somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আর কত খুন হত্যা ?

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একের পর লাশের মিছিলে যুক্ত হচ্ছে শিক্ষক,শিক্ষার্থী, প্রকাশক, লেখক, ব্লগার, যাজক, ইমাম মুয়াজ্জিন বিদেশী নাগরিক, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীসহ মুক্তমনা মানুষ । প্রতি দিন ই দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল । হত্যার উল্লাসে মেতে উঠছে দুস্কৃতিকারী নামধারীরা । নানা ভাবে নানা শ্রেনীর মানুষ আজ এই হত্যার শিকার । মাত্র অল্প কয়েক দিনে আমাদের দেশে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে । এ ধরনের হত্যাকান্ডের পর স্বাভাবিক ভাবেই আমরা দেশের সাধারন মানুষ নানা ভাবে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠি যদিও এই প্রতিবাদ খুবই অল্প সময়ে ই আবার ঝিমিয়ে যায় । ঝিমিয়ে যাওয়া প্রদিবাদের সুযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ঝিমিয়ে যাচ্ছে । এই ঝিমানোর সুযোগে তথা কথিত দুস্কৃতিকারীরা তথা অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা নতুন করে জ্ঞাতসারেই কাউকে হত্যা করে নতুন চাঞ্চল্যের জন্ম দিচ্ছে ।এ সব ঘটনা নিয়ে নানা জনের নানা মত । প্রতিটি ঘটনার পর ই আমাদের রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা এগুলিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে আখ্যায়িত করলে ও প্রশ্ন থেকে যায় সত্যিকারে ই কি খুন হত্যার মত জঘন্য ঘটনা গুলি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ? গত ২৫ এপ্রিল গাজীপুরের কাশিমপুর কারা ফটকের সামনে দুস্কৃতিকারীদের গুলিতে খুন হন কারা সার্জেন্ট ইনস্ট্রাক্টর রুস্তম আলী হাওলাদার এর ই কিছুকক্ষন পরের সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে রাজধানীর কলাবাগানে জোড়া খুনের খবর । রাজধানীর কলাবাগানে দূবৃত্তের চাপাতি ও বুলেটের আঘাতে খুন হন সাবেক মার্কিন দূতাবাস কর্মকর্তা ও সমকামীদের অধিকার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক বাংলা দেশে সমকামী ও তৃতীয় লিংগের অধিকার-বিষয়ক একমাত্র ম্যগাজিন " রূপবান " এর সম্পাদক জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মঞ্চনাটকের কর্মী মাহবুব তনয় । একের পর এক ঘটে যাওয়া এ ধরনের ঘটনা কে কি বলে আখ্যায়িত করা যায় তা হয়তো আমার বোধগম্য নয় তবে সরকার ও তার প্রশাসন বরাবে ই দাবি করে আসছে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ! দেশে একের পর এক সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ঘটনা ওই দাবিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। চাঞ্চল্যকর হত্যার অধিকাংশ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে এক ধরনের ব্যর্থতার পরিচয় দিতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহীনিকে । বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া মামলার ভিত্তিতে পুলিশ সদর দপ্তরের তৈরি করা হিসাব অনুযায়ীগত সাড়ে তিন মাসে দেড় হাজারের বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে দেশে। মাস ভিত্তিক হিসেবে জানুয়ারি ২০১৬ তে সাড়া দেশে খুন হয়েছে ২৬৭ জন ফেব্রুয়ারি মাসে ২৯১ জন মার্চ মাসে খুন হয়েছে ৩০৭ জন আর এপ্রিলের প্রথম বিশ দিনে ই খুন হতে হয়েছে প্রায় ৩০০ জনকে । গত বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে খুনের ঘটনা ঘটে প্রায় চার হাজার ২৫টি । মানুষের জীবন যেমন কোন কিছুর বিনিময়েই ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় তেমনি হত্যা হত্যাই এটাকে সংখ্যায় নির্নয় করা কোন ভাবে ই সভ্যসমাজের কাজ নয় । প্রতিটি হত্যাই সমান ঘৃনিত অপরাধ । একটি হত্যার বিচার না হলে বা অপরাধীদের আইনের আওতায় না আনা হলে অন্য একটি ঘটনা ঘটাতে উৎসাহ বোধ করে অপরাধীরা । তাই কোন হত্যাকান্ড ই বিচ্ছিন্ন ঘটনা হতে পারে না একটি হত্যার ঘটনা যেহেতু আরো একটি হত্যাকান্ড সংগঠিত হওয়ার জন্য প্রেরনা যোগায় তাই এতেই আমরা ধরে নিব একটি ঘটনার সাথে আরেকটি সম্পৃক্ততা অবশ্যই আছে । ২৫ এপ্রিলের কোন একসভায় অবশ্য আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বীকার করে নিয়েছেন যে এসব হত্যাকান্ডের কোনটি ই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় ।আমাদের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় যদি ও এ সব ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বলেই চালিয়ে যাচ্ছেন । এ সব হত্যাকান্ড বিচ্ছিন্ন হউক আর অবিচ্ছিন্ন হউক তা নিয়ে আমারা সাধারন মানুষ কখোনই তর্কে যাবো না বা যাওয়ার ও প্রয়োজন মনে করি না । এ ধরনের একের পর এক খুন হত্যা আমাদের সাধারন মানুষের মনের ভিতর যে ভয়ের সৃষ্টি করেছে এটা ই বাস্তব । এ ধরনের একের পর এক ঘটে যা হত্যার ঘটনায় আজ আমরা সাধারন মানুষ কেউ ই নিজেকে ঘরে অথবা বাহিরে কোথাও নিরাপদ ভাবতে পারছি না । চাপাতি আর বুলেটের ভয় যেন আজ সমগ্র জাতিকে তাড়া করে ফিরছে ।প্রতিটি মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেয়া সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব । সরকার ও প্রশাসনের উচিত হবে এধরনের অপরাধ কমাতে হলে সঠিক তদন্তের মাদ্যমে অভিযুক্তকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো । শাস্তি না হলে অপরাধীরা নতুন অপরাধের জন্য উৎসাহ পায় । এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাক এটা সুস্হ্য জাতি হিসেবে আমাদের কারো ই কাম্য নয় ।সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দ্রুততম সময়ে নিশ্চিত করতে পারলেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটিয়ে আমাদের সাধারন মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব ।



সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১১
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মত প্রকাশ মানে সহমত।

লিখেছেন অনুপম বলছি, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৭

আওয়ামী লীগ আমলে সমাজের একটা অংশের অভিযোগ ছিলো, তাদের নাকি মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই। যদিও, এই কথাটাও তারা প্রকাশ্যে বলতে পারতেন, লিখে অথবা টকশো তে।

এখন রা জা কারের আমলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্নমর্যাদা!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩

রেহমান সোবহান একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৬ কিলোমিটার। রেহমান সাহেব এমন একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন যা খুব নির্জন এলাকায় অবস্থিত এবং সেখানে যাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁঠালের আমসত্ত্ব

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

কাঁঠালের কি আমসত্ত্ব হয় ? হয় ভাই এ দেশে সবই হয়। কুটিল বুদ্ধি , বাগ্মিতা আর কিছু জারি জুরি জানলে আপনি সহজেই কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানাতে পারবেন।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানানের জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। অ্যাকসিডেন্ট আরও বাড়বে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



এরকম সুন্দরী বালিকাকে ট্র্যাফিক দায়িত্বে দিলে চালকদের মাথা ঘুরে আরেক গাড়ির সাথে লাগিয়ে দিয়ে পুরো রাস্তাই বন্দ হয়ে যাবে ।
...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×