নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
রাত ঠিক ১২টায় বাসার সামনের মন্দিরে সাউন্ডবক্স একদম অফ! বাহ! এটাই তো চাই! অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই পুলিশ-প্রশাসনকে। নেশা করে সারারাত নাচানাচিটা কোনো ধর্মই সমর্থন করে না।
.
কিন্তু প্রসাদ নিয়েও রাজনীতিটা ভালো লাগলো না। এবারও আমাদেরকে পূজার মিটিংয়ে রাখা হয়নি। আমাদের মত নেওয়া হয়নি৷ চাঁদাও নেওয়া হয়নি। যাকে বলে একঘরে করে রাখা। মা উপোস থেকে নিজের ভোগ দেওয়া ডাবের জল খেয়েই উপোস ভেঙেছেন। পরশু রাত থেকে না খেয়ে থেকে গতকাল রাত ৩টার দিকে পূজার পর উপোস ভাঙেন। সকালে উঠে স্কুলের বাচ্চাদের ডাকতে যাওয়ার আগে গেটে শব্দ শুনে এগিয়ে গিয়ে মা দেখে, কমিটির দুজন সদস্য খিচুড়ি প্রসাদ দিতে এসেছেন। অন্য সব বাড়িতে দিয়েছেন, তাই আমাদের বাসাতেও। কিন্তু এটা নিয়ে আবার কথা হবে জেনেই মা প্রসাদ ফিরিয়ে দিতে চাইলেন, বললেন, 'আমাদের থেকে তো পূজার চাঁদা নেয়নি, খিচুড়ি নিলে এটা নিয়ে কটূকথা হবে। থাক, তোমরাই খাও'।
.
কিন্তু তাঁরা কমিটিতে থাকলেও বিবেকবান মানুষ, বাইরের কেউ আসলেও তো প্রসাদ দেওয়া হয়, তাই অনেক অনুরোধ করে মাকে রাখতে বাধ্য করলেন। তাঁরা হয়তো বুঝতে পারেননি, আমার প্রতিবেশীরা সারাক্ষণ কান পেতেই থাকে। তাদের মাধ্যমে সেটা পূজা উদযাপন কমিটির কানে গেছে। তারপর কমিটির কর্তাব্যাক্তিরা এটা নিয়ে এলাকা মাথায় করে 'লজ্জা করে না চাঁদা না দিয়ে প্রসাদ খায়!' ধরনের কথাবার্তা বলতেও পিছপা হয়নি বলে জেনেছি। সেই দুজন মুরুব্বির সাথে নাকি অনেক কিছু হইছে এবং কমিটির মিটিংয়ের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আমাদেরকে প্রসাদ দেওয়ায় ক্ষমাও চাইতে হয়েছে! অবশ্য যা নিয়ে এতো কথা, ঐ প্রসাদের প্যাকেট মা গিয়ে পরে ফেরৎ দিয়ে এসেছে। তারপর আবার মন্দিরের স্কুলের কর্তাদের সামনে মাকে মিথ্যা কথা বলে আরেকবার অপমান করা হয়েছে। স্বভাবতই মায়ের অপমান সন্তান সইতে না পেরে প্রতিবাদ করেছে।
.
এই সমাজটা একদম পঁচে গেছে। এখানে বসবাস করা খুব কষ্টকর। তারপরেও বাবার স্মৃতি মনে করে থাকি, যাওয়ার আর জায়গাও তো আপাতত নাই। অন্য কোথাও বাড়ি করার সামর্থ নাই। প্লাবণ গাঙ্গুলি নামে আমার এক বছরের বড় বন্ধুসুলভ এক বড় ভাই এখানে ছিলেন, আমরা একসাথে বড় হয়েছি, দেশ সেরা বিতার্কিক ছিলেন। এসএসসিতে তিনি স্ট্যান্ড করেছিলেন। এখন একটা এনজিওতে আছেন। তিনি নানা অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাবা-মাকে নিয়ে সামনেই হাউজিং এস্টেটে গিয়ে বাড়ি করছেন আর পাশেই ভাড়া থাকেন। এখন আমাকেও এখান থেকে সরাতে পারলে কাদের লাভ? আমাদের মতো মেধাবি ছেলেরা এখানে থাকলে কাদের ক্ষতি? কারা চায় না এটা শিক্ষিত ভদ্রলোকের এলাকা হোক, নেশামুক্ত সুন্দর একটা সমাজ এখানে গড়ে উঠুক?
.
এমন একটা সমাজই তো চাই, যে সমাজ কুসংস্কার নেশা পরশ্রীকাতরতা হিংসা বিদ্বেষ ছেড়ে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ভ্রাতৃত্ব বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানচর্চার উদারপন্থার দিকে হাঁটবে। নতুন প্রজন্মের ছেলেরা পড়ালেখা করবে নেশার আড্ডায় না গিয়ে, নিজের উন্নত ভবিষ্যত নিজেই গড়বে। বাজে কাজে সময় নষ্ট না করে দেশের ও নিজের উন্নয়নে সময় কাটাবে।
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: দিন দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
এর জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬
নাইম রাজ বলেছেন: সবার উপরে মানুষ তার পর সব। যদি মানুষ হিসেবেই গণ্য না হই তাহলে আর রাজনীতি দিয়ে কি হবে।
৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০০
⓪ বলেছেন: পূজা, তার চাঁদা, তার প্রসাদ নিয়ে দলাদলি হবে কেন? সবাই মিলে আনন্দ করার নামই তো উৎসব, তাই না? উৎসবকে কেন্দ্র করে যদি দলাদলির উৎপত্তি হয়, তবে উৎসব দু'একবার বন্ধ রাখাই শ্রেয় হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩
তারেক ফাহিম বলেছেন: আগে সমাজ ব্যবস্থা ঠিক হওয়া চাই।