নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা যদি তুষারের মতো...

আখেনাটেন

আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?

আখেনাটেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুলতান সুলেমানঃ সুনামি হয়ে বাংলাদেশের মিডিয়াতে হানা দিল কেন???

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭


মধ্যযুগের ইউরোপের ইতিহাসে এই লোকটা ইউরোপীয় বুর্জুয়াদের চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। প্রায় পাঁচশ বছর পরে আবারও সেই একই ব্যক্তি শুধু বাংলাদেশেরই নয় আরোও প্রায় কয়েক ডজন দেশে হানা দিয়েছে।

উপরের ছবিটা দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির রাস্তার পাশের একটি বিলবোর্ড। তাহলে বুঝতেই পারছেন উনি শুধু বঙ্গোপসাগর তীরেই সৈন্য-সামন্ত নিয়ে আক্রমন করেন নি, আটলান্টিকও পাড়ি দিয়েছেন।

সুলেমান সাহেব কী এমন ভেলকি দেখালেন যে বাংলার মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে!! মিডিয়ার লোকদের রুটি-রুজির লুঙ্গি ধরে টান দিয়েছে। ভালো করে জানার জন্য অন্তর্জালে ঘোরাঘুরি করতেই যা দেখলাম তাতে তো চক্ষু চড়ক। এ ব্যাটা তো কামাল করে দিয়েছে মানে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে অনেক দেশে।

বলকানে খলিফার যুগ ফিরে এনেছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্বে যত ড্রামা সিরিয়াল হয়েছে দেশে দেশে এই সুলতান সুলেমান (তুরস্ক ভাষায় অন্য নাম ) তাদের মধ্যে অন্যতম। প্রায় একশটা দেশে এটি বিভিন্ন ভাষায় দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র, চিলি, গ্রিস, ইটালি, রাশিয়াও রয়েছে। তাহলে বুঝায় যাচ্ছে উনি উনার ঘোড়া প্রায় সব মহাদেশেই দাবড়িয়েছেন।

এ রকম একটি দর্শক প্রিয় সিরিয়াল দেশি লোকেরা দেখবে এটাই স্বাভাবিক।

শুধু সুলতান সুলেমান নয় তুর্কি আরোও অনেক সিরিয়াল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঝড় তুলেছে। যার প্রভাবে বিশ্বের ড্রামা সিরিয়ালের তুর্কি নাচন দেখছে বিশ্ব।

বিবিসির এক রিপোর্টে দেখলাম একজন চিলিয়ানকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে কোথায় চিলি আর কোথায় তুরস্ক, তা এখানে কীভাবে তাদের ড্রামা সিরিয়াল দেখার জন্য মানুষ নাওয়া খাওয়া ভুলে গেছে। উনার উত্তর ছিল তুর্কিরা সামাজিক-অর্থনৈতিক দিক দিয়েও প্রায় সমজাতীয় দেশ। আর ওদের সিরিয়ালে সাধারণ প্রেম-ভা্লোবাসা, মধ্যবিত্তের জীবন-প্রণালী, সুখ-দুঃখের চিত্র তুলে ধরে যা বর্তমানের হলিউডভিত্তিক সিরিয়ালগু্লোতে অনুপস্থিত—সেখানে শুধু যৌনতা আর সাই-ফাইয়ের ছড়াছড়ি যা ক্লিশে হয়ে গেছে কিছুটা। এই কারণগুলো সাথে তুরস্কের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চোখজুড়ানো দৃশ্যায়নের ফলে গোটা দক্ষিণ আমেরিকাতেই এখন তুর্কি ড্রামা সিরিয়ালগুলো সুনামি হয়ে দেখা দিয়েছে।

এখন বাংলাদেশের জনগণও যদি এই সকল সিরিয়ালের বাংলা ডাব দেখে পরিতৃপ্ত হয় তাহলে তাদেরকে তো আপনি জোর করে নিজের অখাদ্য-কুখাদ্যগুলো খাওয়াতে পারেন না।

বর্তমানে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই তুর্কি সিরিয়ালের কদর বেশি। গতবছর তারা প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যমানের সিরিয়াল বিশ্বের প্রায় শতের অধিক দেশে রপ্তানী করেছে। এবং তাদের লক্ষ্য আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে তা ১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করানো। ১৪০ এর বেশি দেশে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মানুষ তুর্কি সিরিয়ালগুলো দেখেছে।

Merry Mahzabin নাম্নী একজন এই সম্পর্কিত লেখায় নিচের মন্তব্য করেছেন, ‘’

"সুলতান সুলেমান" যেমন ভাবে পুরো বাংলাদেশ কাঁপিয়ে দিয়েছে, ঠিক তেমনই পুরো ভারত জুড়ে এখন তোলপাড় চলছে আরেক টার্কিশ সিরিজ "ফেরিহা" (#Feriha) নিয়ে। সেদেশের সোশ্যাল মিডিয়া এখন 'ফেরিহা' জ্বরে আক্রান্ত।
সাড়া জাগানো রোম্যান্টিক জুটি-- আমির এবং ফেরিহা (#Hazal_Kaya)। টার্কিশ ড্রামা সিরিজ 'ফেরিহা' বরাবরের মতোই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হবার পর ২০১৫ সালে শীর্ষ ভারতীয় সিরিয়াল হিসেবে নির্বাচিত হয় দর্শকপ্রিয়তার নিরিখে। এর আগের বছরই সিরিজটি মাতিয়েছিল পাকিস্তানি দর্শকদের(দর্শকদের দাবীর প্রেক্ষিত ৫ বার সম্প্রচারিত হয়)। তুর্কি সিরিজ 'ফেরিহা' কেড়ে নিয়েছে ভারতীয় দর্শকদের মনও। তুমুল জনপ্রিয়তার কারণে এটি ভারতে দ্বিতীয়বার সম্প্রচারিত হচ্ছে এ বছর। এবং তৃতীয় বার পুনরায় দেখানোর জন্য দর্শকরা অনুরোধ জানাতে শুরু করে দিয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের ভাষ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতবর্ষের ঘরে ঘরে "ফেরিহা" প্রিয় নাম।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নানা ধরনের জনপ্রিয় টিভি সিরিজ দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত 'ফেরিহা'র মত করে এত তুমুল ভাবে নাড়া দিতে পারেনি কোন কিছু। আমার জীবনে দেখা সেরা রোমান্টিক ট্র্যাজেডি।
ইস্তাম্বুলের বিভিন্ন আকর্ষণীয় Scenic Locations, অসম্ভন সুইট Actor-Actress, অসাধরন Story Telling আর দুর্দান্ত অভিনয়- সিরিজটাকে এতো জনপ্রিয় করেছে। Roller Coaster Ride এর অভিজ্ঞতা পুরো সিরিজের বাঁকে বাঁকে। Full of twist & turns, ups & downs.
আশা করি, 'সুলতান সুলেমান' দেখানোর পাশাপাশি দীপ্ত টিভি বাংলাদেশের দর্শকদেরও (প্রতি পর্ব ১ ঘণ্টা করে) এটা দেখার সুযোগ করে দেবে। বিশ্বমানের জনপ্রিয় টার্কিশ সিরিয়ালগুলো বাংলায় ডাব করে সব চ্যানেলেই দেখানোর জোর দাবি জানাই। আন্দোলনরত মেধাহীন, অপদার্থ নির্মাতা, অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলীদের ভাঁড়ামিপূর্ণ বস্তাপচা নাটকের চেয়ে এসব ডাবিং সিরিজ লক্ষগুন উৎকৃষ্ট। Dec 21, 2016 12:29pm’’

