নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...............

শ্রাবণধারা

" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."

শ্রাবণধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রনাথ, ঋত্বিক ঘটক এবং ব্লগার রাজীব নুরের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

২৬ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯



লেখাটির সূচনা বিষাদ সময়ের সাম্প্রতিক পোস্ট "ব্লগের সাতকাহন" এ অপ্রকাশিত একটি মন্তব্যের সূত্র ধরে। বিষাদ সময়ের লেখাটি ব্লগের বর্তমান অবস্থা বিষয়ে যুক্তিপূর্ণ ও সুলিখিত ছিল। কিন্তু কিছু কারণে সেখানে আর মন্তব্যটি প্রকাশ করিনি। মানুষের মনস্তত্ত্ব নিয়ে আমার কৌতূহল আর চিন্তাকে কিছু বর্ধিত আকারে প্রকাশ করার চেষ্টা এই লেখাটি।

রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ভারতীয় মনস্তত্ত্ববিদ সুধীর কাকর একটি ভিন্ন ধরনের জীবনী গ্রন্থ লিখেছেন। বইয়ের নাম "তরুণ রবীন্দ্রনাথ: এক মহান প্রতিভার নির্মাণ (Young Tagore: The Makings of a Genius)"। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লেখা অন্য জীবনীগ্রন্থ থেকে এই বইয়ের পার্থক্য হলো এই জীবনীটি মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলোকে ব্যাখ্যা করে। আমরা যখন কারো জীবন সম্পর্কে জানি, তখন সচরাচর এই প্রশ্ন করি না যে কেন তিনি মানুষ হিসেবে এমনটি হয়ে উঠলেন।

জাফর ইকবালের একটা গল্পের কাহিনি এমন ছিল যে আইনস্টাইনকে ক্লোন করে যে নতুন আইনস্টাইন বানানো হলো, তিনি বিজ্ঞান সম্পর্কে কোনো আগ্রহই দেখালেন না। তিনি হয়ে উঠলেন একজন বেহালাবাদক। আমাদের মনের আবেগ-অনুভূতি, একাকীত্ব, আত্মীয়-পরিজন-বন্ধু, সামাজিক-রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ এবং প্রতি মুহূর্তে মনের ভিতরে জন্ম নেওয়া ভাবনা-চিন্তা-সিদ্ধান্তগুলো আমাদের জীবনটাকে ঠিক কীভাবে পাল্টে দেয় এবং আমাদের এক বিশেষ মানুষ হিসেবে তৈরি করে - এই বইটি রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে সেই প্রশ্নগুলির উত্তর খোঁজে।

মজার বিষয় হলো, বইটি কিছুদূর পড়ে মনে হলো যে মনস্তত্ত্বের বিষয় হিসেবে রবীন্দ্রনাথের চরিত্র কৌতূহলোদ্দীপক নয়। রবীন্দ্রনাথের অসামান্য প্রতিভা সমুদ্রের মতো বিস্ময় জাগায় সন্দেহ নেই। কিন্তু সেখানে ঠিক রহস্য নেই। পুরোটাই যেন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। সেখানে একাকীত্ব আছে, নৈরাশ্য নেই। সেখানে সংসারের বহু দুঃখ-কষ্ট-বেদনা আছে, বিদ্রোহ নেই। সেখানে এত প্রবল অধ্যাবসায়, নিয়মানুবর্তিতা আর শৃঙ্খলা যে মনে হয় এ যেন মহাপুরুষের জীবন। তাই মনে হলো, সুধীর কাকর যদি বাংলা চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটককে নিয়ে এমন মনস্তাত্ত্বিক জীবনী লিখতেন তাহলে সেটা বেশি আগ্রহোদ্দীপক হতো। প্রতিভার সাথে ঋত্বিকের চরিত্রে নিরাশা, ক্ষোভ, বিপ্লব ও ব্যর্থতা এবং দেশভাগের কারণে শিকড় থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়ার যে এক বেদনাদায়ক জটিল মানসিক পরিস্থইতি তৈরি করেছিল, সেটা তার মনস্তত্ত্বকে কালবৈশাখীর মত বিধ্বস্ত আর রহস্যময় করে তুলেছিল।

