নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“ কাউকে জ্ঞান বিতরণের আগে জেনে নিও যে তার মধ্যে সেই জ্ঞানের পিপাসা আছে কি-না। অন্যথায় এ ধরণের জ্ঞান বিতরণ করা হবে এক ধরণের জবরদস্তি। জন্তুর সাথে জবরদস্তি করা যায়, মানুষের সাথে নয়। হিউম্যান উইল রিভল্ট। ” -আহমদ ছফা ।

আহমেদ রুহুল আমিন

“ মানূষের জীবনকাল মাত্র দুই দিনের যার একদিন যায় স্বপ্ন দেখতে- একদিন যায় স্বপ্ন ভাঙ্গতে ” ।

আহমেদ রুহুল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।"

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

আমাদের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এই গানটি রচিত হয়েছিল। তবে এর সঠিক রচনা কাল জানা যায় নি। সত্যেন রায়ের রচনা থেকে জানা যায় ১৯০৫ সালের ৭ আগস্ট কলকাতার টাউন হলে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় এই গানটি প্রথম গীত হয়েছিল। এই বছরই ৭ সেপ্টেম্বর সঞ্জীবনী পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বাক্ষরে এবং বঙ্গদর্শন পত্রিকার আশ্বিন সংখ্যাতে গানটি মুদ্রিত হয়। "আমার সোনার বাংলা" গানটি শিলাইদহের ডাকপিয়ন গগন হরকরা (বাউল গগন চন্দ্র দাস) রচিত "আমি কোথায় পাব তারে, আমার মনের মানুষ যে রে" এই গানটির সুর ও সংগীত থেকে উদ্ভূত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বাউল গান দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে রচনা করেন 'আমার সোনার বাংলা' গানটি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপস্থিতিতে ১৯৫৬ এবং ১৯৬৯ সালে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’- গানটি গাওয়া হয়েছিল। ১৯৭০ এর নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রতিটি জনসভায় এ গানটি নিয়মিত গাওয়া হতো। এই বছরই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় শিল্পী জাহিদুর রহিম, কলিম শরাফী, আবদুল আহাদ এবং সানজিদা খাতুনের আয়োজনে ছায়ানটের পরিবেশনায় এ গানটি রেকর্ড করা হয়। উল্লেখ্য যে, ১৯৬৯ এ জহির রায়হান গানটি 'জীবন থেকে নেয়া' চলচ্চিত্রে দৃশ্যায়ন করেন যা সাংস্কৃতিক আন্দোলনে এক নতুন মাত্রা যোগ করে। ছবিটি ১৯৭০ সালে মুক্তি পেয়েছিল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এই গান এক তুলনাহীন প্রেরণা যুগিয়েছে।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ গঠিত হয় স্বাধীন বাংলার কেন্দ্রিয় সংগ্রাম পরিষদ। পরে ৩ মার্চ ঢাকা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপস্থিতিতে ঘোষিত ইশতেহারে এই গানকে জাতীয় সংগীত হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রাক্কালে গানটি গাওয়া হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে এই গান প্রথম জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সুরকার অজিত রায় গানটির বর্তমানে প্রচলিত যন্ত্র সুর করেন। ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকার গানটির প্রথম দশ লাইন জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়ার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। যন্ত্র সংগীত এবং সামরিক বাহিনীতে প্রথম চার লাইন ব্যবহার করা হয়। একই বছর বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে ব্যবহার করা 'আমার সোনার বাংলা' গানটির স্বরলিপি বিশ্বভারতী সংগীত বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত করা হয়।
২০০৬ সালে শ্রোতাদের পছন্দ অনুসারে বিবিসি বাংলার তৈরি সেরা বিশটি গানের তালিকায় এই গানটি প্রথম স্থান দখল করে। দৈনিক গার্ডিয়ান পত্রিকার মতে ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে অংশ নেয়া ২০৫ টি দেশের জাতীয় সংগীতের তুলনামূলক বিচারে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ২য় হয়। প্রথম হয় উরুগুয়ের জাতীয় সংগীত। ২০১৪ সালের ২৬ মার্চ ঢাকার জাতীয় প্যারেড ময়দানে একসঙ্গে ২,৫৪,৫৩৭ জন জাতীয় সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে গিনেস বুকে বিশ্ব রেকর্ড করে। আমাদের জাতীয় সংগীতের কথায় বাংলাদেশ এবং বাংলা ভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রতিফলিত হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতবিতান কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। জাতীয় সংগীতের প্রথম ইংরেজি অনুবাদ করেন সৈয়দ আলী আহসান।
আজ এটি শুধু বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতই নয়- এটি দুই বাংলার মানুষের কাছে কাঁটাতারের বিভেদ ছিন্ন করে প্রাণের স্পন্দন হয়ে মিশে আছে তাদের চেতনায় । তাইতো, এখনো মনখুলে গাইতে পারি- ”আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি.........”
ভিডিও লিঙ্ক : https://youtu.be/bH4R52GkngA
# ভিডিওতে সঙ্গীত পরিশেনায় :
* পশ্চিম বাংলা : নচিকেতা চক্রবর্তী, শুভমিতা, রুপঙ্কর, তপন সিনহা, জয়তী চক্রবর্তী, ইমন চক্রবর্তী, তিমির, চায়না ব্যনার্জী, সুমনা ।
* বাংলাদেশ : ফেরদৌস ওয়াহিদ, সামিনা চৌধুরী, বাপ্পা মুজুমদার, তপু, পিন্টু ঘোষ, ঝিলিক, নিশিথা বড়ুয়া, শারমিন সাথী, জুলি প্রমূখ ।
-লেখা ও ভিডিও গুগল সহায়তায় সম্পাদিত ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.