এইখানে যা লিখা আছে তার সবই কখনো না কখনো আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস ছিল।
গত কয়েকদিন ধইরে ফেসবুকে ঢুকলেই খালি আর ইউ পোম গানা আর ইউ পোম গানা। অনন্ত জলিলের উচ্চারন গত সমস্যা নিয়া ফালাফালি। তা লোকটার উচ্চারণ সমস্যা আছে অবশ্য। এর আগে স্টপ কে সে ইশটপ ইশটপ বলত এটা নিয়াও বহুত কেচ্ছা কাহিনি ঘটছে। লোকটা টাকা পয়সা আর পরিশ্রম দিয়া বাংলা সিনেমা পরিবর্তন করতে চাচ্ছে এটাকে সাধুবাদ জানানো যায়। ছোটখাট সমস্যা থাকবেই। সমস্যা প্রকটও হইতে পারত। সে ঘানা কে গানা বলেছে। ঘ এর জায়গায় গ চলে আসছে। সে আফ্রিকার আরেক দেশ সুদানের নাম নেয়নায়। সেইখানে স এর জায়গায় চ বলে ফেললে কেলেংকারী হইত। তত কেলেংকারীতে যায়নায়। শুনেছি এই লোক বিরাট বড়লোক। হেলিকপ্টার দিয়া বিয়া করতে যায়। সেটাও ভাল। নাইলে রিকশা , সিএনজি ভাড়া নিয়ে সমস্যা হইত। এই সিএনজি ভাড়া কত? -এই জায়গায় সে হয়ত 'ভ' বলতে পারতনা। 'ভ' এর জায়গায় 'ব' বলত। সিএনজি ওয়ালা ভুল বুঝত। সিএনজি মামার ওই জিনিসের মাপ অনন্তের কি দরকার এটা নিয়া ভুল বুঝাবুঝি হত। বিরাট কেলেংকারী। ভাল কথা জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফিআনানকে তিনি এটা বলতে পারতেন। হেই কপিআনান, আর ইউ পোম গানা? পজিটিভ উত্তর পাওয়া যেত।
বাংলা সিনেমায় বিভিন্ন কিংবদন্তী চরিত্রদের নিয়ে গত কয়েকদিন টিভিতে বেশ খেয়াল করলাম। খেয়াল গুলা আগেও করেছি ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছি কিন্তু ব্লগে লিখা হয়নি। প্রথমেই আসি ডলি জহুর। এই নামকরা অভিনেত্রীর একটা ট্র্যাজিক ব্যাপার আছে। ইনি অভিনয় জীবনের বেশ বড় একটা অংশ বিয়ার প্রপোজালে অপমানিত হয়ে ফিরে যাওয়ার রোল করেছেন। বাংলা সিনেমার কমন ফরমুলা নায়ক গরীব নায়িকা বড়লোক। এবং ডলি জহুরকে সব সময় গরীব নায়ক মাঝে মাঝে নায়িকার মায়ের রোল করতে হয়। তিনি বিয়ার প্রপোজাল নিয়া যান হুমায়ুন ফরিদী বা আহমেদ শরীফের কাছে। চৌধুরী সাহেব যখন জিজ্ঞেস করেন আপনার ছেলে কি করেন, তিনি হাসি মুখে বলবেন আমার ছেলে কুলি। তারপর আর কি। আগুন। ডলি জহুর বলবেন, ভালবাসা টাকা পয়সার থেকে অনেক বড়। এই ফর্মুলা থেকে এখনও অনেকেই বের হয়নি।
ডলি জহুরের কাউন্টার পার্ট হচ্ছে আরেক কিংবদন্তী আনোয়ার হোসেন। এই সু-অভিনেতার সব থেকে ট্র্যাজিক ব্যাপার হল হার্ট এটাক খাওয়া। কথা নাই বার্তা নাই হার্ট এটাক। বড়লোক নায়িকার বাপ কিছু বলসে হার্ট এটাক। তার বোনের কিছু হইছে হার্ট এটাক। এমনকি কিছু হয়নায় তাও হার্ট এটাক। কোনো এক সিনেমায় দেখেছিলাম কথা বলার আগেই হার্ট এটাক। কোন এক সিনেমায় দেখেছিলাম সিনেমার শুরুতেই হার্ট এটাক।
মিশা সওদাগর বেশ নাম করা ভিলেন। শাকিব খানেরই কোন এক সিনেমায় তিনি তার টিম নিয়ে শাকিব খানের উপর ঝাপিয়ে পড়েছেন। সিনেমার নাম জানিনা তবে শাকিব খান কয়েদীর পোষাক পড়া। মারামারির শেষের ধাপে শাকিব খান চাল্লিদের মারাতে ব্যস্ত , মিশা সওদাগর পালাবেন। তিনি পালানোর সময় একটি বন্দুক পেলেন। শাকিব খান নিরস্ত্র। মিশা সওদাগর পিস্তল নিয়ে পালিয়ে গেলেন। আরি বাবা পালাইতেছই যখন পিস্তল নিয়া পালাইতেছ ক্যান। পিস্তল যখন পাইছই গুলি মার!!
ইদানিং বড় বিষন্নতায় আছি। এই বিষন্নতারও কারন খুঁজে পাইতেছিনা। একটা চক্রে পইড়া গেছি। হুদাই মন খারাপ থাকে => ফেসবুকে যাই => আবার হুদাই মন খারাপ হয় =>ফেসবুকে থেকে বের হই (ইহা একটা সাইকেল)।
লেখা শেষ করার আগে ফেসবুক স্ট্যাটাসটা এইখানেও দিয়া যাই-
//কবি বলেছেন, তাকে বিশ্বাস কোরোনা যার খালি একটাই প্রোফাইল পিকচার আছে।//
কবির এই কথায় ৫০০ লাইক পড়ছে কাজেই কথাটার ভ্যালু আছে