অসাধারণ বিএনপির মূর্খ নেতৃত্বের প্রশংসা করতেই হবে ।তাদের প্রচেষ্টা আজো অব্যাহত আছে।আমার মনে হয়না বাংলাদেশের মানুষ এত দ্রুত বিজেপির অমিত শাহ নাটক নিশ্চই ভুলে যায়নি।সেই আমেরিকার চারজন ক্ংগ্রসম্যানের সই জ্বাল করে যে বিবৃতিটি দেওয়া হয়েছিলো তাও কি বাংলাদেশের মানুষের স্বৃতি থেকে মুছে গেছে!বিএনপির নেতৃত্বের কি ধারণা তাদের একের পর এক অপপ্রচার ও অপকর্মের কাউন্টার দেওয়ার জন্য নাটক সাজিয়ে যাবে আর বাংলাদেশের মানুষ কোন যাচাই বাছাই না করে তাদের বিশ্বাস করবে?
watch stupid "mendi safadi's intervew .What a joke?
খালেদা জিয়ার মত নেত্রীরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য স্বয়ং ঈবলিশের স্বরণাপন্ন হইলেও এখন আর অবাক হওয়ার কিছু নেই।অমিত শাহ নিজেই যখন অস্বিকার করেছিলেন যে তার সাথে খালেদা জিয়ার কোন কথোপকথন হয়নি তখনও একই জপ জপতে ছিলেন ।বাংলাদেশের ইতিহাসে খালেদা জিয়াই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করেছিলেন।তার অর্থমন্ত্রীর কথা আর নাইবা বললাম।
আমেরিকার কংগ্রেসম্যানরাও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছিলেন তাদের সই জ্বালিয়াতি করে বিবৃতি দেওয়ার কারনে।সেই কারনে তিরস্কৃত হওয়ার পরেও বিএনপি নেতাদের কোন লজ্জা হয়নি ।তার ধারাবাহিকতায় দেখলাম জয়ের বিরুদ্ধে চক্রান্তের প্রক্রিয়ায় পারভেজ নামে এক বিশিষ্ট বিএনপি নেতার ছেলে আমেরিকার জেলে সাজা খাটছেন।আর বাংলাদেশে শফিক রহমান এখন একই কেসে গ্রফতার হয়ে বিচারের মুখোমুখি হোচ্ছেন।এত কিছুর পরেও যে রাষ্ট্রের সাথে আমাদের কোন সম্পর্কই নেই সেই রাষ্ট্রের একজন লিকুদ পার্টির নেতা মোসাদের আন্ডারকভার এজেন্টের সাথে বৈঠক করার কি এমন হেতু থাকতে পারে।যে রাষ্ট্রের সাথে আমাদের কুটনৈতিক কোন সম্পর্কই নেই।তার সাথে সাধারণ ব্যাবসায়িক মিটিংই বা কি করে হয়!এটাতো পুরোপুরি দেশোদ্রোহিতার পর্যায়ে পড়ে।বিএনপি ভালো করেই বুঝে গেছে তারা বার বার ভুল করে ভালো রকম গ্যারাকলেই পড়েছে।এখনতো আরো দৃরতার সাথে বলা যায় তারেক রহমানের সাথেও মেন্দি সাফাদির মিটিংটি আর কল্পকাহিনি নয়।একটু অনুসন্ধান করলে তারেকের মিটিং-এর প্রমাণও যোগার করা সম্ভব।বৃটেনে বাংলাদেশের এ্যম্বেসির মাধ্যমে বৃটিশ সরকারের শহযোগিতা নিয়ে এই রহস্য উন্মোচন করা খুব জরুরী।তা না হোলে অব্যাহতভাবে চক্রান্ত চলতেই থাকবে।বিএনপি বুঝে গেছে স্বাভাবিক প্রক্রিয়াই আর কখনই বাংলাদেশে তারা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাবেনা।
তাই এবার জাহিদ এফ সর্দার নামক বিএনপির আরেক ছাগলের দুর্বল চিত্রনাট্যের প্রযোজনা দেখলাম বিবিসি-র মাধ্যমে।মেন্দি সাফাদিকে দিয়ে খুব দুর্বল উপস্থাপনা দেখে পুরাই" থ"।মাত্র কয়েকদিন আগে ওয়াসিংটনের কোথাও জয়ের সাথে বৈঠক করেছে তা তার মনে নেই ।কোথায় সেই বৈঠক হয়েছে -আর উপলক্ষই বা কি ছিলো।মেন্দি সাফাদি জানতেননা জয় শেখ হাসিনার ছেলে ভ্রাবো বাচ্চা লোক তালিয়া বাজাও।মাদারির খেলা শুরু হয়ে গেছে ,যার আগা মাথা আবিস্কার করে ফেলছে বিএনপির বিষেষজ্ঞ।জয়ের নামটাই উচ্চারণ করতে পারেনা সাফাদি নামের জোকার।
শুধু জয় -নয় আমরা বাংলাদেশের ষোলকোটি মানুষ জানতে চাই জয়ের সাথে কোথায় কখন কি নিয়ে সাফাদির আলোচনা হয়েছে।আসলাম চৌধুরিকে যদি বৈঠক করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয় তাহোলে জয়'কে নয় কেনো?
জয়ে'র ফেসবুক থেকে কপি করে এখানে দিলাম-জয়ের সাথে সাথে আমরাও জানতে চাই-বিএনপি এমনই এক বোকার দল, এমনকি তারা যখন মিথ্যা বলে তখনও বোকামিপূর্ণ ভুল করে। আমি চাই বিএনপি এবং সাফাদি একটা প্রশ্নের জবাব দিক। ওয়াশিংটনের ঠিক কোথায় সে আমার সাক্ষাত পেয়েছে? কোন অনুষ্ঠানে? অন্য কার অফিসে?
প্রথম বোকামিপূর্ণ ভুল তারা করেছে কারণ, আমি গত ৩-৪ বছরে ওয়াশিংটনে কোন অনুষ্ঠান বা কারও অফিসে যাইনি। যে মিটিংগুলো আমার হয়েছে সেগুলো সবই সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে এবং একান্ত ব্যক্তিগত। তাহলে, কোথায় তার সাথে আমার সাক্ষাত হতে পারে?
আমার সাথে সাফাদির কোনোসময়ই সাক্ষাত হয়নি, এটা ওয়াশিংটনেও না বা অন্যকোনো জায়গায়ও না। সে মিথ্যা বলছে। সে যে বিএনপির জন্য মিথ্যা বলতে সম্মত হয়েছে সেটা দিয়ে এও প্রমাণ হচ্ছে, সে বিএনপির সাথে ষড়যন্ত্রে জড়িত। নাহলে আর কী কারণে সে বিএনপির হয়ে মিথ্যা বলবে?
এটাও খুবই লজ্জাজনক যে বিবিসি বাংলা আসলেই সেই ভুয়া ইন্টারভিউটি ঘটনার সত্যতা যাচাই ছাড়াই প্রচার করেছে। এ ঘটনা সংবাদের উৎস হিসেবে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
এরপরে আরো কত নাটক জানি আমাদের দেখতে হয়।বিএনপি প্রযোজিত ও পরিচালিত।