আমাদের অনেকের চরিত্রে ঋত্বিকের প্রতিভা না থাকলেও রহস্যময়তা হয়তো আছে। ব্লগার রাজীব নূর সম্ভবত তেমনি একজন। এই যে রাজীব বিভিন্ন সময়ে অন্যের লেখা কপি করতেন, এর মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা কি আমরা খুঁজে দেখেছি? উন্নত দেশগুলোতে দেখা যায় অপরাধীদের মনে কোন অসুখ আছে কিনা তা নির্ণয়ের জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞ থাকেন। কিন্তু আমাদের সমাজে "আগে মাইর দিয়ে নেই, পরে দেখা যাবে" এই ধরণের মানসিক বিকলতা দেখা যায়। আমরা কি লেখা কপি করার জন্য প্রাচীন পণ্ডিতদের মতো বেত নিয়ে তেড়ে আসবো, নাকি তাকে ভর্ৎসনা করে আত্মোপলব্ধির সুযোগ করে দেব?

রাজীব প্রায় সময় হুমায়ূন আহমেদের মতো করে লিখতেন। মাঝেমাঝে হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প তার লেখার মধ্যে যুক্ত করে দিতেন। একবার তাকে বলেছিলাম যে তিনি কেন হুমায়ূন আহমেদকে নকল করেন, তার নিজের মতো করে লেখেন না। তার উত্তর শুনে মর্মাহত হয়েছিলাম। তিনি নাকি চেষ্টা করেন হুমায়ূন আহমেদের মতো করে লিখতে। শুধু লেখা নয়, তিনি কখনো কখনো মন্তব্য পর্যন্ত কপি করতেন। তাকে বহুবার বহুভাবে বলেও কপি করার স্বভাবের পরিবর্তন করা যায়নি। বিষয়টি তিনি কখনও স্বীকারও করেননি।

একথা সত্য যে রাজীবের মধ্যে নাগরিক জীবনের গল্পকার একটি চরিত্র ছিল। আমাদের সময়ে যারা মুক্তচিন্তা নিয়ে বেড়ে উঠেছে, তাদের মনের গভীরে ঋত্বিক ঘটকের মতো নিরাশা, ক্ষোভ, বিপ্লব ও ব্যর্থতার অনেকগুলো স্তর আছে। আমাদের এই প্রজন্মের পিতারা জন্মেছিলেন গ্রামে, কিন্তু আমাদের বেড়ে ওঠা শহরে। স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় "যুক্তি তক্কো আর গপ্পো"র অনেক ভালো উপকরণ ছিল, কিন্তু সেগুলো ফলবান বৃক্ষের মতো বড় করে তার বীজ ছড়িয়ে দেবার আগেই সেগুলো ছাগলে খেয়ে ফেলেছে।

যুক্তি এবং চিন্তার স্বাধীনতার সময়টা দ্রুত নিঃশেষ হয়ে গেছে আর আমরা দুঃশাসন ও নৈরাজ্যের ক্রস-ফায়ারে আটকা পড়ে গেছি। আমাদের চারপাশে অর্থ, ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির এক ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে। মানুষের মূল্য আর মানবিক মূল্যবোধকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে এই বিশৃঙ্খলতা। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এবং এর অন্তর্নিহিত দর্শন সমাজে প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায়, প্রবল হতাশার সুযোগে একটি প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মান্ধ গোষ্ঠী দিনের পর দিন শক্তিশালী হয়েছে। আর এই বাস্তবতাকে আমরা নানা ভাবে ভুলে থাকতে চেয়েছি, আড়াল করতে গিয়ে আত্ম-প্রবঞ্চনার আশ্রয় নিয়েছি। রাজীবও কি লেখা কপি করার ভিতর দিয়ে, হুমায়ূন আহমেদের গল্পকে নিজের গল্প মনে করে কোনো এক আত্ম-প্রবঞ্চনামন ছদ্মবেশ তৈরি করতে চেয়েছিলেন?

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১:২৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




আপনি লিখেছেন - "মানুষের মূল্য আর মানবিক মূল্যবোধকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে এই বিশৃঙ্খলতা।"


সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে বললে ভুল হবে।

যদি সম্পূর্ন ধ্বংস হয়ে থাকে, তাহলে বলতে হবে - আপনিও জোচ্চোর, চোর, বদমাশ!!!!

কিন্তু, আপনি তা নন। ঠিক না?

