কিছুক্ষণ পরেই ঘড়ির কাটা ১২টার ঘরে চলে আসবে। শুরু হবে ভালবাসা দিবস। আপনি হয়তো টেক্সট করবেন- কথা বলবেন আপনার ভালবাসার মানুষটির সাথে। হয়তো ঠিক করবেন সকালে ঘুম থেকে ওঠে কোথায় দু'জন একান্তে সময় কাটাবেন। আমার এই লেখা আপনার উদ্দেশ্যে বোন। জানি আপনি হয়তো দেখবেন না। তবুও লিখছি;
“ভালবাসা” চিরসত্য টার্ম। এইটা আদিতেও ছিল- পৃথিবীর শেষেও থাকবে। আপনি ভালোবাসুন। কিন্তু জেনে রাখবেন, এই ভালবাসাই কিন্তু শেষ নয়। এইটা কিছুদিন পরে হয়তো বদলে যাবে। বদলে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। ক্রমবর্ধমান প্রক্রিয়া। যেখানে বিবাহিত জীবনে ফাটল ধরে- আর প্রেম তো মাত্র একটা কমিটমেন্ট।
তাই ভালবাসার দিবসটি উদযাপনে একটু সতর্ক হোন। আমাদের সমাজ আপনার জন্য বড়ই নিষ্ঠুর। একবার ভুল করলে এই সমাজ আপনাকে ক্ষমা করবেনা। আপনি যদি কিশোরী হোন- ১৮/২০ বছরের হোন; তাহলে যেনে রাখবেন – আপনার ভালোবাসায় আবেগ ৮০ ভাগ। এই আবেগের কারণে আপনি বুঝতেও পারবেন না কী ভুল আপনি করবেন। আপনার ভালবাসা হয়তো থাকবে খাটি। কিন্তু আপনার সঙ্গী হয়তো আপনার ভালবাসার সুযোগ নেবে। সেই সুযোগ সন্ধানী মানুষটিকে কোনো সুযোগ দেবেন না।
তাই আগামীকাল সাবধানে থাকুন।
যেখানে বিবাহিত নারী, ১০-১৩ বছরের কিশোরী নির্যাতিত হচ্ছে- সেখানে আপনি তো অবধারিত। এই নির্যাতনটা কিন্তু কাছের মানুষের দ্বারাই বেশি হচ্ছে। আজও আমাদের সংসদে শিশু-কিশোরী নির্যাতনের কথা আলোচনা হয়েছে। গত বছরের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে দেশে ৮০ ভাগ নারী যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন আপন মানুষদের দ্বারা। তাই জেনে রাখুন- আপন মানুষ আপন না।
আপনি জানেন না আপনার সঙ্গীর মনের কথা। তাই নিজের নিরাপত্তা নিজেই গ্রহণ করুন। নিজেই হোন নিজের পুলিশ।
• আগামীকাল চলার পথে / বেড়ানোর স্থানে ভীড় এড়িয়ে চলুন।
• আপনার সঙ্গীকে নিয়ে খোলা জায়গায় সময় কাটান।
• কোনভাবেই আবদ্ধ স্থানে সময় কাটাবেন না। আর যদি কাটানই; তবে কোনভাবেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলোর ছবি/ভিডিও করবেন না।
• হোটেল/রেস্টুরেন্ট এর কেবিনগুলো ব্যবহারে সতর্ক হোন।
এসব খুব সাময়িক ব্যপার। আপনার জীবন অনেক দীর্ঘ এবং মূল্যবান।
আপনার ভালবাসার মানুষটি যদি আপনাকে সত্যিকারের ভালবাসে: জেনে রাখুন; আপনার একটা হাতের ছোঁয়াই তাকে ভালবাসার তৃপ্তি দেবে।
তাই একটি ছায়াময় পথে হেঁটে হেঁটে হাতটি ধরুন, আর বলুন “খুব ভালবাসি”।
ভালবাসা ভালবাসায় থাকুক!