জরিপটি করা হয়েছে অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে। এমনকি নির্বাচনী এলাকাগুলোর বিএনপির নেতা কর্মিদেরকেও জরিপ সম্পর্কে অবহিত করা হয়নি। প্রতিটি আসনকে আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এসব বিশ্লেষণের মধ্যে প্রার্থীরযোগ্যতার পাশাপাশি নির্বাচনে তাদের ব্যয়ের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪ দলীয়জোট ১৬০ থেকে ১৭০টি আসনে জয়লাভ করতে পারে। মাঠ পর্যায়ে জরিপটি পরিচালনা করেন সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান। বৃহত্তর ময়মনসিংহ, মুন্সীগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও বরিশাল ছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকায় ৪ দলীয় জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে বলে জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে অনেক নতুন ভোটার এসেছেন। তাদের ভোটদানের ট্রেন্ড সম্পর্কে এখনি কিছু বলা যাবে না। তাদের সম্পর্কে বলা যাবে ২৯ তারিখ নির্বাচনের পরে। সাধারণ একটি ধারনা হলো নতুন ভোটাররা যদি ৫০ শতাংশ ভোট আওয়ামী লীগকে দেয় তবে বাকি ৫০ শতাংশ ভোট বিএনপিকেও দিবে। কারণ এ নতুন ভোটারদের সম্পর্কে বিএনপির যেমন ধারনা নেই তেমনি আওয়ামী লীগেরও ধারনা নেই।
কিন্তু গত কয়েকটি নির্বাচনের ফলাফল ভোটারদের মানসিকতা ও এলাকায় প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা বিচার করে বলা যায় বিএনপি নুন্যতম ১৬০ টি আসনে জয়লাভ করবে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির জোটভূক্ত ভোটের ব্যাপারে বলা যায়, জাতীয় পার্টির ভোট প্রধানত আওয়ামী লীগ বিরোধী ভোট। যেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দূর্বল কিন্তু জাতীয় পার্টির ভাল প্রার্থীও নমিনেশন পায়নি সেখানে জাতীয় পার্টির ভোটাররা অবশ্যই ৪দলীয় প্রার্থীকে ভোট দিবেন।
সরকারের মধ্যে ধারণা ছিল তাদের ২ বছরের অত্যাচারে বিএনপি দূর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার রাতদিন নির্বাচনি প্রচারণার ফলে জনমত ৪ দলীয়জোটের পক্ষে চলে এসেছে।
গতবারের নির্বাচনের হিসাব করা হলেও আওয়ামী লীগকে ১৫১টি আসনে নির্বাচিত হয়ে আসতে হলে ৭৫টি আসনের বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে আসতে হবে। কিন্তু চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বৃহত্তর নোয়াখালী, বগুড়া, বৃহত্তর ঢাকা ও সিলেটের সংসদীয় আসনগুলোর হিসাব থেকেই বলা যায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ৭৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসতে পারবে না।