আওয়ামীলিগকে ভোট দিবেন না কারন
*যেই রাজাকার ইস্যু নিয়ে বিএনপিকে দোষারোপ করা হয়, সেই ইস্যুতে আওয়ামীলিগ ও সমানভাবে দোষী । এদেশে রাজাকারদের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা দিয়েছে আওয়ামীলিগ । তাই ২৯ ডিসেম্বরের ভোটের জন্য রাজাকার ইস্যু কোন ইস্যুই না । চারদলীয় জোটে মাত্র ৩৪ আসনে জামায়াতের প্রার্থীতা । ২৬০ এর মত আসনে বিএনপির প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দিতা করছে । অথচ ভেবে দেখেন, আওয়ামীমহাজোটে ৪৯ টা আসনে স্বৈরাচার এরশাদের জাতীয়পার্টির প্রার্থিতা !
**
১. এই দলের নেতারা এবং র্কমীরা অত্যন্ত প্রতিহিংসাপ্রবন। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের বড় ভাইরা যারা আওয়ামী শাসনের মুখে পড়েছিলেন তারা জানেন আওয়ামী ছাত্রলীগের কর্মিরা কত খারাপ হতে পারে। ঢাবিতে ছাত্রলীগ কর্মিরা মাস্টার্সের বড় ভাইদেরও মিছিলে যেতে বাধ্য করেছিল। এমনকি তারা পরীক্ষার জন্য দুই তলার ভেন্টিলটর দিয়ে পলায়নপর এক বড়ভাইকে টেনে ফেলে দিয়ে পা ভেঙ্গে ফেলেছিল।
প্রতিহিংসার আরও নমুনার কথা নাই বললাম.....২৮ অক্টোবরের কথা কখনোই ভুলতে পারবো না
২. এরা ভারতকে নিজেদের সবচেয়ে বড় বন্ধু মনে করে। অথচ ভারত কখনোই আমাদের বন্ধু ছিল না। এটা যে ভুল তারা সেটা মানতে চায় না।
৩. এরাই দেশের নামে বিদেশে অপপ্রচার চালায়। তাদেরই সম্ভাব্য নেতা সজীব ওয়াজেদ জয় বিদেশে বাংলাদেশকে মৌলবাদি হিসেবে প্রচারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
৪. এরা জনগনের অর্থের তহবিল তছরুপকারী। শেখহাসিনা তার শাসনামলে যতবার বিমান ভ্রমন করেছেন তাতে গোটা পৃথীবি ২০বার প্রদক্ষিন হয়ে যায়।
সাংসদদের টেলিফোন বিল সরকারের পক্ষ থেকেই দেয়া হয়। আর আমাদের তোফায়েল ভাই সেটা নিজের মনে করে খেয়ে ফেলেন আর কোটি টাকা বিল বকেয়া রাখেন।
৫. এরা সবসময় মারাত্নক রকম আক্রমনাত্নক। এরাই লগিবৈঠা'র হুমকি দিয়ে তা বাস্তবায়ন করে। এদের নেত্রীই একটি লাশের বদলে দশটি লাশের হুমকি দেয়।
৬. এ দলটি তার জন্মলগ্ন থেকে এই চরিত্র বহন করে আসছে। দেশে প্রচন্ড রকম অস্থিরতা তৈরি করে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করাই এদের স্বভাব।
৭ . যারা বাকশালী শাসন দেখেছে , যারা রক্ষিবাহিনীর তান্ডব প্রত্যক্ষ করেছে, যারা কয়েক লাখ জাসদ কর্মীর নির্মম হত্যার দৃশ্য মনে রেখেছে তাদের কাছে রাজাকার আলবদর কোন ফেক্টর নয়
৮. আওয়ামী লিগকে ভোট না দেবার মুখ্য কারণ হচ্ছে, চিহ্নিত দেশদ্রোহিদের সাথে এদের ঘনিস্টতা। দেশে বিদেশে যে সব দালাল বাংলাদেশ বিরোধী চক্রান্তের সাথে জড়িত, তাদের পেছনে রাজনৈতিক শক্তি জোগান দেয় আঃলীগ। এ ছাড়াও বাংলাদেশে সন্ত্রাসের নিত্য নতুন উদ্ভাবন, ভারতের মত শত্রু রাস্ট্রের সাথে মাখামাখি, এই সবই হলো, আঃলীগের ট্রেড মার্ক।
৯. আওয়ামীলীগ কে ভোট না দেবার জন্য একটা কারণ ই যথেস্ট। সেটা হচ্ছে সন্ত্রাস। জোট সরকার আর যাই করুক অন্তত র্যাব গঠন করে মানুষ কে শান্তিতে ঘুমাবার নিশ্চয়তা দিয়েছিল
১০. চারদলীয় জোটকে শুধুমাত্র এ কারনে ভোট দেয়া উচিত যে তারা র্যাব গঠন করেছে এবং পরিপূর্ণ দক্ষতার সাথে র্যাব বাহিনীকে পরিচালনা করেছে । র্যাবের সন্ত্রাস-গডফাদার বিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালিয়েছে যারা, তারাই সব চৌদ্দ দলে ভীড় জমিয়েছে । সন্ত্রাসীদের জন্য মায়াকান্নাও কেদেছে আওয়ামীলীগ আর বাম দলগুলো ... র্যাব বাহিনীর কথা জনগন যতদিন মনে রাখবে চারদল ছাড়া অন্য কোন দলকে তাদের পক্ষে ভোট দেয়া সম্ভব না
