সাকিব আল হাসান অবসর নিবে আর আমি কষ্ট পাবো না, সেটা তো হওয়ার কথা ছিল না । এই সাকিবের জন্যেই তো কত তর্ক করেছি একসময় ।
২০০৯ সালের পরে প্রথম আলোতে সাকিবকে নিয়ে কোন নিউজ মানেই মুখস্ত করার মত পড়েছি, সেটা হোক ভাল নিউজ বা খারাপ নিউজ কিংবা হোক ২০১২ তে উৎপল শুভ্রের কলাম “সাকিবের সঙ্গে ঢাকা টু মাগুরা”।
ক্যামেরায় অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি হোক, গ্যালারিতে গিয়ে পেটানো হোক, শেয়ার মার্কেট হোক, ফিক্সারের যোগাযোগের কথা না জানানো হোক, তামিমের সাথে ঝগড়া হোক, সাকিবের দোষ নাই। কোনো না কোনো একটা ফাঁক ফোকর দিয়ে তার দিকে টানতামই।
ইভেন যেদিন থেকে সে স্বৈরাচারের রাজনীতিতে যোগ দিল সেদিনও যে হাসিনা জোর করে পলিটিক্সে ঢুকাইছে এ কথা ভেবেও কিছুটা ভালবাসা জমিয়ে রেখেছিলাম সাকিবের জন্য। কিন্তু ভাই, কানাডা লিগে দর্শকের সাথে তার কনভারসেশনটা শুনার পরে আর সেই ভালবাসাটুকুও অবশিষ্ট ছিল না। তখনই বুঝেছিলাম সে তার ইচ্ছাতেই হইত স্বৈরাচারের সহযোগী হয়েছে ।
৫ই আগস্টের পরে স্বৈরাচারের দোষর হওয়ার অপরাধ বোধ থেকেও যদি নিজের ভুলটা একবার জনগনের সামনে স্বীকার করতো, তাও হইত মন মানাইতাম । কিন্তু সেটাও করলো না ।
কিন্তু আজ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাকিব ইস্যুতে যখন বললেন, “খেলোয়াড় সাকিবের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আছে। তবে ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে জনমনে তৈরি হওয়া ক্রোধের বিপরীতে নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা চাওয়া অবান্তর”
তখন একটু খারাপই লেগেছিল, কিন্তু পরক্ষনেই চোখের সামনে ভেসে উঠলো, জুলাই ম্যাসাকারর সময় সাকিবের সেই দাঁত কেলানো হাসি ।
সাকিব আল হাসান নিজের লেগ্যাসীটা নষ্ট করেছে, সাথে নষ্ট করেছে আমার ছোট বেলার আবেগ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩০