গল্প সুমনের বাড়িতে শেষ ফেরা হলো না।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
সুমন শহরে থাকে ।সুমনের মা বাবা থাকে গ্রামের বাড়িতে।সুমনের শহরে ছোট ব্যবসা কিন্তু তার স্বপ্ন অনেক বড় । সুমনের মনে অনেক স্বপ্ন একদিন সে বড় লোক হবে তার পর সে একজন সুন্দরি পাত্রী দেখে বিয়ে করবে । তাই সুমন দিন রাত অনেক পরিশ্রম করতে শুরু করলো তার লক্ষ একটাই যে করেই হোক তাকে অনেক বড়লোক হতে হবে ।
সুমন বেশ কিছুদিন হয়েছে শহরে এসেছে অনেক দিন হয় সে বাড়িতে যায়নি।সুমনের মা বাবা শহরে আসলো সুমনের ভালোমন্দ জানার জন্য। সুমনের মা বাবা এখানে এসে সুমনের পরিশ্রম করতে দেখে কিন্তু তাতে তার
কোন সুফল দেখে না তাই মা বাবা চিন্তে করলেন ছেলেকে এবার বিয়ে করিয়ে ঘরে একজন সুন্দরি শিক্ষিত বউ আনবেন ।হয়ত বিয়ের পরে ছেলের কিছু উন্নয়ন হতে পারে ।
তাই একদিন বাবা মা সুমনকে বিয়ের কথা বললে সুমন বললো আর কতা দিন আমাকে সময় দেও মা বাবা বললো ঠিক আছে তোমাকে সময় দিলাম তবে এ সময় বেশি দিনের না তোমাকে ছয় মাসের ভেতরে বিয়ে করতে হবে ।
সুমন চিন্তা করলো সে বিয়ে করার আগে একটি বাড়ি কিনবে যাতে করে সে বিয়ে করার পরে বউকে নিয়ে নিজের বাড়িতে উঠতে পারে ।সুমন ছয়মাসের ভিতরে ভালো ব্যবসা করে সে একটি বাড়ি কিনল।এবার মা বাবা
তাকে বিয়ে করিয়ে দিল ।
সুমনের একটি সন্তান হলো ।সুমন আবার ব্যবসায় এত মনযোগি হলো যে কারনে সুমন ঘরে স্ত্রী সন্তান কাউকে ঠিক মত সময় দিতে পারতো না।
আর এ নিয়ে সুমনের স্ত্রীর সাথে প্রায় সময় কথা কাঁটাকাঁটি ও ছোট ঝগড়া হতো ।তার স্ত্রীর সন্তানের কথা সুমন কেন তাদের সময় দেয়না আর সুমনের কথা তার আর বড় হতে হবে।
বেশ কিছু দিন এভাবে চলার পরে সুমন দেখছে সে তার মোটামুটি ভালই উন্নয়ন হয়েছে তার আর উন্নয়নের
প্রয়োজন নেই । তাই সুমন ভাবলো এবার সে সকল ব্যবসা গুটিয়ে নিবে আর এখন শুধু স্ত্রী সন্তানদের সময় দিবে ।
সামনে ঈদুলফিতর মাত্র কয়েক দিন বাকি আছে সুমন বসে ভাবছে সে বিয়ের পর থেকে সন্তান হওয়া পযন্ত
এখনো একটি ঈদ সে তার স্ত্রী সন্তানদের সাথে করে নি
তাই সুমন ভাবলো এবার সে ঈদে তার স্ত্রী সন্তানদের সাথে থাকবে ।
দিন দেখত দেখত ঈদের সময় হয়ে গেল আর মাত্র তিন দিন বাকি ঈদের ।সুমন তার সকল সহ কর্মিদের কাছ থেকে এই ঈদে গ্রামের বাড়ি যাবে বলে বিদায় নিল।
সুমনের কাছে সুমনের স্ত্রী ফোন দিল তুমি এবার ঈদ আমাদের সাথে করবে ।সুমন বললো হ্যা আমিও ভেবেছি এবার তোমাদের সাথে ঈদ করবো।
সুমন ঈদের কেনাকাঁটা শেষ করলো পরদিন সকালে সে বাড়িতে চলে যাবে ।পরদিন সকালে সুমন তার খুব কাছের কয়েকজন বন্ধুর কাছে যায় বিদায় নেওয়ার জন্য তাদের সাথে কথা শেষ করে চলে আসবে এমন সময় সুমন ওখানে বসা থেকে উঠে আসতে তার বুকে হাত দিয়ে আবার বসে পড়লো ।
সুমনের বন্ধুরা তাকে সাথে সাথে হাসপাতালে নিলেন সেখানে ডাক্তাররা সুমনকে পরিক্ষা করে দেখে সে হার্ড স্টক করে মারা গেছে তার বন্ধুদের সংবাদটি দেওয়া হলো। সুমনের আর বাড়ি ফেরা হলো না জীবিত ।
স্ত্রী সন্তানদের সাথে সুমনের আর ঈদ করা হলো না।
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।
ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন
কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী
ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন