আমি মনেপ্রানে অন্তর থেকে চাই যুদ্ধাপরাধের ব্যাপারটি নিয়ে পাকিস্তান জাতিসংঘে যাক।তাহোলে আমরা সারা বিশ্বের সামনে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি ও তাদের দোষরদের কৃত অপরাধ তুলে ধরতে পারবো।আমাদের বিচারের যথার্থতা খুব ভালোভাবেই প্রমাণিত হবে।সাকা,মুজাহিদ,কাদের মোল্লা,গো.আজম,নিজামি,কামরুজ্জামান ও মীর কাসেম আলীরা সহ আরো অসংখ্য জামাত ও বিএনপির নেতারা যে তান্ডব চালিয়েছিলো ১৯৭১ সালে। সেই তুলনায় বর্তমানে তাদের সকল অপরাধ জানা থাকার পরও বাংলাদেশের আইনে তাদের সব রকম সুযোগ সুবিধা দিয়ে এক রকম অনুকম্পাই দেখানো হইতেছে।প্রকাশ্য আত্মস্বিকৃত খুনিদের'কে আমরা আসলে অনেক বেশিই সুযোগ দিয়ে ফেলছি।এই নরপিশাচদের যে অপরাধ তার জন্য রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা খরচ করে এই বিচারের কোন প্রয়োজনই ছিলোনা।আমরা একান্তই উদার মনোভাবাপন্ন বলে এই খুনিদেরকেও তাদের নিরপরাধের প্রমাণ দেওয়ার সুযোগ দিতেছি।যা আসলে কোন ক্রমেই তারা প্রমাণ করতে পারবেনা।
৭২-এর যে চুক্তিটির দোহাই পাকিস্তান দিচ্ছে তা কি তারা মেনেছে? সেই চুক্তির কোথাও কি উল্লেখ আছে কোলাবরেটরদের বিচার বাংলাদেশ করতে পারবেনা!১৯৫ জন্য পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার বিচার পাকিস্তান তাদের দেশে করবে সেই কথাটি যে চুক্তিতে লিপিবদ্ধ আছে তা কি একবারো উল্লেখ করে? করেনা কারন তারা জানে সেই চুক্তির একটি বর্নও তারা পালন করে নাই।শুধু তাই নয় তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলো বাংলাদেশে আটকে পড়া বিহারিদের তারা ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।সেটা নিয়ে তারা এখন আর একটি শব্দও উচ্চারণ করেনা।শুধু বঙ্গবন্ধু উচ্চারিত একটি কথা বার বার উচ্চারণ করে সাফাই গাইতে থাকে।তাদের কাছে আমাদের প্রাপ্য যে সম্পদ সে বিষয়ে কোন কথা কি তারা ভুল করেও একবার বলে ? খন্ডিত বিকৃত তথ্য উপাত্ত উপস্থিত করতে পাকিস্তানের কোন জুড়ি নেই।পৃথিবীতে এই জংলিরা তাদের দেশ'কে জাহান্নামে পরিনত করেছে।সেই জাহান্নাম সম্প্রসারন করার লক্ষেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আজো চক্রান্তে লিপ্ত।
সর্বশেষ -বর্তমান সরকারকে আন-স্ট্যাবল করার জন্য /ইসরাইলের মোসাদ /পাকিস্তানের আইএসআই/ও বিএনপি/জামাত সমান্তরাল পথে মিলিত হয়েছে।তার বাস্তবতা আমাদের চোখের সামনেই দেখতা পাচ্ছি।পাকিস্তান/বিএনপি/জামাত ও মোসাদের স্বার্থ এক যায়গায় চলে এসেছে।এই হলো বাংলাদেশের তথাকথিত সর্ব বৃহৎ ইসলামি দলের ঝান্ডাধারিদের কাজকর্ম।
এখন প্রকৃতপক্ষেই গো.আজম পুত্রের সেই কথাটি মনে পড়ছে।বিএনপি নিজের শক্তিতে জিবনেও রাষ্ট্র ক্ষমতায় যায়নি ভবিষ্যতেও যেতে পারবেনা।তাই তাদের সহযোগিতা প্রয়োজন জামাত/শিবিরের পাশাপাশি মোসাদ,আইএসআই,ও জঙ্গী, আইএস সহ সকল অপ-শক্তির।বিএনপি আসলে পরগাছার উপরেই নির্ভরশীল একটি বারোমিশালী দল।ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যেমন যে কোন অনৈতিক কাজ করতে প্রস্তুত বিএনপি।ঠিক তেমনি জামাত /শিবিরের ও অন্যান্য দলের যুদ্ধাপরাধীরা আরো বেশি মরিয়া ।তারা প্রয়োজন হোলে খালেদা জিয়াকে হত্যা করে হোলেও দেশকে অস্থিতিশীল করতে প্রস্তুত।
এখন সরকারের উচিত সকল কিছুর রহস্য উন্মোচন করে চিরতরে এদের রাজনিতীর কবর রচনা করা।প্রত্যেক অপরাধীর সাস্তি নিশ্চিত করে দেশের আইন শৃংখলা ফিরিয়ে আনা।সাধারন মানুষের কল্যাণে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।যুদ্ধাপরাধীদের পরিবারের সদস্যদের রাজনিতী চিরতরে বন্ধ করা ও পাকিস্তানের সাথে সকল অমিমাংসিত বিষয়ের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া।এদের'কে আর কোন ছাড় দেওয়া ঠিক হবেনা।৪৫ বছরের দেনা-পাওনা মিটিয়ে নেওয়ার সময় এখনই।
ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:৩৬