ভাইয়ের রক্তে লিখছি নাম অবধি এই ঠোঁটে,
বেকসুর মাতাল খেলা করে অ আ ক খ চন্দ্রবিন্দুতে ।
নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে কবিতার ঘরে আজ উন্মুক্ত আকাশ,
সুপেয় রক্তে পিশাচের ধ্বংসলীলায় হয়েছে একটি পাখি চির আজাদ ।
সেই ভাইয়েরা ছিলো এসবের দুর্ধর্ষ কারিগর,
ঘটে নি তো পৃথিবীতে তা আরো কয়েকবার-
জীবনের বিনিময়ে স্বাধীন অক্ষর, শব্দের বাহার !
কাঁদো ভাইদের জন্য,
তাঁরা দিয়েছে আমাদের হৃদয়ের অন্ন ।
যখন গভীর হয় রাত, কথা বলো তারাদের সাথ;
ঠোঁটে বাংলার আলিঙ্গন শুনে তারাগুলো হাসবে,
বলে উঠবে ওরা, এই তো আমাদের সত্য ভাই,
যাদের বুলিতে আমাদের সার্থক ইতিহাস চাই।
ভাইয়েরা আফসোস করে আমাদের ভুলে,
অহেতুক নোংরা বুলি যখন বের হয় ঠোঁটে ।
তাঁদের উৎসাহ ছিলো নিষ্পাপ হৃদয়ের নম্র ভাষা্
কিন্তু চলছে আজ যত্রতত্র কন্টকের সাথে মেলামেশা ।
শোন বাঙালি, এ নয় তো তাঁদের রক্তের ভাষা,
নয় তাঁদের হারানো সেই বুকের দুঃসাহসী আশা।
ঋণের পাত্রে পুঁজ রেখে আজ হচ্ছি আমরা ঋণী,
তাঁরা চায় নি সমাধিতে আসুক কোন ফুল দেবী,
বরং চেয়েছে সবার ঠোঁটে ফুটুক ন্যায়ের পবিত্র বুলি।
ওরা কাঁদে, ওদের ত্যাগের নিঃস্ব বিনিময় পেয়ে,
ওরা তো হাসতে পারে না তাঁদের রক্তের অবহেলাতে !
তাই আজ ফুটুক সবার ঠোঁটে-
কন্টকহীন একটি স্নিগ্ধ অমর গোলাপ ।
তবে ওরা কাঁদবে,
আমাদের বিনিময় পেয়ে- অতি সুখে, অতি গর্বে ।
[ সবাইকে মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অগ্রিম শুভেচ্ছা এবং সেই সকল ত্যাগী আত্মার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও মাগফেরাত কামনা। ]
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২