২৬ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫১

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ।

আমি একটা সিস্টেম এর কথা বলেছি, ব্যক্তি মানুষের কথা নয়। কিছু মানুষ সৎ থাকার পরেও একটা সিস্টেম collapse করতে পারে। আমাদের তাই হয়েছে।

সবটাই ধ্বংস হয়ে য়ায়নি, এটা বিশ্বাস করলে বলতে হয় যে, কিছু আশা এখনও রয়ে গেছে।

২| ২৬ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: এই পুরো লেখাটাই কি বিষাদ সময়ের সেই পোস্টের মন্তব্য যা অপ্রকাশিত ছিল? পুরো লেখাটা দারুন মানসম্পন্ন উপভোগ্য ছিল- কিন্তু হুট করে শেষ হয়ে গেল!!
এখানে ভাববার অনেক কিছু আছে। ব্লগে আমি রাজিব নুরকে মিস করছি। বহুদিন ধরে তার লেখালেখির সাথে পরিচিত থেকে যেটা বুঝেছি; সে খুব ঘাড় ত্যাড়া ও একগুঁয়ে টাইপের লোক! কপি করাটা তার বদ অভ্যাস হলেও এটাকে সে একটা গেইম হিসেবে নিয়েছিল। কিছু ব্লগারের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার নিয়ে এসে খেলছিল। একটা অপরাধ করে সে চরম অপমান অপদস্ত হওয়ার পরে- সে ওই কাজটা বারংবার করে বাকি সবাইকে খেপিয়ে তুলে মানসিক এক ধরনের আত্মপ্রসাদ অনুভব করে।

যেমন তার গুরুর ব্যাপারটা! তার মতো ছেলে এইভাবে গুরু ভজার কথা নয়। যতই ব্লগার তাকে নিয়ে হিত উপদেশ দিচ্ছিল তিক্ত/তির্যক মন্তব্য ছুড়েছে আজেবাজে কথা বলছে ততই সে গুরুর প্রতি আরো বেশি ভক্ত হয়ে যাচ্ছিল আরও বেশি গুরুভক্তি নিয়ে উন্মুক্ত উন্মত্ত বক্তব্য দিচ্ছিল।

আমার কথায় অনেকের দ্বিমত থাকতে পারেন তবে আমি আমার মন্তব্যটুকু জানালাম।

২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:০৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ।

না, পুরো লেখাটা নয়, শুধু অল্প কিছু অংশই তখন সেই মন্তব্যের জন্য লিখেছিলাম যার ভূমিকায় সুধীর কাকরের এই বই আর রাজীবের মনস্তত্ত্বের প্রসঙ্গ ছিল। এখন লিখতে গিয়ে কথাগুলো সবই প্রায় নতুন করে লিখতে হয়েছে।

রাজীব সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ খুবই যথার্থ এবং মূল্যবান মনে হলো, বিশেষ করে তার একগুঁয়ে স্বভাব এবং সবাইকে খেপিয়ে তুলে আত্মপ্রসাদ অনুভবের বিষয়টি। তার গুরু ভজার বিষয়টাও বেশ বিভ্রান্তিকর। আমি অবশ্য ব্যক্তি রাজীবের চেয়ে সময়ের-সমাজের-সংস্কৃতির রাজীবকে গুরুত্ব দিতে চেয়েছি বেশি। তাই ব্যক্তিগত প্রসঙ্গগুলো নিয়ে তেমন করে ভাবিনি, যদিও সেটা অবশ্যম্ভাবীভাবে তার মনস্তত্ত্বেরই অংশ।

২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:২০

শ্রাবণধারা বলেছেন: বলতে ভুলে গিয়েছিলাম যে, লেখাটার শেষের দিকে এসে তাড়াহুড়ো করে শেষ করে ফেলেছি। আবার দেখলাম যে রাজীবের কথা বলতে গিয়ে নিজের হতাশার কথাও বলতে শুরু করেছি, তাই মনে হলো থামা ভালো।

আপনার এই মন্তব্যটি নিয়ে আমার কোনো দ্বিমত নেই, বরং এটি পোস্টটিকে সমৃদ্ধ করেছে।

তবে আপনার সাথে নানা বিষয়ে আমার প্রায়ই দ্বিমত হয়। যেমন ধরুন, আপনি প্রায়ই এধরনের একটা কথা বলেন, "এত ক্ষুদ্রতম জ্ঞান নিয়ে ঈশ্বরে অবিশ্বাস করার মানে হয় না"। এই কথাটার অর্থ কী? স্বল্প জ্ঞান নিয়ে বিশ্বাসী হওয়া যাবে, কিন্তু অবিশ্বাসী হওয়া যাবে না? :)

৩| ২৬ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

চারাগাছ বলেছেন:
আমি বেশ কয়েকজন ব্লগারের বিশ্লেষণ করেছি। রাজীব নুর তাদের একজন । উনার লেখা ভালো লাগে । নাগরিক জীবনের গল্পকার - কথাটা ঠিক বলেছেন। উনি বিরামহীন লিখতে পারেন। হুমায়ুন আহমেদ দ্বারা প্রভাবিত। উনার অনেক লেখায় সেই সিগনেচার পাওয়া যায় । উনার লেখার হাত ভালো, কপি করার দরকার হয় কেন জানি না।

২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:১০

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার সেই বিশ্লেষণটি কোনোভাবে আমি মিস করেছি। আপনার ব্লগে ঢুকে পড়ে নেব শীঘ্রই। "উনি বিরামহীন লিখতে পারেন" - সত্যিই তাই। এই কাজটি সহজ নয়।

আমারও একই প্রশ্ন যে কপি করার তার দরকার কী? আর সব লেখা চোরের মত তিনি কোন ভাবেই নন। এ জন্যই তার মনস্তত্ত্ব বোঝার প্রয়াস।

৪| ২৬ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪

শায়মা বলেছেন: রাজীবভাইয়া যাই করুক আমার তাকে খুব সিম্পলম্যান মনে হয়েছে
ঘাড়ত্যাড়ামীটা তার বোকামী বা ভীতরের নির্ভিকভাব প্রকাশের অস্ত্র।
অনলাইনে যেহেতু দেখা যায় না বা যাকে যা ইচ্ছা তাই বলে দিলে তেমন কোনো ক্ষতি নেই তাই ভাইয়া মাঝে মাঝে এমন করতো বটে তবুও তার ভেতরে ভালোমানুষী ছিলো মানে তিনি সত্যিকার জীবনে সদয় ও ভালো ব্যবহারকারী মনে হয়েছে। ভাইয়া নিজে একজন ভালোমানুষ হওয়া সত্ত্বেও নেগেটিভ এনার্জীকে তার শক্তির প্রেরনা মনে করতেন। তাই কোনো শুভাকাঙ্খীর কথা কানেও তুলতেন না।

হুমায়ুন আহমেদকে ভাইয়া এতই ভালোবাসেন যে তার সকল লেখাই যেন তার মনের কথা। তাই অমনটা করেছেন মনে হয় আমার।
শেরজাভাইয়ার মনস্ততত্ব খুব একটা ভুল নাই হতে পারে। (একটা অপরাধ করে সে চরম অপমান অপদস্ত হওয়ার পরে- সে ওই কাজটা বারংবার করে বাকি সবাইকে খেপিয়ে তুলে মানসিক এক ধরনের আত্মপ্রসাদ অনুভব করে।)

ভাইয়া লিখতে ভালোবাসতেন। ভাইয়ার ব্লগ এডিকশন অনেক বেশি ছিলো। সেই ভাইয়া আর লিখছে না এটা মনে হয় তার জন্য অনেক কষ্টের। ভাইয়াকে আমিও মিস করি। ফিরে আসুক ভাইয়া। :(

২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:১৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার বিশ্লেষণটি খুবই ভালো হয়েছে, শায়মা।

আপনার এবং উপরে শেরজা তপনের মন্তব্য পড়ে বুঝলাম যে আমার পর্যবেক্ষণ শক্তি কত সীমিত আর কাঁচা!

শেষেট লাইন দুটি খুবই সুন্দর করে বলেছেন। না লিখতে পারার কষ্টের এই বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ না দিয়ে পারছি না।

ব্লগে রাজীবের শুভ পুনর্গমন ঘটুক, এটাই আশা করি। আর তাকে বেত দিয়ে তাড়া করার চেষ্টাটাও বন্ধ হোক, এই কামনা। :)

৫| ২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:০৩

লেখার খাতা বলেছেন: কিছু ভন্ড রাজীব ব্লগে থাকলে মুহুর্তে মুহুর্তে অপমান করে, ব্লগে না থাকলে মিস করার নামে ভন্ডামি করে


আপনার লেখা খুবই চমৎকার।

২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:০৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: সারাদিন এরকম যুদ্ধংদেহী মনোভাব ধরে রাখেন কীভাবে? হৃদযন্ত্রের উপর চাপ পড়ার কথা তো?

