গতকাল নিউয়র্ক টাইমস রোহিঙ্গাদের নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে এক চরমপন্থি বৌদ্ধ ভিক্ষুর কথা উল্লেখ করেছে, যেখানে ঐ ভিক্ষু বলেছে, "রোহিঙ্গারা সাপের মতো- কুকুরের চেয়েও অধম"।
প্রতিবেদন
ঐ প্রতিবেদনে মায়ানমারের এমপি, মন্ত্রী- গ্রাম্য প্রশাসকের মন্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। যারা কেউই চায় না রোহিঙ্গারা ফিরে আসুক আবার মায়ানমারে ।
তারা সবাই মিথ্যাচার করেছে মোটামুটি। দেখিয়েছে চরম অসহিষ্ণুতা। তারা রোহিঙ্গাদের বাঙ্গালী বলে অবহিত করেছে। তারা সবাই খুশি মায়ানমার রোহিঙ্গামুক্ত হয়েছে বলে।
আর এদিকে আমরাও খুশি- আমরা মানবতা দেখিয়েছি! আমাদের মনে মানবতা প্রচুর। আমরা দশ লাখ প্লাস রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। আশায় বুক বেঁধে আছি মায়ানমার আন্তর্জাতিক চাপে তাদের আবার ফিরিয়ে নেবে। এই আশা এক দুঃস্বপ্নের চিত্রায়ন। এই দশ লাখ প্লাস লোকের বোঝা আমাদের সারাজীবন টেনে নিতে হবে। যেখানে বাংলাদেশের নাগরিকরাই তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছে না সেখানে বছর বছর শিশু জন্ম দেওয়া রোহিঙ্গাদের ভরণ-পোষণ করতে হবে। এ এক অাবেগের অভিশাপ।
ঐ প্রতিবেদনে মায়ানমারের একজন বলেছে রোহিঙ্গারা 'ক্রেজি' এবং 'সংঘর্ষপ্রিয়'। এ কথাটা কিভাবে অবিশ্বাস করি! গত ২২ অক্টোবরের খবর অনুযায়ী রোহিঙ্গা নারীর হামলায় পুলিশের এক এসআই আহত হয়েছেন। এ খবর আমাদের জন্য অশনিসংকেত। এই রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক ক্রাইমে জড়িত হবে অদূর ভবিষ্যতে। এটা চোখবুজে বলে দেওয়া যায়। তাই আমরা নিজেরাই গ্রহণ করলাম মানবতার অভিশাপ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৩