##'আকস লাফতান অানলামায' এই সিরিয়ালের জুটিও সম্প্রতি ঝড় তুলেছে গোটা উপমহাদেশেই।


মানুষ ভালো জিনিস টাকা ও সময় নষ্ট করে দেখবে। এটাকে মিথ্যা ধুয়া তুলে থামানো সম্ভব নয়। গোটা দুনিয়া হাতের মুঠোতে করে গ্রামের রাখাল বালক পর্যন্ত যখন ঘুরছে, তখন এই অতিশিক্ষিত নাকি অতি চালাক লোকগুলোর জানা উচিত এভাবে হয় না, সম্ভব না!!
অথচ এই লোকগুলোই কিন্তু রাস্তায় নামে নি যখন বাংলাদেশের বউ-বেটিরা বিকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত স্টার জলসা, জি বাংলা ও অন্যন্য বিদেশী টিভিতে বুঁদ হয়ে থাকত। এখন যখন সেই মহিলা দর্শকের একটা অংশ ভারতীয় টিভি সিরিজ থেকে মুখ সরিয়ে দেশি একটি চ্যানেলে দৃষ্টি দিয়েছে, অমনি এই অকাল কুষ্মাণ্ডরা একসাথে কা কা শুরু করেছে। এতে কি দেশের মানুষের মনেও সন্দেহ দানা বাঁধতে পারে না কেন উনারা এতদিন চুপ ছিলেন ভারতীয় সিরিয়ালের বন্ধের ব্যাপারে? কেন মাঠে নামেন নি আদাজল খেয়ে?
হঠাৎ করে উনারা শিল্প-সংকৃতির ধারক ও বাহকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন কেন? কেনইবা এতদিন কুম্ভকর্ণের ঘুমে ছিলেন? এর শানে নুযুল জানতে পারলে ভালো হত!!

বিবিসি বাংলার নিউজঃ
‘’বুধবার ঢাকায় বিদেশি টিভি সিরিয়ালের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তারা বলেছেন, বিদেশি টিভি সিরিয়ালের আগ্রাসনে বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটকের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হতে চলেছে।‘’

আমার প্রশ্ন হচ্ছে গত দশ-বিশ বছরে বাংলা নাটক কখন সুপন্ন অবস্থায় ছিল? গত এক দশক ধরে বাংলাদেশের মানুষ ভারতীয় সিরিয়ালের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে গলার রগ ফুলিয়ে চিল্লা-ফাল্লা করেও এই কুম্ভকর্ণদের ঘুম ভাঙ্গাতে পারে নি। আর আজ নিজের থেকেই ঘুম থেকে উঠে বাঁশ নিয়ে সুলতানকে দাবড়ানি দেওয়ার কারণ ঠাওর করা যাচ্ছে না।

জনপ্রিয় জিনিসের প্রতি প্রত্যেক মানুষেরই একটি সহজাত আকর্ষন থাকে। এখানেই সেটা ঘটেছে। আর এটা যদি সুদূর দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলি, অার্জেন্টিনা, ব্রাজিল, পেরু কিংবা ইকুয়েডরে জনপ্রিয় হতে পারে, তাহলে যে দেশের মানুষ খেলাফতের পতনের জন্য ব্রিটিশদের দায়ী করে যুদ্ধ করতে পারে সেখানে তো পুপুলারিটি পাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এই লজিকটা কাজে লাগিয়ে নতুন চালু হওয়া একটা চ্যানেল বুড়ো বুড়ো চ্যানেলের কর্তা ব্যক্তিদের গাধার পর্যায়ে নেমে এনেছে। যতক্ষণে উনার বুঝে উঠেছেন ততক্ষণে এই সুলেমান মিঞা বিপ্লব ঘটে ফেলেছে।

এরপর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াতে নিজেরাও কিছু বিদেশী সিরিয়াল ডাব করে ছেড়ে দিয়ে দেখছেন এই সুলেমান মিঞাকে যুদ্ধে হারানো তাদের কম্ম নয় তখন তারা জগত শেঠের ভূমিকাই অবতীর্ন হয়ে সুলেমান সাহবেকে কতল করার ফন্দি বের করেছে। কিন্তু বেরসিক জনগণ মাঝখানে বাগড়া দিয়ে শেঠজির চাতুরিকে আপাতত ঠেকিয়ে দিয়েছে। কে না জানে জনগণ সবসময় বীর পূজারী?

কোনো সুস্থ মস্তিস্কের মানুষই চায় না নিজের ভাষা-সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করে অন্য সংস্কৃতিকে নিয়ে মেতে থাকতে। কিন্তু বিশ্বায়নের এই যুগে সবাই কোনটা তাল আর কোনটা মাতাল পার্থক্য করতে শিখে গেছে। এখন নির্মাতাদের জল অার জলপাইয়ের পার্থক্যকে বুঝতে হবে। জলপাইয়ের নাম করে জল খাওয়ালে দর্শকেরা সবাই খুশি নাও হতে পারে । একজনকে আবার বলতে শুনলাম আমাদের সিরিয়াল নাকি ওদের সাথে টেক্কা দিতে পারবে না! এই ছাগলদের কে বুঝাবে ১৮ কোটি ভোক্তা নিয়েও যদি একটা ভালো মানের সিরিয়াল বা ছবি বানাতে না পারে তাহলে এই সেক্টরে না থেকে অন্য দিকে নিজের রুজির ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। প্রতিযোগিতার বাজারে এভাবেই টিকতে হবে। না পারলে ক্ষ্যামা দেন!!!!

