আগামী বুধবার বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড ধ্বংস হয়ে যাবার আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল হিন্দুস্তান টাইমসের ‘এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড অন ওয়েন্সডে’ এবং ঈভিল অবতার ডটকমের ‘এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড নেক্সট ওয়েন্সডে’ শিরোনামে দুইটি খবরে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করা হয়।
আগামী বুধবার জেনেভার কাছে পরমাণু গবেষণা সংক্রান্ত ইউরোপীয় সংস্থার (সিইআরএন) পদার্থ বিজ্ঞানীরা ৬শ কোটি ডলার মূল্যের ৪শ কোটির বেশি অণু বিচূর্ণকারী একটি যন্ত্র পরীক্ষা করবেন। যন্ত্রটির নাম ‘লার্জ হাড্রন কলাইডার’ (এলএইচসি)।
যন্ত্রটি পরীক্ষার দিন মহাপ্রলয় বা কেয়ামত হবে। যন্ত্রটির পরীক্ষা বন্ধ করার দাবিতে একদল বিজ্ঞানী ইউরোপীয় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। তারা দাবি করছেন যে, এলএইচসি খুলে দেয়া হলে তাতে হয়তো একটি ক্ষুদ্র কৃষ্ণ গহ্বর সৃষ্টি হবে যা ভূপৃষ্ঠে পতিত হবে এবং পৃথিবীকে গলাধঃকরণ করে ফেলবে। নয়তো মহাকাশে বিপর্যয়কর পৌনপৌনিক বিক্রিয়া ঘটবে।
চেইন রিএ্যাকশন হলে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে। ১৯৯৪ সালে এ প্রকল্প হাতে নেয়ার সময় থেকে একদল ভবিষ্যদ্বক্তা বলতে থাকেন যে, ১ হাজার ৩শ’ ৭০ কোটি বছর আগে মহাকাশে যে ধরনের বিরাট শব্দ সৃষ্টি হয়েছিল, কলাইডার খুলে দেয়া হলে অনুরূপ শব্দ সৃষ্টি হবে। তারা মনে করেন, তাতে মহাপ্লাবন হওয়ার সত্যিকারের ঝুঁকি বিরাজ করছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:২৭