অনেক সময় শুভাকাঙ্খীরাও কঠোর কথা বলেন - এই যেমন আমিও আপনাকে প্রায়ই বলি, এবং আপনি বেশ রাগও করেন! :)

৬| ২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: সবখানেই মতের মিল হতে হবে এমন কোন কথা নেই।আলোচনা হতে পারে গঠনমূলক আপনার কথা আমি শুনবো আমার কথা আপনি শুনবেন মানা না মানা এটা সম্পূর্ণ কারো ব্যক্তিগত ব্যাপার।
ব্লগার মহাজাতকের পোস্টে আমি যে মন্তব্যটা করেছিলাম তার একটি অংশ এখানে তুলে ধরছি;
'সম্ভবত পৃথিবীর কোন মানুষ খোদাতালার ধারণাকে এখনো ধারণ করতেই পারেনি। এত ক্ষুদ্রতম জ্ঞান নিয়ে এত বিশালতাকে ধারণা করাই সম্ভব নয়। আস্তিক নাস্তিক উভয়ই অনেকেই ব্যাপক ভুল ধারণা নিয়ে আমারা চলছি।' ~ আমি আস্তিক দেখে আস্তিকতা নিয়ে কথা বলেছি চেষ্টা করছি এ বিষয়ে গভীর ও ব্যাপকভাবে জানার। আপনার যদি আস্তিকতায় বিশ্বাস না থাকে তাহলে আপনি আপনার পক্ষে কথা বলেন আমি আপনার কথা শুনবো। তবে এটা এতই বিশাল ব্যাপক এবং গভীর উপলব্ধিবোধের একটা ব্যাপার যে আসলে আমরা কেউ কাউকে বুঝাতে পারব কিনা এই নিয়ে আমি ব্যাপক সন্ধিহান!

২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: প্রথমত, ঈশ্বরের ধারণা তো মানুষেরই সৃষ্টি, তাই নয় কি? অতএব, মানুষ তার ক্ষুদ্রতম জ্ঞান নিয়েই ঈশ্বরকে অনুভব করেছে।
যত ঈশ্বরভক্ত সাধু-সন্ত, পীর-দরবেশ আছেন, তারা মানুষের সীমাবদ্ধ জ্ঞান নিয়েই (!) ঈশ্বরকে খুঁজে পেয়েছেন। যেমন রামকৃষ্ণ, গান্ধী, রবীন্দ্রনাথ...।

আবার, মানুষের সীমাবদ্ধ জ্ঞান নিয়ে (!) কেউ কেউ ঈশ্বরের ধারণা প্রয়োজনহীন মনে করেছেন। যেমন গৌতম বুদ্ধ, কার্ল মার্কস, ফ্রয়েড, বার্ট্রান্ড রাসেল...!

আবার ঈশ্বর যে "বিশালতা" এটাই বা আপনি কেন মনে করলেন? বিশালতাকে বোঝার জন্য দেহে বড় হয়ে উঠতে হবে, নাকি বুদ্ধিতে? ভীন গ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণিগুলো যদি দেখি সব নাস্তিক, তবে? না কি ঈশ্বরকে বোঝার জন্য আমাদের হৃদয়ে বেড়ে উঠতে হবে?

তিনি তো অনু-পরমাণুর মতো ক্ষুদ্রও হতে পারেন, আবার মোৎসার্টের একটি সিম্ফনির মতো একটি সুরও হতে পারেন, নয় কি?

৭| ২৭ শে জুন, ২০২৪ রাত ১:৪০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: একথা সত্য যে রাজীবের মধ্যে একটি নাগরিক জীবনের গল্পকার চরিত্র ছিল।
.............................................................................................................
একথা দিয়েই প্রমান হয়, সে মানুষের জীবনের সহজ সরল যাত্রা পথ ধরে হাটতে
চেয়েছিলো । ছোটবেলায় আমরা যাকে ভালো লাগতো তার অনেক কিছু অনুকরন করতে
চেষ্টা করতাম ।
রাজীবের অনেক কিছু চিন্তা ভাবনার সহিত আমার সমর্থন নাই , কিন্ত তার লেখা লেখিটা
আমার খুব ভালো লাগত ।
তাকে ব্লগ থেকে সরিয়ে দেয়াটা কোন ভাবেই মানবিকতা বলা যায়না ।
মত প্রকাশের স্বাধীনতাই যদিনা থাকে, তাহলে সাহিত্য চর্চ্চার একদিন তার
নিজ্বস্বতা হারায়ে ফেলবে ।