তাই দেশীয় সিরিয়াল ও ছবিকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় করতে গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে মেধা ও মননের চুড়ান্ত পরাকষ্ঠা দেখিয়ে জীবন ও বিকাশের রাস্তা মসৃন রেখে কৃষ্টি ও কালচারের নবরূপ উন্মোচনের দ্বারা যথোপযুক্ত বিনিয়োগের মাধ্যমে নবধারা সৃষ্টিই হচ্ছে এর প্রধানতম উপায়। আর তা নাহলে আমাদের সামনেই ধ্বংসের লেলিহান শিখাগুলো লকলকিয়ে বাড়তে থাকবে যা একটা নির্দিষ্ট সীমার পর অার কোনোভাবেই রোধ করা যাবে না!!!!!!!!



মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

গ্যাব্রিয়ল বলেছেন: ভাই... ঝাক্কাস লিখেছেন।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ। কিছুদিন থেকে এই একই হাউকাউ ফেবু থেকে শুরু করে হাবু, খালু থেকে শুরু করে প্রথম আলু, ছাত্র সমাজ থেকে শুরু করে টেউয়া টমাস সব্বাই চিক্কড় পাড়তে শুরু করেছে। আমজনতা হয়ে আমিই বা বাদ থাকি ক্যামনে? তবে এর একটা বিহিত হওয়া জরুরী আমজনতার স্বার্থে।

২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অথচ এই লোকগুলোই কিন্তু রাস্তায় নামে নি যখন বাংলাদেশের বউ-বেটিরা বিকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত স্টার জলসা, জি বাংলা ও অন্যন্য বিদেশী টিভিতে বুঁদ হয়ে থাকত। এখন যখন সেই মহিলা দর্শকের একটা অংশ ভারতীয় টিভি সিরিজ থেকে মুখ সরিয়ে দেশি একটি চ্যানেলে দৃষ্টি দিয়েছে, অমনি এই অকাল কুষ্মাণ্ডরা একসাথে কা কা শুরু করেছে। এতে কি দেশের মানুষের মনেও সন্দেহ দানা বাঁধতে পারে না কেন উনারা এতদিন চুপ ছিলেন ভারতীয় সিরিয়ালের বন্ধের ব্যাপারে? কেন মাঠে নামেন নি আদাজল খেয়ে?
হঠাৎ করে উনারা শিল্প-সংকৃতির ধারক ও বাহকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন কেন? কেনইবা এতদিন কুম্ভকর্ণের ঘুমে ছিলেন? এর শানে নুযুল জানতে পারলে ভালো হত!!

সহমত

এই ছাগলদের কে বুঝাবে ১৮ কোটি ভোক্তা নিয়েও যদি একটা ভালো মানের সিরিয়াল বা ছবি বানাতে না পারে তাহলে এই সেক্টরে না থেকে অন্য দিকে নিজের রুজির ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। প্রতিযোগিতার বাজারে এভাবেই টিকতে হবে। না পারলে ক্ষ্যামা দেন!!!! ;)
হা হা হা

মিডিয়ােত গেলেই একেকটা আতেল ভাব ধরে! অথচ ঝোলা শূন্য! যার প্রমাণ স্ক্রীনে!!! এবস্ট্রাক্ট আর্টের মতো শুধু আঁকিয়ে বুঝলে তো হবে না! গণমানুষের চাহিদা ভাষা বোঝার ক্ষমতাও চাই

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

আখেনাটেন বলেছেন: গণমানুষের চাহিদা ভাষা বোঝার ক্ষমতাও চাই[/sb--- এর জন্য গবেষণার দরকার। গবেষণা করতে টাকা ও সময়ের দরকার সাথে মেধাও। এর কোনোটাই এখনকার মিডিয়া কর্তাদের মাথায় নেই। তাদের একটায় ধান্ধা কীভাবে ১ লাখ টাকায় তিন দিনে একটি ভাঁড়ামীপূর্ণ ফাটক বানিয়ে পাঁচ দিনের মাথায় ১ লাখ বিশ দিয়ে ফটকা একটা চ্যানেলে বিক্রি করে ২০% লাভ করা যায় দিন দশেকের মধ্যে। এতে মাসে তিনটা নাটক বানালে ৬০ হাজার টাকা লাভ। এই ধরণের মানসিকতায় পেয়ে বসেছে বেশির ভাগ নির্মাতাদের।

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ;) মামুনূর গংদের চোখের চশ্মার পাওয়ার কম তাই সব জিনিষ একই রকম মনে হয়।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

আখেনাটেন বলেছেন: শিক্ষিত এই লোকগুলোর চিন্তার দৈনতা দেখলে সত্যিই অবাক হতে হয়। অথচ এরাই ওরা কদম আলীর মতো বিষয় নিজের ঝোলাতে ভরেছে। সমস্যাগুলোকে সার্বিকভাবে চিহ্নিত না করে কাছা ধরে টানাটানি করছে। শুভবুদ্ধির উদ্য় হোক সকলের।

কে না চায় দেশেও ঐ মানের নাটক, সিরিয়াল, ছবি নির্মিত হোক। এরা কবে জনগণের এই অাকুতি বুঝবে।

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: আমার স্ত্রী ধার্মিক প্রকৃতির, টিভি খুব একটা দেখে না। শুধু নিয়ম করে রাত ৮-৯ পর্যন্ত জিবাংলায় সিরিয়াল দেখে। তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ভারতীয় চ্যানেল দেখে কেন, দেশি চ্যানেল দেখতে পারে না। জবাবে সে যা বলল শুনে খুব অবাক হলাম। বাংলাদেশি নাটকগুলি নাকি অশ্লীল। তার কথা শুনে কয়েকদিন চ্যানেল ঘুরেফিরে কয়েকটা নাটকের অংশবিশেষ দেখে যা বুঝলাম - নাটক দুই ধরনের শহুরে আর গ্রামীণ। শহুরে নাটকগুলির নায়িকাদের পোশাকআশাক আসলেই অশ্লীল। মা খালাদের গায়েই কেবল দেশি পোশাক দেখা যায়। উঠতি মেয়েগুলির গেটআপটাই শুধু হলিউডি নায়িকাদের মতো, অভিনয় একদমই বাজে। আর গ্রামীণ নাটকের স্থূল কমেডি দেখে হাসব না কাঁদব বুঝতে পারলাম না। এর চাইতে জিবাংলার বস্তাপচা সিরিয়ালও ভালো।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০০

