গতকাল ব্লগে যারা কৌশিকের পোষ্ট থেকে খবরটা শুনেছেন , সে ব্যাপারে বিস্তারিত । লিফলেটের বক্তব্য নয়াদিগন্তে কিছুটা এসেছে । জয়ের ইসলামীকরন প্রতিরোধ বিষয়ক থিসিসের বাংলায় অনুবাদ পাবেন এখানে ...
লিফলেটের আলোচ্য বিষয়গুলো হলো বাংলাদেশের সেনা বাহিনীতে ইসলামি মৌলবাদী বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেনাবাহিনীতে ঢোকার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে মাদ্রাসায়। গত ৫ বছরে বাংলাদেশে বোরকার বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০০ ভাগ। আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হলে ইসলামীকরণ প্রতিহত করার কথাও উল্লেখ করেছেন জয়।
জয়ের বক্তব্য সংবলিত লিফলেট বিলির অভিযোগে বুয়েটের ৪ শিক্ষার্থী আটক
শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের লেখা প্রবরে বিতর্কিত কিছু বক্তব্য নিয়ে প্রকাশিত লিফলেট বিলি করার অভিযোগে বুয়েটের চার শিক্ষার্থীকে আটক করেছে আওয়ামী লীগ নেতারা। গতকাল দুপুরে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে আটকের পর তাদের রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ নিয়ে দুপুর থেকে রাত অবধি রমনা থানা চত্বরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভিড় ও হট্টগোল করেছেন।
অপর দিকে আটককৃতরা অভিযোগ করেছেন, ধানের শীষের লিফলেট বিলি করার সময় রাস্তা থেকে তাদের জোর করে ধরে নিয়ে আসা হয় থানায়।
এ ব্যাপারে রমনা থানার ওসি দৌলত আকবার ‘নয়া দিগন্ত’কে জানান, জয়ের লেখা প্রবন্ধের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকাশিত লিফলেট বিলি করার অভিযোগে মগবজারা এলাকা থেকে চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন স্খানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। অভিযোগ পাওয়া গেছে, জয়ের বিরুদ্ধে ওই লিফলেটের মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছিলেন তারা। আওয়ামী লীগ নেতা ড. দিলিপ রায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অপর দিকে গ্রেফতারকৃতদের ব্যাপারে রমনার ওসি বলেন, ইকবাল, হিমেল, সামাদ ও জাহিদ নামের এই চার যুবক বুয়েটের ছাত্র। গ্রেফতারকৃতরা দাবি করেছেন, তাদের জোর করে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা থানায় নিয়ে আসেন। এ সময় তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোনগুলোও ছিনিয়ে নেয়া হয় বলে গ্রেফতারকৃতদের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর থেকেই এ ব্যাপারে তদন্ত পরিচালনা করা হচ্ছে। উভয়ের বক্তব্য ও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। তদন্ত সাপেক্ষেই নির্ধারণ করা হবে যে এ বিষয়ে দায়েরকৃত অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে কি না। তবে আটককৃতদের রমনা থানায় রাখা হয়েছে।
অভিযুক্ত চার শিক্ষার্থী ‘নয়া দিগন্ত’কে জানান, তারা সবাই বুয়েটের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। গতকাল দুপুরে তারা সম্মিলিত কর্মজীবী পরিষদের ইস্কাটনের অফিস থেকে ধানের শীষের কিছু লিফলেট এনে তা বিলি করতে করতে মগবাজার এলাকায় আসেন। এ সময় আওয়ামী লীগের ঊচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে কোথা থেকে জয়ের একটি লিফলেট বের করে ওই কাগজ বিলি করার অভিযোগ আনা হয় তাদের ওপর।
তারা এর প্রতিবাদ করলেও কোনো লাভ হয়নি, তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে জোর করে রমনা থানায় নিয়ে আসা হয়। পুরো ঘটনাটিই একটি ষড়যন্ত্র বলেও অভিযোগ করেন ওই চার শিক্ষার্থী।
এ দিকে লিফলেটটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ‘বাংলাদেশে ইসলামি উগ্রবাদের উথান-দমন’ শীর্ষক জয়ের একটি লেখা গত ১৯ নভেম্বর আমেরিকা থেকে প্রকাশিত হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশনাল রিভিউতে ছাপা হয়। ইরাক ও সৌদি আরবে দায়িত্বরত মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা কার্ল জে. সিওভাচ্চোর সাথে যৌথভাবে লেখা নিবনে বাংলাদেশে মৌলবাদের বিস্তারে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বক্তব্যগুলোই ইসলাম বাঁচাও দেশ বাঁচাও শ্লোগান সংবলিত লিফলেটের মধ্যে পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৬