২৭ শে জুন, ২০২৪ রাত ২:২৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ স্বপ্নের শঙ্খচিল।

আমার জানা ছিলো না যে তাকে ব্লগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বা তার একাউন্ট ব্লক করা হয়েছে। এটা হয়ে থাকলে বিষয়টি হতাশাব্যঞ্জক। আমি ভেবেছিলাম হয়তো রাজীব কোন কারণে ব্লগে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।


৮| ২৭ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:১০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
রাজীব নূরের কিছু কিছু চিন্তাধারার সাথে আমার বনিবনা হতো না ! :)
এমনটা হওয়ায় স্বাভাবিক। এইটুকু বাদ দিলে তিনি একজন দারুন ব্লগার।
উনাকে পড়তে ভালো লাগে। ভালো লাগার কারণে উনার অনেক চিন্তাধারাকে 'ইগনোর' করার চেষ্টা করতাম , করেছিলও।

উনার 'কিছু লিখে ফেলার' ক্ষমতা অসামান্য এবং সুপাঠ্য। আমি কোন লেখা ড্রাফট করি না , সরাসরি প্রকাশ করি। উনিও হয়তো তেমনটাই করেন।

আমি অনিয়মিত থাকলে আমাকে নিয়মিত হতে অনুরোধ করতেন মন্তব্যে।
আমিও তাকে ফিরে আসতে অনুরোধ করবো।
পোস্টে বনিবনা না হলে আবার হয়তো রাগ ঝাড়বো।

আমি নিজেও হুমায়ুন আহমেদ , সুমন্ত আসলাম , কবির সুমন , অঞ্জন দত্ত দ্বারা প্রভাবিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো আমার লেখাতেও প্রকাশ পেয়ে যায়।

২৭ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:১৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আমাদের প্রত্যেকের চিন্তাই ভিন্ন হবে এটাই বিভিন্নতার সৌন্দর্য। আর আমরা যাদের লেখা পছন্দ করি তাদের দ্বারা প্রভাবিত হই। রাজীবের ক্ষেত্রেও নিশ্চয়ই তাই হয়েছে।

আপনার উল্লেখিত লেখক এবং গায়কদের মধ্যে সুমন্ত আসলামের কোন লেখা পড়েছি বলে মনে পড়ে না, তবে বাকি তিনজনের সকলে আমাদের তারুণ্যকে আলোড়িত করেছিলো সন্দেহ নেই।

৯| ২৭ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩১

করুণাধারা বলেছেন: আমার কাছে রবীন্দ্রনাথকে বরাবরই আকর্ষণীয় মানুষ হিসেবে মনে হয়, যাকে একেক অ্যাঙ্গেল থেকে দেখলে একেক রকম দেখায়। আমার মনে হয় রবীন্দ্রনাথের জীবনের রহস্য আছে, হতাশা নৈরাশ্য সবই আছে।

সুধীর কাকরের বইটি সম্পর্কে আগ্রহ জাগছে। চেষ্টা করব পড়ার। যদিও বই পড়তে আজকাল ভালো লাগেনা।

রাজীব নুর কোরা বাংলায় নিয়মিত লিখছেন। আমি সেখানে তার লেখা পড়ি কখনো কখনো। তার নাম সেখানে Rajib noor khan.

২৭ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:৫৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: অসামান্য মন্তব্য করুণাধারা আপু। শুধু এই লাইনটা ছাড়া "যদিও বই পড়তে আজকাল ভালো লাগে না।" :) ব্লগারদের পড়ালেখা নিয়ে আমি কিন্তু নিদারুণ হতাশ। এই হতাশা গভীর হয়ে যায় যখন মনে হয় যে আমরা পড়ি না বলেই আমাদের মধ্যে উগ্রতা, ধর্মান্ধতার বিস্তার অতি সহজ।

