আমাদের প্রতিদিনের চলার পথে কত কিছুই না দেখি..... এমনই একদিন বাসাই ফিরছি .... বাসে দখি একটি ফুটফুটে ছোট ছেলে ... কতোই বা বয়স তার ২.৫ কি ৩ .. অবাক হয়ে দেখছে তার চারপাশ। কয়েক বার চোখ পরতেই লক্ষ করলাম ছেলেটি আমাকে খুব মন দিয়ে খেয়াল করছে ..... কিন্তু চোখ পরতেই তার চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছে .... কিছুক্ষন খেয়াল করে তাকে ডেকে কোলের কাছে নিলাম ..... ভাবলাম ও বুঝি ইত্সতত বোধ করবে ..... কিন্তু অবাক হয়ে খেয়াল করলাম না সে যেন এই অপেক্ষাতেই ছিল । কোলে বসে সে আমার চোখের দিকে তকিয়ে রইল ........... যেন কত যুগের মমতার কাঙাল সে ............. তার কাল কাল রেশমি চুলে হাত বুলাতে বুলাতে জিঞ্জাস করলাম
:: কি নাম তোমার?
:: শুভ্র।
:: স্কুলে যাও ..?
:: নাহ আমিতো বাসাতেই পড়ি ...........
নির্লিপ্ত উত্তর তার। তার চোখের দিকে তাকাতেই মনে হল যেন ''একেইবলে শুভ্রতা ........ কতোকাল যেন খুজে বেরালেও সে আর ধরা দিবে না । আর তার কথার যে মিষ্টতার খোজ আমি আজ পেয়েছি তা যেন এ ধরায় আর কোথাও পাওয়া যাবে না।
ঠিক তখনি আমার ঘোর ভাংলো একটি কথাই........ "ওর মা নেই ।"
প্রথমে যেন নিজ কান কে বিশ্বাস কোরতে পারছিলাম না । কিন্তু দেখি শুভ্র যার সাথে যাচ্ছে সেই ভদ্র মহিলা আমার উদ্দেশে কথাটি বলেছে। পরে জানতে পারলাম শুভ্র টার চাচির কাছে থাকে তিনিও অসুস্ত তার অপরেশন সে দিন তাই শুভ্র কে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চাচির সাথে দেখা করাতে। ওর মা মারা গেছে ও জন্মের পরই । মায়ের আদর কামন হয় তা জানেনা তা এই অবুঝ শিশুটি । তাই হয়তো বা সবার মাঝে খুজে নিতে চায় তার মাকে। সবার কাছে বিলিয়ে দিতে চায় নিজের সুখ টুকু...........। কথায় কথায় হাসপাতাল চলে এল । শুভ্র চলে গেল টার চাচির সাথে দেখা কোরতে.... যাবার বেলায় শুধু বলে গেল ......... টা টা
আর রেখে গেল তার অমুল্য হাসি টুকু।
আমি কেবল তার চলে যওয়াটা তাকিয়ে তাকিয়ে দাখলাম .......... আর ভাবলাম আর কত দিন এভাবে কত মা ঝরে যাবে শুভ্রদের শুভ্র হাসিটি দেখার আগেই ............. আর কতদিন শুভ্ররা তাদের নিস্পলক আখির পবিত্র দৃষ্টি দিয়ে খুজে বেরাবে তার চির স্নহময়ী মমতাময়ী মাকে.....??
তার উত্তর আমার জানা নেই।