ন মুভির মাধ্যমে তিনি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। এই মুভির অনুপ্রেরণায়য় তৈরি হয় বেশ কিছু ওয়েস্টার্ন মুভি। এর ভিতরে উল্লেখ যোগ্য কিছু হলো এনি গান কেন প্লে, ওয়ান ডলার টু মেনি, কিল দেম অল, কাম ব্যাক এলোন সহ বেশ কিছু স্প্যাগটি ওয়েস্টার্ন মুভি।
এই সারজিও লিওনার ডলার ট্রিলজির ভিতরই উত্থান হয় ওয়েস্টার্ন মুভির অন্যতম আইকনিক চরিত্র জ্যাঙ্গোর। জ্যাঙ্গোকে বলা হয়ে থাকে ওয়েস্টার্ন মুভির সবচেয়ে অনুসরিত চরিত্র। জ্যাঙ্গোর মাধ্যমে স্প্যাগটি ওয়েস্টার্নে নতুন করে যোগ হয় ট্রেজিক হিরোর টার্ম। এই ট্রেজিক হিরোরা অতীতে কোন এক সময় ভিলেনের দ্বারা তার মা বাবাসহ পরিবারকে হারায় এবং পরে ফিরে এসে প্রতিশোধ নেয়, অথবা কোন অসহায় র্যাঞ্চারকে শত্রুর বিরুদ্ধে সাহায্য করে এবং অনেক সময় র্যাঞ্চারের মেয়ের সাথে প্রেম হয় এবং অজানা কোন কারনে শেষ পর্যন্ত প্রেমটা সফলতা লাভ করে না। আবার অজানার পথে পারি জমায় নায়ক। জ্যাঙ্গোর মাধ্যমে স্প্যাগটি ওয়েস্টার্নে এই থিউরির সফল প্রয়োগ ঘটান আরেক ইতালিও পরিচালক সারজিও কারবোচ্চী। আর এই জ্যাঙ্গো চরিত্রে অভিনয় করে অমর হয়ে আছেন ফ্র্যাঙ্কো নিরো। তার মাঝেই রাগী, মারকুটে, খোঁচাখোঁচা দাড়িয়ালা রুথলেস ওয়েস্টার্ন হিরোদের আগমন শুরু। ফিস্ট ফুল অব ডলারে ইস্টউড খোঁচা খোঁচা দাড়ি সহ অভিনয় করলেও রাগী চরিত্র হিসাবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেন নি, বরং তিনি ছিলেন অস্বাভাবিক ঠান্ডা। কিন্তু নিরো প্রথম সফলভাবে এ্যাংগরি ইয়ংম্যান হিসাবে নিজেকে ওয়েস্টার্ন হিরো হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন।
এর পরেই আসে কিংবদন্তি টেরেনকা হিল। টেরেনকা হিলের ট্রিনিটি সিরিজ স্প্যাগটি ওয়েস্টার্ন মুভিতে নিয়ে আসেন নতুন ধারা। ট্রিনিটি সিরিজ ওয়েস্টার্ন মুভিতে সফলভাবে কমেডির প্রয়োগ ঘটান। ফলে ওয়েস্টার্ন মুভিতে কমেডির একটা ধারা সৃষ্টি হয়। কোন স্থুল কমেডি না, খুব সুক্ষ কমেডির সফল প্রয়োগ হয় টেরেনকা হিলের মুভিতে। এর ধারাবাহিকতায় একে একে তৈরি হয় বুটহীল, এনজোর মতো কমেডি ওয়েস্টার্ন। আর টেরেনকা হিলের এই ট্রিনিটি সিরিজ কাহিনীর উপর কোন বাজে প্রভাব না ফেলে কমেডি ওয়েস্টার্নের একটা ধারা তৈরি করতে সক্ষম হয়। আর টেরেনকা হিলকে কেন্দ্র করে ইতালিয়ান পরিচালক এনজো বারবনি একে একে দে কলড মি ট্রিনিটি, ট্রিনিটি ইজ স্টিল মাই নেম, মাই নেম ইজ নোবডির মতো ব্যবসা সফল ওয়েস্টার্ন মুভি তৈরি করেন।
অত:পর শুরু হয় স্প্যাগটি ওয়েস্টার্নের পতনের। স্প্যাগটি ওয়েস্টার্নের জয়যাত্রা যার হাত দিয়ে শুরু হয়েছিল সেই সারজিও লিওনার হাত দিয়েই পতনের শুরু হয়। সারজিও লিওনার ক্লাসিক ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন দ্য ওয়েস্ট, ডাক ইউ সাকার এবং তার কো প্রডিউস সিনেমা মাই নেম ইজ নোবডি যখন আন্তর্জাতিক বাজারে মুখ থুবড়ে পরে তখন থেকেই পতনের শুরু হয় স্প্যাগটি ওয়েস্টার্নের। উপরুন্তু ডাক ইউ সাকার ও মাই নেম ইজ নোবডি ইন্টারন্যাশনালি যখন প্রচুর সমালোচনার স্বীকার হয় তখন থেকেই পতনের শুরু স্প্যাগটি ওয়েস্টার্নের। এরপর ১৯৮০ সাল পর্যন্ত স্প্যাগটি ওয়েস্টার্ন ইতালিয়ান বক্স অফিসে সফল ছিল কিন্তু এর আন্তর্জাতিক বাজার তারা হারিয়ে ফেলে।
বলা যায় ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত ছিল স্প্যাগটি ওয়েস্টার্নের স্বর্ণযুগ। এই ২০ বছরে ইতালিয় ও স্পেনীশ বক্স অফিসে প্রায় ৬০০ স্প্যাগটি ওয়েস্টার্ন মুক্তি পায়। এবং এর শতকরা ৯০ ভাগ ছিল প্রচন্ড ব্যবসা সফল। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কেট হারিয়ে ফেলায় এই জনরার ওয়েস্টার্ন মুক্তি পাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
স্প্যাগটি ওয়েস্টার্ন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচন্ড রকমের প্রভাব ফেলেছে পরবর্তীকালে। অতীতের অন্যায়ের প্রতিশোধ নিতে নায়কের ফিরে আসার যে ধারাটা স্প্যাগটি ওয়েস্টার্ন শুরু করেছিল তার সবচেয়ে ভাল ফলাফল দেখা যায় উপমহাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাকালে। এখনও এই দেশে প্রতিশোধ যেকোন সিনেমার অন্যতম প্রধান বিষয়বস্তু। বিশেষ করে ঢালিউড এই স্প্যাগটি ওয়েস্টার্নের ধারাকে নিজেদের অজান্তেই আপন করে নিয়েছে। বিখ্যাত শোলে মুভিকে এক হিসাবে ওয়েস্টার্নই বলা যায়। তাছাড়া চাউনিজ মরুভূমিকে কেন্দ্র করে নিও ওয়েস্টার্ন নামে আরেকটি ধারা চালু হয়েছে চীনে।
অনেক প্যাচাল পারলাম, শেষ কথা ওয়েস্টার্ন মুভির আসল মজাটাই স্প্যাগটি ওয়েস্টার্নে। এই ধারা চালু থাকুক অনন্তকাল
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