১১. আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে (১৯৭১-১৯৭৫, ১৯৯৬-২০০১) দেশের মানুষ দুর্ভিক্ষ, ছিনতাই, চাদাবাজি, খুন এসবের মধ্যে ছিল। প্রতি পাড়াতেই আওয়ামী মাস্তানরা সবার জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল।
১২. আওয়ামী লিগ সরকারের আমলে দেশে আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা সহ অন্যদের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি, চাদাবাজি ও টেন্ডার ছিনতাই হয়েছে। গত দুই বছরে প্রকাশিত আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের দুর্নীতির মামলা, অডিও টেপ এবং পত্রিকার খবরে এগুলোর বিস্তারিত এসেছে।
১৩। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের জোটকে ভোট দিলে,
(ক) এরশাদের মত কুখ্যাত স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট হবে।
(খ) ভারতের সাথে গঙ্গার অসম পানি বন্টন চুক্তির মত বন্দর চুক্তি, ট্রানজিট চুক্তি হবে।
(গ) আওয়ামী নেতাদের ছেলে-সন্তানরা আপনার মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে।
(ঘ) ইসলাম ধর্ম বিদ্ধেষী বিভিন্ন নীতি প্রচলন করা হবে।
(ঙ) নানা ধরনের জঙ্গি ইসলামী দলের সাথে নতুন করে কোন চুক্তি হবে।
(চ) দেশে ব্যাপক হারে দুর্ণীতি বানিজ্য হবে।
(ছ) দেশে জয় নামক নতুন যুবরাজের তৈরি হবে।
(জ) মুক্তিযোদ্ধারা শুধুমাত্র রাজনৈতিক কাজেই ব্যবহাত হবে। তাদেন স্বার্থের জন্য কিছুই করা হবে না।
(ঝ) দেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে না। নানা ধরনের প্রোপাগান্ডা শুরু হবে।
(ঞ) বিসিএস সহ চাকুরীতে চরম ভাবে নিয়োগ বানিজ্য হবে। যেহেতু গত ৭ বছরে এরা বেশী সুযোগ পায় নি।
(ট) হিজাব আর তসবী নিয়ে আবার নতুন করে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা শুরু হবে।
(ঠ দেশের টাকা ভারত, আমেরিকা আর লন্ডনে পাচার হবে।
(ড) দুর্নীতির গাদা গাদা কেস খেয়েও নির্লজ্জের মত কেউ বলবে না: আমি ও আমার পরিবার নির্দোষ। ভোটের আগে আগের ভূলের জন্য মাপ চেয়ে ভোটের পর ভূল যাবে না।
(ঢ) দেশে, শামীম ওসমান, হাজারি, হাজি সেলিম, হাসনাত ইত্যাকার গডফাদার তৈরী হবে।
(ন) কেউ বলবে না, “বাংলাদেশ একটি চরম মৌলবাদী দেশ” এবং ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্হা নির্মূল করার জন্য নানা রকম পরিকল্পনা করবে না। ইত্যাদি।
দেশ আওয়ামী লীগের পরিকল্পনায় ২২ জানুয়ারী ২০০৭ এর নির্বাচন বর্জনের পর থেকেই গভীর সংকটে আছে। এই অবৈধ সরকারের অনেক নিপিড়নমূলক কাজ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় যাওয়ামাত্রই বৈধতা দিবেন বলে ঘোষনা করেছেন।
এই দেশকে আবার সঠিক পথে আনতে আপনার ভোটই হচ্ছে একমাত্র অস্ত্র। তাই আর যাই করুন মুখে এক কথা আর মনে আরেক কথা, দেশের মানুষকে ডেড লাইন, অবরোধ ইত্যাদি দিয়ে অশান্তিতে রাখা, ইহুদী পারিবারিক আত্মীয় সজনে পূর্ণ আওয়ামী লীগকে ভোট দান থেকে বিরত থাকুন। অন্য যেকোন দলকে দিন, আওয়ামী লীগকে না বলুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:১০