নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“ কাউকে জ্ঞান বিতরণের আগে জেনে নিও যে তার মধ্যে সেই জ্ঞানের পিপাসা আছে কি-না। অন্যথায় এ ধরণের জ্ঞান বিতরণ করা হবে এক ধরণের জবরদস্তি। জন্তুর সাথে জবরদস্তি করা যায়, মানুষের সাথে নয়। হিউম্যান উইল রিভল্ট। ” -আহমদ ছফা ।

আহমেদ রুহুল আমিন

“ মানূষের জীবনকাল মাত্র দুই দিনের যার একদিন যায় স্বপ্ন দেখতে- একদিন যায় স্বপ্ন ভাঙ্গতে ” ।

আহমেদ রুহুল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা রাজবংশী ভাষার কবিতা ।। ভুরকুন্দা বাউ ।।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৩

দিন যাছে, মাস যাছে,
যাছে বছর.....
সোড়োত করে পার হচে
বেলাহাটির বেলা ।
কাথায় কাথায় আল কাটেছে
'ধাকুরনের মা'....!

মাঘমাসিয়া জারত-
দিন মান ঘসি কুড়ায়
পইশাঞ্জে অগুন দেছে পোড়ত ।
গালফাটা অর শিংগলভেল্টা
ভুরকুন্দা বাউডা
হাত-ঠেং আর পাছিলা শেকে চাঙ্গা হচে.... !
খালি সাকাল হোক-
দশ-বারটা ধুকুর জড়াইছে
মা-বেটায় ।

বেটা অর গাবুর হচে ...
সিনা খাড়া করে কোপ মারিবে
নিন্দুরের গাড়হাত....
আর সব ধান খেরকেতে লে ধুকুর ভরাবে....।
ধান বেচে কিনিবে অর মা'র তানে
মোটাডোরা পাইড়ের একখান মাহবুব শাড়ি...
আর নিজের তানে একটা শিশুমালতী !

লোকে কহিবে- মা...ডা.. আর বেটা...ডা...,
'জগদল হাটের ডুকিডা'...... !
======
কিছু শব্দ সংকেত : ভুরকুন্দা বাউ- জেদী ছেলে, সোড়োত করে- চোখের পলকে, বেলাহাটি- শেষ বিকেল, কাথায় কাথায় আল কাটেছে- কথা দিয়ে কাল ক্ষেপন,
মাঘমাসিয়া জারত- মাঘ মাসের ঠান্ডা, দিন মান ঘসি কুড়ায়
পইশাঞ্জে অগুন দেছে পোড়ত - সারাদিন শুকনো গোবর সংগ্রহ করে সন্ধ্যাবেলায় তা জ্বালিয়ে আগুন পোহানো,হাত-ঠেং আর পাছিলা শেকে চাঙ্গা হচে-হাত-পা - শরীর গরম করে, অর- তার, শিংগলভেল্টা - নাকে পঁচাসর্দি বয়ে বেড়ানো,
ধুকুর জড়াইছে- বস্তা সংগ্রহ করা,গাবুর হচে- যুবক হচ্ছে, নিন্দুরের গাড়হাত- ইদুরের গর্ত, খেরকেতে লে ধুকুর ভরাবে- সব কুড়িয়ে নিয়ে বস্তা ভরানো,কহিবে- বলবে, ডুকিডা'- মাটির পাত্র বিশেষ ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: বাংলা রাজবংশী - মানে বুঝলাম না।
যেকোনো একটা বা রংপুরের ভাষা হবে।।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৩

আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: রাজবংশী, রংপুরী বা কামতাপুরী একটি ইন্দো-আর্য পরিবারভুক্ত ভাষা। এ ভাষায় বাংলাদেশের রাজবংশী সম্প্রদায়, ভারত এবং নেপালের রাজবংশী, তাজপুরিয়া, নস্যশেখ, নাথ-যোগী, খেন সম্প্রদায়ের লোকেরা কথা বলে। তবে এই ভাষাভাষী জনগণ কার্যত দ্বিভাষী। তারা কামতাপুরী/রাজবংশী ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষা অথবা অসমিয়া ভাষায় কথা বলে। উত্তর বঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং দার্জিলিংয়ের তরাই অঞ্চল, বিহারের কাটিহার, পূণিয়া এবং কিষানগঞ্জ জেলার কিছু অঞ্চল, নেপালের মোরং এবং ঝাপা জেলা, ভূটানের কিছু অঞ্চল, বাংলাদেশের অবিভক্ত রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলায় এই ভাষার মানুষ আছে। মেঘালয়, ত্ৰিপুরা এবং সম্বলপুর (ওড়িশা)তে এই ভাষার লোক আছে। অঞ্চলভেদে রাজবংশী, গোয়ালপারীয়া, দেশি ভাষা, রংপুরী ভাষা আদি বিভিন্ন নামে পরিচিত। এই ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা ১৫ মিলিয়নেরও অধিক।

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৫০

এমএলজি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৮

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। শুভ কামনা।

৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:২৪

শোভন শামস বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: কবিতা বুঝলাম না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.