আখেনাটেন বলেছেন: কিছু নাটক বাদে বাংলাদেশের নাটকে অাসলে অশ্লীলতা এখনও জেঁকে বসে নি। আপনার স্ত্রী হয়ত ভুল করে খারাপটায় দেখে ফেলেছে। আর ধর্ম দিয়ে নাটক বিবেচনা করলে তো পুরা ব্যাপারটাই অশ্লীল তাই নয় কি? তাই আমরা ওদিকে না যাই।

আর আপনি যা বলেছেন গ্রামীণ নাটকের স্থূল কমেডি দেখে হাসব না কাঁদব বুঝতে পারলাম না।; হ্যাঁ, এই ব্যাপারটাতে এরা লেবু বেশি চিপে ফেলেছে। তাই এখন এগুলো তিতা লাগছে সকলের। কারণ সবাই বৈচিত্র চায়। একই ধরণের সংলাপ, কাহিনি, ভাঁড়ামো কাঁহাতক অার ভালো লাগে।

৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২

শ্রাবণধারা বলেছেন: অসামান্য পোস্ট । পড়ে ভাল লাগলো অনেক - তুর্কি সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জানা ছিল না আগে ।

এই তথাকথিত ছিল্পিদের আন্দোলনে এখনও যে কেউ পচাঁ-ডিম ছুড়ে মারছে না, এটাই তো আশ্চর্য !!!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৫

আখেনাটেন বলেছেন: এই তথাকথিত ছিল্পিদের আন্দোলনে এখনও যে কেউ পচাঁ-ডিম ছুড়ে মারছে না, এটাই তো আশ্চর্য !!![/sb--- ;)

আসলে তেনাদের অবস্থা এখন ঐ একটা কবিতা আছে না কি যেন, 'কি করি অাজ ভেবে না পাই, এই পথে না ঐ পথে যাই' অবস্থা। :P ...। এটা কিন্তু অাসল কবিতার লাইন নয়। মনে নেই তাই পরেরটাতে কল্পনার রং চড়িয়েছি। কবি জানতে পারলে কব্বর থেকে বাঁশ নিয়ে আমাকে ধাওয়া করবে। :(

৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংগালীদের সৃজন ক্ষমতা বিকাশের সুযোগ হয়নি; সঠিক লোক, পুঁজি ও দর্শকের সমন্ময় ঘটেনি

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

আখেনাটেন বলেছেন: সৃজন ক্ষমতা বিকাশের সুযোগ হয় নি--এ কথায় একমত হতে পারলাম না। তাহলে এ বাঙালিরা কীভাবে পথের পাঁচালি কিংবা অপুর সংসার; পদ্মা নদীর মাঝি কিংবা সূর্য দীঘল বাড়ী; আগুনের পরশমনি কিংবা মাটির ময়নার মতো কালজয়ী সিনেমাগুলো জন্ম দিতে পারে।

আসলে আমরা এখন সুযোগগুলো কাজে না লাগিয়ে বিভিন্নরকম ধান্ধা বা শর্টকার্ট উপায়ের খোঁজে আছি। কিন্তু সৃজনশীলতা যে শর্টকার্ট রাস্তাতে সম্ভব নয় তা আমাদের এখন বোধগম্য হচ্ছে না। সবাই এখন উদাসী। না সরকারি না বেসরকারি--কোন উদ্যেগ চোখে পড়ে না এই মূমুর্ষূ রোগীটাকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে।

৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৪

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আমার মতামত একটু ভিন্ন। নিউজ চ্যানেল, স্পোর্টস চ্যানেল, এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেল, টক-মিষ্টি-ঝাল চ্যানেল সহ সবগুলো চ্যানেলের খোরাক হতে চায় প্রত্যেকটা টিভি। সেই সাথে অবিরাম বিজ্ঞাপন বিরতি। আর বস্তাপচা অনুষ্ঠান সবগুলো মিলিয়ে আমাদের দেশের চ্যানেলগুলোর এই অবস্থা।
আর একটা জিনিস মাঝে মাঝে মনের কোণে উকি দেয় তা হলো, সুলতান সুলেমান জনপ্রিয় হবার পর সবার পেটা লাথি পড়ল। আগে কোন সমস্যা হলোনা কেন? নাকি বিশেষ কোন মহলের সমস্যা? উপরোক্ত কথা গুলো স্রেফ প্রশ্ন, কোন মন্তব্য নয়।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার উপরের বক্তব্যের সাথে একমত।

''সুলতান সুলেমান জনপ্রিয় হবার পর সবার পেটা লাথি পড়ল। আগে কোন সমস্যা হলোনা কেন?''---অাসলে সুলেমান মিঞা নতুন চ্যানেল দীপ্ত টিভির টি অার পি ব্যাপক বাড়িয়ে দিয়েছে পিক আওয়ারে। এতে অন্য চ্যানেলগুলো এর জনপ্রিয়তায় অন্য তুর্কি, কোরিয়ান, ইংলিশ সিরিয়াল দেখাতে শুরু করে। ফলে দেশের প্রোডাকশন হাউসগুলো পিক টাইমের নাটক চালানোর মতো আর স্লট খুঁজে পাচ্ছে না। এতে মিডিয়ার লোকজন বেকার হয়ে পড়েছে বেশিরভাগ।

এখন তারা চাচ্ছে সুলেমান বন্ধ হোক। অন্যরাও অন্যগুলো বন্ধ করবে। ফলে অাবার তারা বস্তাপচা জিনিসগুলো জনগণকে গছায়ে দিতে পারবে। অর্থাৎ যেভাবে চলছে চলুক না। হাজারও সমস্যা জিয়ে রেখেই তারা সমাধানের পথ খুঁজে নিয়েছে শর্টকার্ট উপায়ে।

৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৩২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: মজার কান্ড হলো, খোদ তুর্কীরাই সুলতান সুলেমান সিরিয়ালের উপর প্রচন্ড বিরক্ত। যদিও নির্মান শৈলীর কারনে সিরিয়ালটি পৃথিবী ব্যপী ব্যবসা করেছে। কিন্তু ইতিহাস বিকৃতি এবং হারেমকে বানিজ্যিক ভাবে উপস্থাপনার কারনে সিরিয়ালটি তুমুল বিতর্কিত। সিরিয়ালটি দেখে মনে হতে পারে সুলতান বুঝি সারাক্ষনই হারেমে থাকতেন। অথচ বাস্তবতা হল, সুলাইমানের জীবনের বেশীর ভাগ অংশ কেটেছে যুদ্ধ ক্ষেত্রে।