"রবীন্দ্রনাথের জীবনের রহস্য আছে, হতাশা নৈরাশ্য সবই আছে।" আপনার এই লাইনটি আমার পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে খুবই ভালো লেগেছে। রবীন্দ্রনাথের ভিতরে হতাশা এবং নৈরাশ্যও আছে। অতএব আমার এই কথা যে "সেখানে একাকীত্ব আছে, নৈরাশ্য নেই" সঠিক নয়। যেটি আসলে বলতে চেয়েছিলাম তা হলো আধুনিক যুগের কবি বা শিল্পীর মতো হতাশা বা নৈরাশ্য তাকে ভেঙে ফেলে না, গুঁড়িয়ে দেয় না, তিনি আর্তনাদ করে ওঠেন না।

অন্য যেকোন জীবনীগ্রন্থের সাথে তুলনা করলে, সুধীর কাকরের বইটি যথেষ্টই ভালো বলে আমার মনে হয়েছে। বইটির একটি বাংলা অনুবাদও সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে। তবে আমার অনেক অনেক বেশি প্রিয় রবীন্দ্রনাথের নিজেরই লেখা "জীবনস্মৃতি" যেটি এক অসামান্য বই, আর চিত্রা দেবের লেখা "ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল"।

১০| ২৭ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:





মানুষ তার পছন্দের মানুষকে অনুসরণ করে, তার আদর্শ ফলো করে, এটা স্বাভাবিক।
কিন্তু অনুকরণ ভালো না।
রাজীব অনুকরণপ্রিয়।

খেলাঘরের চাঁদগাজী নিক যখন পার্মানেন্ট ব্যান হয়েছিলো, রাজীব তখন কিছুদিন মাল্টি নিক থেকে খেলাঘরের মতো কমেন্ট করতে শুরু করলো। অনেকেই বিভ্রান্ত হয়েছিলো। এটা করে সে এক ধরণের আনন্দ পেয়েছে।

আমাদের রানার ব্লগের কিছু লেখায় হুমায়ূনের প্রতিফলন দেখা যায়, আই মিন সেই টাইপের কিছু লেখা আছে যেটা স্বাভাবিকভাবে হয়েছে। তাই হুমায়ূন প্রিয় আমরা সেরকম লেখা পড়তে পছন্দ করি।

কিন্তু রাজীবের অনেক লেখায় আপ্রাণ চেষ্টা দেখা যায় হুমায়ূন হবার, যেখানে হুবুহু অনুকরণ স্পষ্ট।

রাজীব ভালো মৌলিক লেখা লিখতে পারে, একসময় অনেক লিখেছে কিন্তু তারপরও সে যা করে বা করেছে (সেটা আর না বলি) তার একমাত্র কারণ সে একজন এটেনশন সিকার।

সমালোচনার মধ্যমণি হওয়াতেই তার আনন্দ।

২৭ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:০৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ মিরোরডডল। বিশেষ করে অনুসরণ আর অনুকরণের পার্থক্যটা আপনি পরিষ্কার করেছেন।

আমার মনে আছে একবার রাজীব হুমায়ূনের হোটেল গ্রেভারইনের একটা গল্পের অনেকখানি তার লেখায় ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। :) "হোটেল গ্রেভারইন" পড়েছিলাম সেই ছোটবেলায়, নাইন-টেনে পড়ার সময়, অনেক গল্প এখন আর তেমন মনেও নেই। মন্তব্যে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কী আপনার লেখা নাকি হুমায়ূন আহমেদের? তিনি আমার প্রশ্নটা সম্পূর্ণ এড়িয়ে গেলেন।

তার মাল্টি নিক থেকে খেলাঘরের মতো মন্তব্য করার বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। কি বিচিত্র চরিত্র! নাহ, সুধীর কাকর নয়, মনে হচ্ছে খোদ ফ্রয়েডকেই লাগবে রাজীবের মনোবিশ্লেষণ করতে! :)

১১| ২৭ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:২৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: রাজীব নুর এর কপি পেস্ট আমি যতটুকু দেখেছি তা ছিল উইকিপিডিয়া বা গনমাধ্যম থেকে কিছু অংশ নেয়া কিন্ত লিংক না দেয়া। আর আপনি যেটা উল্লেখ করেছেন যে, হুমায়ুন আহমেদকে অনুকরন করা। কোন লেখকের মৌ্লিক কোন গল্প, উপন্যাস বা আর্টিকেল কপি পেস্ট করতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না।

