নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“ কাউকে জ্ঞান বিতরণের আগে জেনে নিও যে তার মধ্যে সেই জ্ঞানের পিপাসা আছে কি-না। অন্যথায় এ ধরণের জ্ঞান বিতরণ করা হবে এক ধরণের জবরদস্তি। জন্তুর সাথে জবরদস্তি করা যায়, মানুষের সাথে নয়। হিউম্যান উইল রিভল্ট। ” -আহমদ ছফা ।

আহমেদ রুহুল আমিন

“ মানূষের জীবনকাল মাত্র দুই দিনের যার একদিন যায় স্বপ্ন দেখতে- একদিন যায় স্বপ্ন ভাঙ্গতে ” ।

আহমেদ রুহুল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

।। ‘করোনার’ ঈদে ।।

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০১

কোরবানির গরুতে
আর নয় হারজিত/
'করোনার' পরিবারে
আজ আর নেই ঈদ...!
দোয়া থাকুক নিত্য
করোনার রোগীদের/
সুস্থতা ফিরে আসুক
ভুক্ত-ভোগীদের ।
মুসলিম উম্মায়
ধনি আর গরীবের/
চেতনা'তো একটাই
'ভ্রাতৃত্ব' করি বের ।
জোটে আজ মুখে সবার
একটুকু মাংস/
কোরবানির ঈদে খুশি
জোটে কিয়দাংশ ।
'করোনাতে' বিশ্বের
'মুসলিম কমিউনিটি'/
‘কোরবানি’তে শরীরে
বাড়বে 'ইমুউনিটি' ।
==========

(**) গরুর মাংসের গুণাবলী ও পুষ্টিগুন :
অনেকেরই ধারণা গরুর মাংস খেলেই বুঝি স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। গরুর মাংসে প্রচুর কোলেস্টেরল থাকায় অনেকেই সেটি খাওয়া এড়িয়ে চলেন।
কিন্তু পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, গরুর মাংসের ক্ষতিকর দিক যেমন আছে, তেমনি এই মাংস অনেক উপকারও করে থাকে। এবং গরুর মাংসে যতো পুষ্টিগুণ আছে সেগুলো অন্য কোন খাবার থেকে পাওয়া কঠিন।
এখন এই মাংস আপনার জন্য ক্ষতিকর হবে না উপকারী, সেটা নির্ভর করবে আপনি সেটা কতোটা নিয়ম মেনে, কি পরিমাণে খাচ্ছেন।
# গরুর মাংসের পুষ্টিগুণ :
পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, গরুর মাংসে রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিনস, মিনারেলস বা খনিজ উপাদান যেমন, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, আয়রন। আবার ভিটামিনের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি২ বি৩, বি৬, এবং বি১২। আর এই পুষ্টিকর উপাদানগুলো -
•রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
•পেশি, দাঁত ও হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে।
•ত্বক/চুল ও নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
•শরীরের বৃদ্ধি ও বুদ্ধি বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
• ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে।
•দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
•অতিরিক্ত আলসেমি/ ক্লান্তি বা শরীরের অসাড়তা দূর করে কর্মোদ্যম রাখে।
•ডায়রিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।
•রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে।
•খাবার থেকে দেহে শক্তি যোগান দেয়।
•স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
•অবসাদ/ মানসিক বিভ্রান্তি/ হতাশা দূর করে।

# কতোটুকু গরুর মাংস খাওয়া নিরাপদ :
কোরবানি ঈদের পর পর বেশ কয়েক দিন গরুর মাংস অনেক বেশি খাওয়া হয়।
তাই এ সময় প্রোটিন-সমৃদ্ধ অন্য খাবার এড়িয়ে চলুন।
কখনোই প্রতিদিন একটানা মাংস খাওয়া যাবে না।
পুষ্টিবিদ তাসনিম হাসিনের মতে, গরুর মাংস খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা হল সপ্তাহে দুই দিন, মোট তিন থেকে পাঁচ বেলা খাওয়া।
এই দুই দিনে আপনি মোট ১৫৪ গ্রাম গরুর মাংস খেতে পারবেন। এবং সপ্তাহের ওই দুই দিন প্রতি বেলায় আপনার পাতে মাংসের পরিমাণ হবে ১৬ থেকে ২৬ গ্রাম।
আরও সহজ করে বললে প্রতি বেলায় ঘরে রান্না করা মাংস ২/৩ টুকরার বেশি খাবেন না।
তবে আপনি যদি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হাইপার-টেনশন বা কিডনি রোগে আক্রান্ত হন তাহলে চিকিৎসকের কাছে মাংস খাওয়ার পরিমাণটি জেনে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মিসেস হাসিন।
তিনি জানান, সাধারণত সপ্তাহে তারা এক থেকে দুই বেলা মাংস খেলে তেমন ঝুঁকি নেই। তবে চিকিৎসকরা যদি মাংস খেতে সম্পূর্ণ নিষেধ করেন, তাহলে খাবেন না।
আমাদের বয়স, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ এবং শারীরিক পরিশ্রমের ওপর ভিত্তি করে প্রতিদিন ১২০০-২০০০ ক্যালরির প্রয়োজন হয়।
এখন সপ্তাহের এক বেলায় যদি আপনি ২৫ গ্রাম চর্বি-ছাড়া মাংস মানে মাঝারি আকারের ২/৩ টুকরা মাংস খান তাহলে সেটা থেকে আপনি হয়তো ৬২ ক্যালোরি পাবেন যা আপনার প্রতিদিনের চাহিদার মাত্র ৩%-৫% ক্যালোরির জোগান দেবে।
তাই গরুর মাংস মানেই হাই ক্যালোরি, তা নয়।
যারা এতদিন ভাবতেন গরুর মাংসে সবচেয়ে বেশি কোলেস্টেরল রয়েছে, তাদের বলতে চাই যে একটি মুরগির ডিমের কুসুমে ১৯০ মিলিগ্রাম ভালো কোলেস্টেরল থাকে যা চর্বি ছাড়া ২১০ গ্রাম গরুর মাংসের সমান, বলছেন মিসেস হাসিন।
তাই গরুর মাংস মানেই অনেক বেশি কোলেস্টেরল এই ধারণা ভুল।

(*) ছবি ও সূত্র : বিবিসি বাংলা ০২ আগস্ট ২০২০

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গরুর মাংশের কোলেস্টেরল এর পরিমাণ সম্পর্কে নতুন করে জানলাম। ভুল ভেঙ্গে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার ছড়া আর খাবারের পরামর্শ দুইটাই ভালো লেগেছে।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: ছড়া ও গরুর মাংসে পুষ্টি ও গুনাগুন; সব মিলিয়ে ভাল পোস্ট! ভাল লাগল

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: গরুর মাংস চেংড়া পোলাপান বেশী খেতে পারে। একজন বয়স্ক মানুষ মাংস বেশী খেলে তার প্রেসার বেড়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.