"ম্যাগনিফিসেন্ট" বা "সুলতান সুলেমান" বাংলাদেশে জনপ্রিয় হবে সেটাই স্বাভাবিক।

সিরিয়ালটির ডাবিং করা হয়েছে খুব সুন্দরভাবে। দীপ্ত টিভির ডাবিং অসাধারন হয়েছে।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: মানুষ ইতিহাস জানার জন্য ড্রামা সিরিয়াল দেখে না।

আসলে মানুষ যখন এইসব সিরিয়াল দেখে তখন ধর্মটাকে পাশে রেখে বিনোদিত হতেই দেখে। তাই সুলতান সুলেমানে ইতিহাস বিকৃত হয়েছে কি হয় নি এতে আমজনতার মাথা ব্যথা নেই। একইভাবে মানুষ জি বাংলা বা জলসা দেখে যেখানে হিন্দু ধর্মের অাচার-আচরণ ব্যাপকভাবে দেখানো হ্য়। আর দর্শকেরা কিন্তু মুসলিম। এতে কিন্তু কারোও সমস্যা হচ্ছে না। কারণ সবাই বিনোদনের জন্যই সেগুলো গিলছে। ধর্ম এখানে গৌণ। তবে হ্যাঁ, সুলতাল সুলেমান দেখার পিছনে বাংলাদেশের অনেকের ধর্মীয় চেতনাও কাজ করেছে যা আমি পোষ্টে উল্লেখ করেছি।

গোটা দেশটায় তো এখন একপাশে ধর্মীয় গোঁড়ামী ও অন্যপাশে মুখোশধারী চেতনাবাজদের দখলে। মাঝখানে আমজনতার জান ওষ্ঠাগত। বিবেক জাগ্রত হোক সকলের।


৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪২

সুমন কর বলেছেন: শুভবুদ্ধির উদ্য় হোক সকলের। ভালো লিখেছেন।
+।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

আখেনাটেন বলেছেন: হুম, শুভবুদ্ধির উদ্য় হোক সকলের। ধন্যবাদ।

১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। একদম মনের কথা। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইল

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২১

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "কিছু নাটক বাদে বাংলাদেশের নাটকে অাসলে অশ্লীলতা এখনও জেঁকে বসে নি। "

কি আর বলব। জি বাংলার কিছু সিরিয়ালের ভক্ত তো আমিও। বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলের বস্তাপচা প্রেমের সংলাপের নামে ঘ্যান ঘ্যানানি মোটেও দেখা যায় না। এত বিরক্তিকরও হতে পারে। এই মুহূর্তে আমার প্রিয় সিরিয়াল দুটো। এক: দীপ্ত টিভির সুলতান সুলেমান এবং দুই: জি বাংলার গোয়েন্দা গিন্নি। দুটোই বিদেশী।

তুরষ্কের ড্রামা সিরিয়াল বেশ নামকরা এবং উল্লেখযোগ্য রপ্তানি পন্য। সুতরাং তুরষ্কের সিরিয়াল আকর্ষনীয় হওয়াটাই খুব স্বাভাবিক। তাদের উন্নত কারিগরী ব্যবস্থা রয়েছে। এজন্য যুদ্ধের দৃশ্য গুলো খুব সুন্দর ভাবে নির্মিত হয়েছে।

আমি মুগ্ধ হয়েছি জি বাংলার সিরিয়াল গোয়েন্দা গিন্নি দেখে। জী বাংলার এই সিরিয়াল গুলো অনেক যত্ন নিয়ে করা হয়েছে। ধর্মীয় আবহ কিংবা পারিবারিক আবহ - কোনটিরই অভাব নেই। কিন্তু বাংলাদেশের নাটকে ধর্মীয় অাবহ দূরে থাক, পারিবারিক আবহও বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে থাকে না। আশির দশকে টিভি নাটকের যে মান ছিল, এখন তার ধারে কাছেও নেই।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো বলেছেন।

১২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৮

শূণ্য পুরাণ বলেছেন: অাসলই ভাল লিখেছেন,এস এ টিভিতে সুলতান সুলেমানের দেখাদেখি শুরু হয়েছে ইউসুফ জুলেখা, অামি নিয়মিত দখি।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: দেখেন, তবে বাংলা নাটক সিরিয়ালের প্রতিও সুনজর দিবেন (যতই অখাদ্য হোক; কিছু সিঙ্গেল নাটকে এখনো ভাল কাজ হচ্ছে)

১৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

সোহানী বলেছেন: ইন্ডিয়ান চ্যানেলগুলা বন্ধ করার কি কোনই উপায় নাই ? যাক্ সুলতান সুলেমানের মাধ্যমে যদি একটু খালাম্মারা মুখ ফিরায়!!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১২

আখেনাটেন বলেছেন: চ্যানেল বন্ধ করা কোনো সমাধান নয়। বরঞ্চ দেখতে হবে কোন কোন কারণে এইসব বিদেশী চ্যানেল বা সিরিয়ালগুলো বাংলাদেশের মানুষ গোগ্রাসে গিলছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাপত্র দিলেই আশা করি সমাধান সম্ভব। ধন্যবাদ।

১৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

রেজা এম বলেছেন: ভাই ?? আমার সোজাসাপ্টা নীতি ........

যাহা ভালো লাগে তাহাই লাগানো উচিত। আমার আরবি গান ভালো লাগে তাই শুনি ;) । সাম্বার বড়া বেশ টেষ্টি, তাই মাঝে মাঝে খাই । কেরলী মুভি ভালো লাগে তাই দেখি ।
ফেরিহা ইন্ডিয়াতে অনেকদিন থেকে জনপ্রিয়, তারা সেটা এঞ্জয় করে তাই দেখে। আর আমাদের সিরিয়াল-- ক্ষতি হল বলে চিল্লায় না । ফেরিহা-র আকর্ষণ আছে, তানাপচা সিরিয়ালগুলোর নাই।

আই বাসায় হিন্দি সিরিয়াল, মুভি দেখব, হিন্দি মিউজিক কালেকশন রাখব। উৎসব, আনন্দে হিন্দি গান নিয়ে চিল্লাব আর লোক দেখানো TRP আলোচনায় সামিল হবো !!!