কিন্ত তার চাইতে বড় বড় লেখাচোর এখানে আছে যারা অন্যের মৌলিক লেখা পুরোটাই নিজেদের বলে চালিয়ে দেয়। আজকেই একজন কট হয়েছে।

২৭ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:০১

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাবিয়ান।

ব্লগে একজন বা দুইজন কুম্ভিরক (plagiarism) বিশেষজ্ঞ আছেন, তারা আপনার প্রশ্নের সম্পূর্ণ সঠিক উত্তর দিতে পারবেন। এই পোস্টে রাজীবের কুম্ভিরকবৃত্তির বা তার ব্যাপ্তির বিষয়টি গৌন, বরং এখানে পিছনের মনস্তত্বের বিষয়টি নিয়ে আলাপ করতে চেয়েছি।

আমার চোখে পড়া অন্তত একটি লেখায় তিনি সরাসরি হুমায়ূনের "হোটেল গ্রেভারইন" থেকে কপি করেছিলেন (এই লাইনটি এখানে না লিখতে পারলে আমি খুশি হতাম) যেটা আগের মন্তব্যে উল্লেখ করেছি।

লক্ষ্য করেছি যে রাজীবের ফিরে আসা এবং সোনাগাজীর ব্যান তুলে নেওয়া বিষয়ে আপনি আগে বেশ কিছু পোস্ট করেছেন। এই কাজের জন্য সহব্লগার হিসেবে আপনার প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করছি।

১২| ২৭ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:১৯

নিমো বলেছেন: কিছু মনে করবেন না, এখানে যারা লেখালেখি করেন তারা প্রত্যেকেই আদতে অল্টার ইগো। তাই তার মধ্যে দিয়ে কাউকে নুঝতে চাওয়ার কোন মানে নেই। আমাদের সবার ভেতরেই একই সাথে জনাব জ্যাকেল ও হাইডের বসবাস। সমস্যা হল আমরা অন্যের জ্যাকেল দেখতে পাই কিন্তু নিজেরটা দেখতে পাই না।

লেখক বলেছেন:ব্লগে একজন বা দুইজন কুম্ভিরক (plagiarism) বিশেষজ্ঞ আছেন
যাদের ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স নিয়ে কোন ধারণাই নাই, কিন্তু চোর ধরতে লেগে গেছে। =p~

২৭ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫১

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ নিমো। মাঝখানে বেশ কিছুদিন আপনাকে ব্লগে দেখিনি, ফিরে এসেছেন দেখে ভালো লাগলো।

"যারা লেখালেখি করেন তারা প্রত্যেকেই আদতে অল্টার ইগো"। আপনার এই কথাটি যাকে বলে দুর্দান্ত ইন্টারেস্টিং। কোথায় যেন পড়েছিলাম যে অল্টার ইগোই আসলে আমাদের ভিতরের কবি, লেখক সত্ত্বা, শিল্পী সত্ত্বা।

জার্মান কবি রিলকের (Rainer Maria Rilke) একজন বান্ধবী ছিলেন সালোম (Lou Andreas-Salomé; যার সাথে রিলকে তলস্তয়ের সাথে দেখা করতে গেলে বদরাগী তলস্তয় সালোমকে ঘরে ঢুকতে দিয়ে রিলকের মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন)। রিলকে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে যখন সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যাওয়া শুরু করলেন, তখন সালোম রিলকেকে চিঠিতে লিখলেন, আমার ভয় হচ্ছে তোমার মনের শয়তানগুলো তাড়াতে গিয়ে দেবতাগুলোকেও না তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

আমাদের অল্টার ইগোর জন্য ডাঃ জেকিল ও হাইড দুজনেরই দারুণ রকমের প্রয়োজন আছে।

১৩| ২৭ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:২২

নিমো বলেছেন: দুঃখিত ওটা ডাঃ জেকিল হবে।

১৪| ২৭ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৪

নিমো বলেছেন: আমাদের সবার ভেতরেই একই সাথে ডাঃ জেকিলও জনাব হাইডের বসবাস। সমস্যা হল আমরা অন্যের জনাব হাইড দেখতে পাই কিন্তু নিজেরটা দেখতে পাই না।

২৭ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: অতি সত্য কথা। নিজের ভিতরের জনাব হাইড আমাদের সত্ত্বারই অংশ হয়ে থাকে, তাকে আলাদা করে চেনা যায় না। জনাব হাইড নাই, তো আমিও নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.