ইউক্রেনের ২০১৪ সালের অভুণ্থানের কথা অনেকেই জানেন না, সেটার সাথে ২০২৪ সালের বাংলাদেশের আন্দোলনের যোগ সূত্র খুবই স্পষ্ঠ । তখন ইউক্রেনে ছিল রাশান পন্থি সরকার , তাদের উচ্ছেদ করার জন্য আমেরিকা এক মহাপরিকল্পনা করেন ২০০৪ সালে -- বৈষম্যহীন ছাত্র আন্দোলনের মত সরকার বিরুধীদের নিয়ে মুভমেন্ট শুরু হয় ২০০৪ সালে এবং ২০১৪ সালে এসে এটার চুড়ান্ত রুপ ধারন করে এবং ১০০ জনের মৃর্তু হয় এবং রাশান পন্থি সরকারের পতন হয় । পরে তদন্তে বেড়িয়ে আসে ঐ সময় পুলিশের হাতে মারা যায় মাত্র ৭ জন এবং বাকি সবাই মারা যায় স্নাইপারের গুলিতে এবং স্নাইপার দিয়ে এই হত্যাকান্ড আন্দোলনকারিরাই করে ।
এই গণঅভ্যুত্থানে তৃতীয় পক্ষের স্নাইফারের গুলিতে ছাত্র ও পুলিশ হত্যার মাধ্যমে বিপ্লবকে আরো বেশি প্রভাবিত করা হয়েছিল। মার্কিন ফিল্ম মেইকার জন বেক হফম্যান তাঁর শক্তিশালী ‘মায়দান ম্যাসাকার’ ডকুমেন্টারিতে প্রমাণসহ দেখান - সেই আন্দোলনের উদ্দেশ্য, স্নাইফার দ্বারা হত্যায় আন্দোলনকে কিভাবে প্রভাবিত করা হয়, পশ্চিমা সমর্থিত সরকার বসানোর পেছনের স্বার্থ কি ছিল ইত্যাদি।
মি. হফম্যানের ডকুমেন্টারি মায়দান ম্যাসাকারঃ
Maidan Massacre
২০২৪ সালে বাংলাদেশের আন্দোলনে আমরা ঠিক একই দৃশ্য দেখতে পাই । বেড়িয়ে আসে ৭.৫৪ বুলেটের কাহিণী । এই বিষয় নিয়ে ধারা বাহিক ভাবে তথ্য উপাত্ত দিয়ে লিখা নিয়ে আসবো । আজকে আমি আলোচনা করবো মুগ্ধের হত্যাকান্ড নিয়ে ।
মুগ্ধের মাথায় গুলি লাগলো কি করে , সে ছিল মিছিলের মাঝখানে ?
গুলি বিদ্ধ ১৮ ই জুলাই ২০২৪,
পুলিশের ধাওয়া খেয়ে সবাই পালিয়ে যাচ্ছে অর্থাৎ পুলিশ ছিল পিছনে
তাহোলে পুলিশের গুলি মাথার পিছনে লাগার কথা এবং বুলেট ছিল রাবারের এবং পিছনের অনেকের গায়ে রাবারের বুলেট লেগেছিল ।
মুগ্ধ যখন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তখন তার কাছাকাছি ছিলেন বন্ধু জাকিরুল ইসলাম।
মুগ্ধ’র কপালে গুলি লাগার দৃশ্যকে তিনি বিবিসি বাংলা’র কাছে এভাবে বর্ণনা করেন, “গুলি লাগছিলো কপালে, মেয়েরা যেখানে টিপ পরে…ডান কানের পাশ দিয়ে গুলিটা বের হয়ে গেছে।”
মুগ্ধ’র বন্ধু জাকির শুক্রবার সকালে বিবিসিকে বলেন, “গুলি লাগার পর ওর মাথার ঘিলু বের হয়ে গেছিলো। ঘটনাস্থলেই, আমাদের চোখের সামনেই ও মারা গেল।”
এখন প্রশ্ন পুলিশের গুলি মাথার পিছনে লাগার কথা এবং মিছিলের মাঝের মানুষকে হিট করার কথা নহে এবং পুলিশ ১৮ই জুলাই ২০২৪ রাবারের গুলি ব্যবহার করছিল ।
পুলিশ যেহেতু গ্রাাউন্ড লেভেল থেকে গুলি করছে , তাই যারা গুলি খেয়েছে রাবারের বুলেটের সেগুলোর ছেদন ট্রেন্ড ছিল সমান্তরাল কিন্তু মুগ্ধের গুলি লাগার ছেদনের ট্রেন্ড ইনক্লাইড কপালে লেগে কানের পাশ দিয়ে বেড়িয়ে গেছে এবং তার পজিশন মিছিলের মাঝামাঝি । গুলি ছেদনের এংগেল বলছে ৩/৪ তালা কোন উচ্চতা থেকে ২০০/৩০০ মিটার দুরত্ব থেকে এই গুলি করেছে কোন স্নাইপার এবং এর দায় পড়ে সরকারের উপরে ।
আমি নীচে বিবিসি বাংলার খবরের লিংকটা দিচ্ছি বিস্তারিত বর্ণনা পড়ার জন্য ।
BBC DOT COM NEWS LINK
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৭:০২