কি ভাই !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!?????????????????????????????????

change কবে হবেন ??????????????????!!!!!!!!!!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার যা ইচ্ছা আপনি করতে পারেন তবে শর্ত এই যে তা জনগণের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডকে বিঘ্নিত করে নয়। এ অধিকার অাপনার অাছে।
আর বিদেশী জিনিস ভালো লাগতেই পারে তবে দেশীকে উপেক্ষা করে নয়। দেশী ভালো জিনিসকে যদি আপনি নাক সিটকিয়ে আরবীয় মুজরা ড্যান্স নিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে বুঝতে হবে মাথা থেকে পা পর্যন্ত কোন একটা জায়গায় মারাত্নক গণ্ডগোল আছে।

আর যদি বলেন অামি সাচ্চা দেশীয় প্রোডাক্ট। বঙ্গীয় বাদে আমার অন্য কোন বিদেশী সঙ্গীও মানে বিদেশী জিনিসের ধার ধারী না। তবে কীবোর্ড টিপাটিপি বাদ দিয়ে লাঠি-কাঠি দিয়ে গণনা শুরু করতে হবে।

১৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯

আহলান বলেছেন: Beel সাহেবের মন্তব্যটি আমার মতে সঠিক। দেশি চ্যানেলের নারী শিল্পীদের পোশাক ষ্টার জলসা বা জি বাংলার নারী শিল্পিদের চেয়ে নোংরা এবং অশ্লীল যা আগে কখনোই মনে হতো না। বিপাশা শমী ঈশিতা টিসা লতা দিবা সহ কতজনের অভিনয়ই তো দেখে বড় হলাম। এখন তো দেশি চ্যনেলের নারী শিল্পী (মূলত টিন এজ বা নায়িকা ) দের দেখলেই শরম লাগে। গেঞ্জি টাইট জিন্স বা ফিটিং পোশাকের মাধ্যমে শরীর প্রদর্শনী .... এটা আমার মত।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: এই জায়গাটে বাংলাদেশের নির্মাতাদের মাথা ভজগট। ভারতের বেশিরভাগ সিরিয়ালের টার্গেট গ্রুপ হচ্ছে বাংলাদেশী মহিলা। এখন বাংলাদেশ যেহেতু মুসলিম দেশ সেই বাস্তবতাকে বিবেচনায় রেখে তারা তাদের সিরিয়ালকে সাজিয়েছে।

কিন্তু বাংলাদেশের নির্মাতারা এই ট্রেন্ডগুলো ধরতে পারছে না। তারা মার্কেট রিসার্স করে ভোক্তা গ্রুপকে অাইসোলেট করতে পারছে না। অাবার কেউ কেউ করলেও অন্যন্য উপযুক্ত পলিসির অভাবে বা চ্যানেল মালিকদের দৌরাত্নের কাছে জিম্মি হয়ে যাচ্ছে। মানে এক বিশাল ভজগট অবস্থা চলছে এই সেক্টরে।

১৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫১

অগ্নি সারথি বলেছেন: উরিব্বাস! কি সাংঘাতিক অবস্থা।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

আখেনাটেন বলেছেন: ইয়া হুয়া! কী সাংঘাতিক মন্তব্য!!!! :P

১৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভারতের ষ্টার জলসা টাইপের চ্যানেলগুলো আগে বন্ধ করা উচিৎ, সুলতান সুলেমান তথা তুর্কি সিরিয়ালগুলো বিশ্বে এতোটা জনপ্রিয় জানা ছিল না।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য সাদা মনের মানুষ ভাই।

আমিও কয়দিন অাগেও এটা জানতাম না( যেহেতু বাংলাদেশের খেলা; রিয়াল মাদ্রিদ ও ব্রাজিলের ফুটবল বাদে টিভি দেখা হয় না; তাই এ নিয়ে জানারও কথা নয়)। কয়দিন ধরে সুলেমান নিয়ে হাউকাউ দেখে অন্তর্জালে ঘুরাঘুরি করতে গিয়ে এইসব চোখে পড়ল। তারপর ইউটিউবে তুর্কি সিরিয়ালের উপর বিভিন্ন দেশের দর্শকের হুমড়ি খেয়ে পড়া (বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানের দর্শক) মন্তব্য দেখে তো অবাক।

আসলে ২০০৪ সালেও তুর্কিরা মাত্র ১০ হাজার ডলার সমমানের সিরিয়াল রপ্তানি করেছে। আর দুই দশকে বছর পরে তা বিলিয়ন ডলারে টার্গেট ভাবা যায় কী পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।

দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় সব কয়টা দেশে স্পেনিশ ও ব্রাজিলে পর্তুগিজ ভাষায় এই ড্রামাগুলো ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। গ্রীসে ও মেসোডোনিয়াতে রীতিমতো অাইন করতে হয়েছে তুর্কি সিরিয়ালের জনপ্রিয়তার জন্য।

১৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

ইছামতির তী্রে বলেছেন: অসাধারণ একটা লেখা। দেশে যারা এই নিয়ে আন্দোলন করছে তারা স্রেফ হাস্যকর। এই দুনিয়ায় কোন কিছু আটকে দিয়ে কিছু হবে, উপায়ও নাই। যাইহোক, শুটিং স্পট বন্ধ, তাই রাস্তায় সময় কাটাচ্ছে।

সিরিয়ালটা যখন শুরু হয় তখন আমি Click This Link একটা লেখা দিয়েছিলাম। এ যাবত আমার সবচেয়ে পঠিত লেখা (২০২৩৮ বার পঠিত)। দেখতে পারেন।

তবে ইটিভিতে আরেকটা তুর্কি সিরিয়াল চলছে। এটাও দারুণ। নাম 'সীমান্তের সুলতান'। এটি মূলত অটোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার গল্প। এটা নিয়ে একটা লেখা দিয়েছি। দেখতে পারেন। লিঙ্ক Click This Link

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: আসলে উনারা আন্দোলন করছেন নিজেদের বেঁচে থাকার তাগিদে। কিন্তু সেটা ভুল পথে। মূল সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে সমস্যার সমাধানে কূটকৌশলের অাশ্রয় নিয়েছেন। জনগণকে বলদ বানায়ে নিজেদের অাখের গোছাতে চায় অার কি!

