শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক সংগঠন টি রাজনৈতিক দল গঠন করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছেই। ৫ ই আগস্টের পর ছাত্রদের এই দলটি তিন ভাগে ভাগ হয়ে যায়। সমন্বয়ক দের মধ্যে তিনজন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যোগ দেয়, একদল বৈষম্য বিরোধী ব্যানারে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং অন্য একটি পক্ষ নাগরিক কমিটি ব্যানারে আত্নপ্রকাশ করেছে।
এই বিষয়ে সমন্বয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন ছাত্রদের রাজনীতি তে আসার বা রাজনৈতিক দল গঠনের ইচ্ছা নাই। বাংলাদেশের মানুষের অনেক আশা আকাঙ্খা রয়েছে ছাত্ররা একটি দল গঠনের চেষ্টা করবে এবং দেশকে নতুন ধরণের রাজনীতি উপহার দিবেন। দেশের প্রয়োজনে ছাত্ররা রাজনৈতিক দল চাইলে গঠন করতে পারে তবে অবশ্যই তা বৈষম্য বিরোধী ব্যানারে হবে না।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠন টি জেলায় জেলায় কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। তার অংশ হিসাবে কুষ্টিয়ার কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিলেটে বৈষম্য বিরোধী হকার পরিষদ গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে সকল জেলায় কমিটি গঠন সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।
নাগরিক কমিটি ব্যানারে আত্নপ্রকাশ করা গ্রুপ টি জেলায় জেলায় কমিটি গঠন করছে। ভবিষ্যতে এই কমিটি রাজনৈতিক দল হিসাবে আত্ন প্রকাশ করতে পারে এমন কথা চাউর রয়েছে।
সমন্বয়ক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন মূলত ফ্যাসিবাদী শক্তি এবং মুজিববাদী চেতনা যাতে পুনরায় দেশে ফেরত না আসে এইজন্য কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ভুয়া সমন্বয়ক যাতে তৈরি না হয় সে জন্য তারা কমিটি গঠন করে সদস্য সংখ্যা নির্ধারন করে দিচ্ছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২০