নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়ের সময় পাত্র পাত্রীর বয়সের পার্থক্য কতো হলে সংসার সুখের হয়

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩১

বিয়ের সময় পাত্র পাত্রীর বয়সের পার্থক্য কতো হলে সংসার সুখের হয় তা নিয়ে প্রায় সময় আমার বন্ধু বান্ধব ও আত্তীয় স্বজনের সাথে খুব তর্ক হয় বিয়ের আগে বা নতুন কোনো সম্পর্কে জড়ানোর পূর্বে এই বিষয় গুলো নিয়ে একটু ভেবে সিদ্ধান্ত নেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ।ঢাকা শহরে যেভাবে ডিভোর্স বা তালাক বৃদ্ধি পাচ্ছে তা কিন্তু আসলেই চিন্তার বিষয় বিভিন্ন কারণে সংসার গুলোতে ভাঙ্গন ধরলেও এর অন্যতম কারণ পাত্র পাত্রীর বয়সের পার্থক্য যেমন ধরুন একটা দল আছে যারা না বুঝেই আপনাকে বলবে বিয়ের পত্র পাত্রীর কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ বছরের পার্থক্য হওয়া উচিত আবার আরেকটা দল আছে যারা বলবে না ৪ বছর এর পার্থক্য ঠিক আছে এর চে বেশি বা কম হওয়াটা ঠিক না আবার অনেকে সময় দেখবেন সম বয়সের ছেলে মে ৪ বছর উনিভার্সিটি তে চুটিয়ে প্রেম করে অবশেষে বিয়ে করে দিব্বি সুখে সংসার করে যাচ্ছে তা হলে কোনটা সঠিক ?এখন তো আবার মর্ডান বা আধুনিক যুগের ছেলে মেদের অনেক কেই দেখি বিয়ের আগে লিভ টু গেদার পর্যন্ত করছে যাতে বিয়ের আগেই দু জনের মাঝে বুঝা পরা কেমন বা এক ছাদের নিচে বসবাস সম্ভব কিনা তা তারা নিজেরাই যাচাই করে নিতে পারে।আসলেই বিষয়টা খুব জটিল দেখেন এটা তো অমরা জানি যে মেদের মানসিক পরিপক্কতা প্রকৃতিগত ভাবেই একটা সম বয়সের ছেলেদের চে একটু বেশি থাকে কিন্তু যেই ভুলটা সবাই করে তা হচ্ছে সবার মানসিক পরিপক্কতা কিন্তু এক নয়।নিশ্চই আপনার সব বন্ধুর মানসিক পরিপক্কতা এক পর্যায়ের না।বিয়ের পাত্র পাত্রী নির্বাচনের সময় আপনার অবশ্যই হিসাবে রাখতে হবে যেনো পাত্র পাত্রীর চিন্তা ভাবনা বা মন মানসিকতা যাতে এক ধরনের হয় তে হলেই তা সুখের হবে। শুধু বয়স এর পার্থক্য থাকলেই পরিবার সুখের হবে এই ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল এই তো গতো বছরের কথা এক জন বিয়ের দাওয়াত দিলো যেয়ে দেখি পাত্রের বয়স ৩২ আর পাত্রীর বয়স ১৯ আগ্রহ আটকে রাখতে না পেরে পাত্রকে জিজ্ঞাস করলাম ভাই বয়সের পার্থক্যটা একটু বেশি হয়ে গেলো না যা উত্তর দিলো তাতে আরো অবাক হয়ে গেলাম বললো ভাই ঠিকই আছে একটু বয়সের পার্থক্য না থাকলে মেরা কথা শুনতে চায় না উত্তর শুনে মনে মনে ভাবলাম এই পাত্রের বয়স যখন ১৯ বছর ছিলো তখন টিভিতে বিটিভি ছাড়া আর কোনো চেনেল ছিলো না যোগাযোগের মাধ্যম ছিলো চিঠি খুব বেশি হলে টি এন্ড টির টেলিফোন কম্পউটার বা মোবাইল ফোন তখনও সবার হাতে হাতে আসে নাই সন্ধার পর ঘরের বাইরে থাকার উপর ছিলো কারফিউ আর এই পাত্রীর যখন বর্তমানে ১৯ বছর তখন ঘরের টিভিতে কম হলেও ৮০ টি চেনেল ঘরে ঘরে রয়েছে কম্পউটার মোবাইল রয়েছে হাই স্পিড ইন্টারনেট স্কাইপ ভাইবার ফেইসবুক হচ্ছে যোগাযোগের মাধ্যম বিদেশী রাষ্ট্রের সংস্কৃতি প্রভাব এদের মাঝে বিদ্যমান আমার কাছে কোনো ভাবেই মনে হয় নি এই দুই প্রজন্মের পাত্র পাত্রীর মাঝে কোনো চিন্তা ভাবনা বা মন মানসিকতার মিল রয়েছে ঠিক তাই হলো ১ বছরের মাথায় তালাক হয়ে গেলো দু জনের। লক্ষ্য রাখবেন বেশি ভাবতে যেয়ে বিয়ের সঠিক বয়স যেন পার না হয়ে যায় বিয়ের পর সাথে সাথে বাচ্চা না নিয়ে চেষ্টা করুন ২বা ৩ বছর পর নিতে এতে করে নিজেদের মাঝে বন্ধুত্ব আরো ভালো হবে সম্পর্ক আরো গভীর হবে আবার অন্য দিকে লক্ষ্য রাখবেন মেদের ৩০ এর পর গর্ভধারণে রয়েছে নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুকি সে জন্যই সব বুঝে শুনে চিন্তা করে সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে চেষ্টা করুন।আমার কাছে বেক্তিগত ভাবে ৫ বছরের এর বেশি পার্থক্য হলে নিজেকে লুইচ্চা কেটাগরী মনে হয় আসলে আপনাদের সবার মতামত পেলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়াটা সহজ হতো কি মনে হয় আপনাদের বয়সের পার্থক্যটা আসলে কতো হওয়া উচিত ?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.