হুম, অাপনার লেখাগুলো পড়লাম। অনেক পরিশ্রমের ভালো লেখা।

১৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: @ ইছামতির তী্রে, সীমান্তের সুলতানের ডাবিং সুলতান সুলেমানের ডাবিং এর মত এত ভাল হয় নি। যার ফলে সিরিজটি বেশী ভাল লাগছে না। সুলতান সুলেমান দেখলে মনে হয় ওটা বাংলাদেশের সিরিয়াল, শুধু চরিত্র গুলো বিদেশী।

২০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:


ভালো লিখেছেন। অনেকেই মন্তব্ব্যে অনেক কিছুই বলে ফেলেছেন।
ভিতরে কিছু না থাকলে আন্দোলন করে লাভ কি।


তবুও বাংলা নাটক ও সিরিয়ালের জন্য শুভকামনা রইলো।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৪

আখেনাটেন বলেছেন: তবুও বাংলা নাটক ও সিরিয়ালের জন্য শুভকামনা রইলো। [/sb---একজন সাধারণ বাঙালি হিসেবে এরচেয়ে আর বেশি কী চাইতে পারি। ভালো থাকুন।

২১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪

ইছামতির তী্রে বলেছেন: @উম্মু আবদুল্লাহ : হ্যা, খুব সম্ভবত তাড়াহুড়া করতে গিয়ে এমনটা হয়েছে।

তবে এর অভিনয়, মেকিং এবং সে সময়কার চিত্রায়নের চেস্টা আমার কাছে ভাল লাগছে।

২২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আমাদের শিল্পী ও কলাকুশলীদের কান্নাকাটি মজা সহকারে অবলোকন করছি, যদিও ওদের কারনেই আমার টিভি দেখার বদঅভ্যাস চলে গেছে সেই কবে..................

২৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুলতান সুলেমান এর মত ইতিহাস-আশ্রয়ী তুর্কি ধারাবাহিক টেলিভিশন নাটকটির উপরে এ লিখাটি প্রথম পাঠে মনে হল এর উপর মন্তব্য করার মত কোন যোগ্যতাই আমার এখনো হয়নি। এই লিখাটি পাঠ করে কিছু ধারনা পেলেও যেহেতু এই সিরিয়ালটি আমার দেখা হয়ে উঠেনি তাই ভাবলাম দেখা যাক বিষয়টিকে আরো একটু পর্যবেক্ষন করে, এ বিষয়ে কিছু ধারনা না নিয়ে এর উপরে মন্তব্যের ঘরে দু একটি কথা লিখি কেমন করে । কার্যপোলক্ষে দেশের বাইরে থাকায় ঐখানে বাংলা কেন অন্য কোন ভাষায় এ সিরিয়ালটি দেখার সুযোগ হয়নি, যদিও দুনিয়ার অনেক দেশেই এই দীর্ঘ সিরিয়ালটি প্রচারিত হয়েছে । প্রাথমিকভাবে তুরস্কের শো টিভিতে নাটকটির সম্প্রচার শুরু হয়ে পরবর্তীকালে তুরস্কের স্টার টিভিতে এর সম্প্রচার স্থানান্তর করা হলেও দেখা হয়ে উঠেনি, কারণ আমার বসবাসের দেশে এটা দেখানো হয়নি বলে কিংবা আমার নেট ওয়ার্কে এটা দেখতে পাইনি বলে । অপর দিকে বাংলাদেশের বেসরকারি চ্যানেল দীপ্ত টিভি ২০১৫ নভেম্বর থেকে ধারাবাহিকটি বাংলা ভাষায় সম্প্রচার শুরু হলেও অমার এখানে টিভিতে এটা দেখা যায়নি । যাহোক ইউটিউবে এর কয়েক টি বাংলা পর্ব এর মধ্যে দেখে নিয়েছি । আপনার লিখার সাথে নীজেও জানতে পারলাম নাটকটি নির্মিত হয়েছে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়কালব্যাপী রাজত্ব বিস্তারকারী উসমানীয় সম্রাট প্রথম সুলাইমান এবং তার প্রিয়তম স্ত্রী হুররেম সুলতানের জীবনগাঁথার উপর ভিত্তি করে, যিনি সুলায়মানের কৃতদাসী হয়েও পরবর্তীকালে তার প্রধান স্ত্রী বা সুলতানা হিসেবে সম্মানিত হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন। আপনার এ লিখাটির কল্যানে এ সম্পর্কে বিষয়গুলি জানা হল আরো বিশদভাবে বিভিন্ন দৃস্টিকোন হতে ।

জানা গেল ২৬ বছর বয়সে শাসনকালের সূচনালগ্নে সুলাইমান মহামতি আলেক্সান্ডারের থেকে শক্তিশালী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে অটোমান জাতিকে অপরাজেয় জাতি হিসেবে গড়ে তোলার সংকল্প করেন। তার ৪৬ বছরের শাসনকাল জুড়ে, পূর্ব ও পশ্চিমে সমসাময়িক মহান যোদ্ধা ও শাসক হিসেবে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। তার সঙ্গী ইব্রাহিম পাশাকে সাথে নিয়ে সুলেমান অগণিত যুদ্ধাভিযান জয় করেন। ধারাবাহিকটিতে সুলায়মানের রাজনৈতিক শক্তি একীভূতকরণকে প্রদর্শন করা হয়েছে: ইব্রাহিম পাশাকে রাষ্ট্রের উজির হিসেবে নিযুক্তকরণ, সমস্ত সাম্রাজ্য জুড়ে আইনি শাসন পুনর্বহাল করা, বৈদেশিক কূটনৈতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, এবং যুদ্ধাভিযানের জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুতকরণ, এই সকল ঘটনাই রোমান সাম্রাজ্য এবং অটোমান সাম্রাজ্যের পারস্পারিক সম্পর্কের অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে ঘটেছে বলেই জানা গেল ।

ধারাবাহিকটিতে সম্রাট পরিবারের সদস্যদের পারস্পারিক সম্পর্ক, বিশেষ করে প্রণয়ী দীর্ঘসূত্রিতা এবং দ্বন্দ্বকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলেও দেখা ও জানা হল । সুলতানের সন্তান গর্ভে ধারণ করে সুলতানের প্রিয়পাত্র হওয়ার মাধ্যমে হুররেম সুলতানের উত্থান, এবং সন্তান জন্মের পর প্রিয়পাত্রের অবস্থান হতে পতন এবং পরিণামস্বরূপ করুণার অবস্থানে ফেরত; সুলতানের ভগ্নি হেতিজা সুলতানের সঙ্গে ইব্রাহিম পাশার প্রণয়, এবং আরও অনেক কিছু ।

আপনার লিখাটি হতে ধারনা হল বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভিতে ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে প্রচারিত সুলতান সুলেমান সিরিয়ালটি দেশের সকল অনুষ্ঠানকে পেছনে ফেলে দর্শক জনপ্রিয়তায় প্রথম শীর্ষস্থান দখল করে নেয়। তবে একে নিয়ে সমালোচনা এবং বিভিন্ন ধরনের প্রতিদন্ধীগ্রপের তৎপরতার বিষয়টিও আপনার লিখা হতে জানা গেল ।

