পার্সোনাল লুলুমি ছাড়া এরশাদ সাহেবের আর কি দোষ ছিলো, যা হাসিনা-খালেদার নাই?
এরশাদকে আমরা শৈরাচারী স্বাসক বলি...ঘটা করে শৈরাচার পতনদিবস পালন করি (যদিও আজকাল পত্রিকার এডিটররা প্রথমপাতায় শৈরাচার পতনদিবশের সংবাদটা লিড করতে সাহস পান না।)
৯১ এর সেই শৈরশাসকের পতনের পরে খালেদা আইলো , হের অত্নাচারে পাবলিক দিশেহারা হইয়া হাসেনারে গদিতে বসাইলো....এর পরে আবার খালেদারে.....আবার হাসিনারে....বিষয়ডা এমন যে সারা শরীরে ব্যাথা, চিত কাইত কিছুতেই কোনো কাজ হয় না....যেদিকেই পাবলিক ঘুরে ব্যাথা আছেই....এখন ব্যাথায় জাম্বাক দিয়া মালিশ করতে করতে শরীরের চামরা পুইরা গেসে....একমাত্র পুংগে জাম্বাক লাগানো বাকি আছে (অস্লিল শব্দটা লিখতে হলো বলে মাফ চাইছি...তবে এটা দিয়ে আমি জামাতইসলাম কে বুঝানের চেস্টা করসি) কিন্তু ঐখানে জাম্বাক লাগাইলে অবস্হাটা কি হইবো আমরা সহজেই অনুমান করতে পারি। সুতরাং ঐটা চিন্তা না কইরা আসলে বাস্তব চিন্তা করতে হইবো। দেশের আর্থসামাজিক অবস্হার এখন এমনই করুন অবস্হা যে স্বয়ং অর্থমন্ত্রীও ভয় পাইসে।
একটা টিম কখন ভালো খেলে? যখন টিমের সবাই একটা হারমনিতে খাকে, তাদের মাঝে কমিটমেন্ট থাকে, থাকে সেক্রিফাইস। এছাড়াও থাকে এক্সট্রা প্লেয়ার যারা রিপ্লেইসমেন্ট হিসাবে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে প্রস্তুত থাকে। আামদের সরকারের এই টিমে সেই টিমওয়ার্ক কোথায়? একটা মন্ত্রনালয়ের সাথে অন্য মন্ত্রনালয়ের যেই গ্যাপ.....ওদের কথাতেও বুঝা যায়.... বল পাস দিলে সেইটা সাইডলাইনের বাইরে চইলা যায়....এ বলে ওর দোষ আর ও বলে এর দোষ.....এইভাবেই চলতাসে.....আমজনতা সব চুদিরভাই.....হেরা মরলে জাতীয়দলের প্লেয়ারদের কোনো আসে যায় না.....হেরা তামিমের মতোই দুইনৌকায় পা দিয়া দুইদলের সাপোর্ঈ করতে পারে। আমরা আবালের দল চায়ের কাঁপে ঝড় তুললেও রাস্তায় কেউ নামি না। আর নামবো কিভাবে? পুলিশমামারা আছেনা? হেরা রাইতে বউয়ের পন্দানী খইয়া দিনে আমগোর পোংগা মারনের জন্য ঢান্ডা খারা কইরা বইসা থাকে।
আওমিলীগ আর বিএনপি আমলের কোনো কম্পেয়ার করতে চাই না... সব শালাই এক। তয় বর্তমান সরকারের টিমওয়ার্কের কারনে বেশ সংকিত আছি......শালাদের প্লেয়ারের এতোই দুর্বাস্হা যে ইন্জুর্ড প্লেয়ারকে সাইড লাইনে না বসাইয়া উইং পরিবর্তন কইরা খেলানোর চেস্টা করা হইতাসে। এক আবুলরে যোগাযোগ থিকা টেলিবিভাগে দেওয়া হইতাসে (ভাবখানা এমন যে.....টেলি বিভাগ তেমন কোনো গুরুত্বপুর্ন বিষয় না.....বেচারা দৌড়দিয়া ফার্স হইসে.....আর কিছু না হইলেও খেলায় নিতেই হইবো.....দুধভাত হিসাবে হইলেও রাখতে হইবো) আর আরেক আবুল ডলারের দাম বাড়াইতে বাড়াইতে বেহেস্তে যাওনের সিড়ি বানায় ফেলার ব্যবস্হা করতাসে। পাবলিক এখন শেয়ার বাজার থিকা সেয়ার কেনার চাইতে ডলার কেনায় মনোযোগ দিতাসে। এই আবাল প্লেয়ারদের বাদ দিয়া নতুন প্লেয়ার বসানোর জন্য পাইপলাইনে কেউ নাই.....এমতাবস্হায় হাসিনা আফার মুখ খানা আজকাল খুবই ম্লান দেখায়।
আপনারা হয়তো ব্লগের শীরনামের সাথে বিষয়বস্তু মিল খুজে না পেয়ে হতাস হইসেন। এখন আশি শীরনামে। আপনি নিজের বিবেক কে প্রশ্ন করুন......এরশাদ আমাদের আসলে কতটুকু পোংমেরেছিলো? সেই ব্যাথা কি আপনি এখনো অনুভব করেন। যদি না করে থাকেন.....সময় এসেছে উনার হাতকে শক্ত করার....এখনো ২ বছর আছে.....দেখিনা একটু চেস্টা করে......উনি ক্ষমতায় আসলে রাতারাতি সব কিছু বদলে যাবে না ঠিক.....কিন্তু বর্তমানের চাইতে খারাপ হওয়ার চান্স নাই। উনার মাঝে আর যাই হোক দেশের জন্য কিছুকরার তাগিদ ছিলো.....এটা সবাই স্বীকার করে এবং করবে.....আমারা বাংলাদেশের যেটুকু উন্নয়ন দেখেছি.....এরশদের আমলেই সেটা দেখেছি......উনাকে আবার দেখতে চাই......শেষ বারের মতো.......এবার ব্যার্থ হলে জাম্বাক মাখার জায়গা একটাই বাকি থাকে.....সেটা কি .....আগেই বলা হয়েছে