কখনো কখনো মিথ্যাচার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ছেলেবেলায় যেমন অবুঝ আর নিঃসঙ্গ ছিলাম এখনও সেরকম আছি। পার্থক্য শুধু, ছেলেবেলাটা হয়ত এতটা নিঃস্ব ছিলো না।
সন্ধি বিচ্ছেদ আর কারক বিভক্তি অনেক আগেই ভুলেছি। গিটারের শক্ত তার দিয়ে কেউ যখন নিজের গলা পেঁচায়, তখন তাকে কেমন দেখায়, জানা হয় নি। নিশ্চয়ই অদ্ভুত আর ভয়ানক নিঃস্ব। তারপরও তাকে পেঁচিয়ে থাকে একটা শক্ত তার। একজন জীবিত মানুষকে কি পেঁচিয়ে থাকে?
বিকেলগুলো কখনো কখনো আসলে খুবই রঙিন ছিলো। বড় আপুরা কেনো যে ওড়না পড়ত, বুঝিনি অনেকদিন, যদিও স্তন যে স্পর্শকাতর কোনো বিশেষ্য তা ঠিকই বুঝতাম। তবুও কোনো এক অদ্ভুত কারনে মাথায় আসেনি ওড়নার ব্যবহারিক কারন। বুঝেছি অনেক পরে, হঠাৎ করে, শেষ কৈশোরে।
বৃষ্টির আকুলতা হয়ত আরোপিত, তবুও সোদা মাটির ঘ্রাণ আর সবুজ ঘাস নিংড়ে বর্ষার দিনগুলো বয়ে যেতো মাদকতায়। মদ কি জিনিস, বুঝেছি আরো পরে, যৌবনে। রূপবতীর মদির চাহনি আর মদিরা,কোথায় যেন এক অদ্ভুত আন্তমিল!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৪৪