প্রথম আলো + ডেইলি স্টার ভার্সাস কালের কন্ঠ + বাংলানিউজ + ডেইলি সান + বাংলাদেশ প্রতিদিন
ট্রান্সকম ভার্সাস বসুন্ধরা
নিশ্চিত থাকুন যে এই শত্রূতা আদর্শের নয়, প্রো-ইসলাম আর অ্যান্টি-ইসলামেরও নয়। ভালো আর খারাপের তো নয়ই।
হতে পারে এই শত্রূতা নেহায়েতই বাণিজ্যিক; দালালিতে কে কতটা এগোবে সেই বিষয়ে। হতে পারে এটা রাজনৈতিক। ব্যাক্তিগত শত্রূতাও হতে পারে। তবে এটা নিশ্চিত যে সৎ কোন উদ্দেশ্যকে ঘিরে এই বৈরিতা নয়।
যদি তা না-ই হয়ে থাকে, তবে এই শত্রূতাও দীর্ঘস্থায়ী বা চিরস্থায়ী নয়। বসুন্ধরা আর যমুনার সাপে নেউলে সম্পর্ক আমাদের সবার মনে আছে। আর এখন? যমুনা-বসুন্ধরা নামে জয়েন্ট ভেনচার খুলে ব্যবসা চলছে।
তেমনি এই বসুন্ধরা আর প্রথম আলোর সম্পর্কও একদিন ঠিক হবে, ঠিক যেমন হয়েছে বসুন্ধরার সাথে ভুমি মন্ত্রী মান্নানের। সম্পর্ক যখন ঠিক হয়ে যাবে তখন কেউ কারও পাপাচার নিয়ে কিছু বলবে না।
সজাগ থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। কারণ স্বার্থটা সাধারণ মানুষের, পত্রিকাগুলোর নয়।
ভোরের কাগজ থেকে সাবের হোসেন চৌধুরী আর আবেদবিরোধী একদল সাংবাদিককে ভাঙ্গিয়ে নিয়ে ট্রান্সকম 'প্রথম আলো' শুরু করেছিল। আর পরে আবার প্রথম আলো থেকে একদল মতিউর-আনিসুল-বিরোধী সাংবাদিককে ভাঙ্গিয়ে নিয়ে বসুন্ধরা 'কালের কন্ঠ', 'বাংলাদেশ' প্রতিদিন বানালো।
অতএব এই সাংবাদিক নামের কলংক, প্রগতিশীল নামের ভন্ড আর জাতির বিবেক নামের চোর-বাটপারগুলো নিজেদের মধ্যে মারপিট করতে থাকুক। আমাদের কাজ হচ্ছে শুধু আসল খবরটুকু বের করে আনা।
হ্যাঁ, এদের কাউকে কোথাও থেকে ভাঙ্গিয়ে নতুন পত্রিকা আমরা বানাতে পারব না। কিন্তু তাদের মিথ্যাচারগুলোর ব্যাপারে তো সচেতন হতে ও অন্যকে করতে পারি?
অতএব ভাইরাস প্রথম আলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এবং অন্যান্য ছোটখাটো ভাইরাসের ব্যাপারে সতর্ক হোন। আপনার একটু অ্যাক্টিভিটি হবে এসবের জন্য অ্যান্টিভাইরাস।
মনে রাখবেন, পারসোনার ঐ ক্রেতা, ভিকারুননিসার ঐ ছাত্রী, জাহাঙ্গীরনগরের ঐ ছাত্র, এরা কিন্তু কেউ অসাধারণ লোক ছিল না। আমাদের মতই সাধারণ লোক, সাধারণ কিছু পরিবারের সন্তান। ওরা যদি দুর্বল হওয়ার কারণে প্রথম আলোর শিকার হতে পারে, আমাদের মধ্য থেকেও যে কেউ হতে পারি। তাই এদের মুখোশ আগেভাগেই খুলে দিন।