তবে একে নিয়ে খোদ তুরস্কেও কিছু দর্শক ধারাবাহিকটির উপর তুর্কি সুলতানকে অসম্মানিত, অশ্লীল এবং ফুর্তিবাজ হিসেবে চিত্রায়িত করার অভিযোগ তোলেন বলেও জানা গেল । তুরস্কের সর্বোচ্চ বেতার ও টেলিভিশন পরিষদ আরটিইউকে দাবি করে যে তারা সিরিজটির বিরুদ্ধে ৭০ হাজার অভিযোগ পেয়েছে এবং একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের গোপনীয়তাকে ভুলভাবে প্রদর্শনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সিরিজটিকে সতর্ক করেছে । ইসলামপন্থী এবং জাতীয়তাবাদীদের কিছু ক্ষুদ্র দল স্টুডিওর সামনে প্রতিবাদ মিছিল করে কিন্তু তবুও সিরিজটি আশানুরূপ উচ্চমানের রেটিং সহ সফলভাবে চলমান থাকে বলেই জানা হল আপনার লিখাটি সহ আরো অন্য সকল লিখা হতে । ।

সিরিয়ালটির বিষয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে আপনার উত্থাপিত বিষয়াদি বেশ গুরুত্বপুর্ণ বলে অনুভুত হয়েছে । তাই এ আলোচনার শেষ পর্যায়ে এসে পোস্টের উসংহারের নিন্মোক্ত বক্তব্যের সাথে সম্পুর্ণভাবে সহমত পোষন করছি –
তাই দেশীয় সিরিয়াল ও ছবিকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় করতে গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে মেধা ও মননের চুড়ান্ত পরাকষ্ঠা দেখিয়ে জীবন ও বিকাশের রাস্তা মসৃন রেখে কৃষ্টি ও কালচারের নবরূপ উন্মোচনের দ্বারা যথোপযুক্ত বিনিয়োগের মাধ্যমে নবধারা সৃষ্টিই হচ্ছে এর প্রধানতম উপায়। আর তা নাহলে আমাদের সামনেই ধ্বংসের লেলিহান শিখাগুলো লকলকিয়ে বাড়তে থাকবে যা একটা নির্দিষ্ট সীমার পর অার কোনোভাবেই রোধ করা যাবে না

অনেক ধন্যবাদ বেশ প্রয়াশলব্দ এই মুল্যবান লিখনীটির জন্য ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৮

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার এই অসামান্য মন্তব্য পড়ে ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে আর ছোট করতে চাই না। আপনার পক্ষেই সম্ভব এত ভেঙ্গেচুরে পোষ্ট পড়া ও এত গভীরতায় মন্তব্য করা।

বিশ্বের ইতিহাসে যে সাম্রাজ্যগুলো প্রভাব-প্রতিপত্তি ও শৌর্যে-বীর্যে নিজেদের অন্যভাবে চিনিয়েছিল। সুলতান সুলেমানের ওটোমান সাম্রাজ্যও তাদের মধ্যে অন্যতম। অনেক ঐতিহাসিকদের মতে হাঙ্গেরীর অবরোধ সফল হলে কিংবা সুলতান হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে মারা না পড়লে গোটা ইউরোপের ভাগ্য আজকে অন্যভাবে হয়তবা লেখা হত? এতটাই পরাক্রমশালী ছিলেন তিনি সে সময়।

আর সিরিয়ালের কাজ যেহেতু ইতিহাস বিনির্মাণ নয়, শুধুই এন্টারটেইন করা; তাই হয়ত নানাবিধ অসামঞ্জস্য রয়েছে এতে। তবে আনন্দ যাদের পাওয়ার কথা তারা মনে ঠিকই পাচ্ছে।

এখন আমার দেখতে ইচ্ছে করে বাংলাদেশের নির্মাতারা কবে বাংলার রাজা-বাদশা কিংবা নবাবদের নিয়ে অসাধারণ গেট-অাপ, মেক-আপের একটি সুন্দর সিরিয়াল উপহার দেয়।



২৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬

সিকদার বাড়ীর পোলা বলেছেন: অসাধারণ

২৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি সিরিয়ালটির একটি পর্বও এখনো দেখিনি, কারণ টিভি দেখা ছেড়ে দিয়েছি বহুদিন হলো, অনুষ্ঠানগুলোকে খুব পানসে লাগে বলে। তবে আমার কয়েকজন বন্ধু এবং বন্ধুপত্নী এবং আমার গিন্নীও এসব অনুষ্ঠান খুব মনযোগ দিয়ে দেখে থাকেন, তাই তাদের মুখ থেকে শোনা কিছু কিছু কথা থেকে সিরিয়ালটির কয়েকটা চরিত্রের সাথে পরিচিত হয়ে গেছি। আপনার এ পোস্ট পড়ে আরও বিস্তারিত ধারণা পেলাম।
একটা সময় ছিল যখন টিভি নাটক দেখতাম, সঙ্গীতানুষ্ঠান শুনতাম, প্রথম প্রথম কিছু টক শোও গিলতাম। এখনকার তুলনায় তখন ওগুলোর মান বেশ উন্নত ছিল। মান পড়ে যাওয়ায় দেখা ও শোনা ছেড়ে দিয়েছি। শুধু বাংলাদেশের খেলা থাকলে টিভি'র সামনে গিয়ে বসি, দল যতই খারাপ খেলুক না কেন!
চাহিদা ও সরবরাহের অর্থনীতিক নীতি এখানেও কার্যকর, এ বিষয়টির প্রতি প্রতিবাদী প্রযোজক, পরিচালক, নাট্যকারগণ সযত্ন খেয়াল রাখলে আজ এমন প্রতিবাদের প্রয়োজন হতোনা।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩০

আখেনাটেন বলেছেন: চাহিদা ও সরবরাহের অর্থনীতিক নীতি এখানেও কার্যকর, এ বিষয়টির প্রতি প্রতিবাদী প্রযোজক, পরিচালক, নাট্যকারগণ সযত্ন খেয়াল রাখলে আজ এমন প্রতিবাদের প্রয়োজন হতোনা। --- হক কথা।

মার্কেট রিসার্স একটি জরুরী বিষয়। গ্রাহক কি খাবে কি খাবে না এতটুকু রিসার্স করে তবেই রান্নাবান্না করা উচিত।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.