আমার জানালা থেকে ঠিক ভালোভাবে চাঁদটা দেখা যায় না। তাও অনেকটা কল্পনাপ্রসূত ভাবে আকাশে চাঁদ আঁকিয়ে নেয়াটা ইদানিং বদঅভ্যাসে পরিণত হয়েছে। চাঁদ কোনোকালেই আহামরি পছন্দের ছিলো না। এর পিছনের কারনটা সচরাচর কাউকে বলিনা আমি। কোনো একদিন থেকে অকস্মাৎ মনে একটা অন্ধবিশ্বাস জন্ম নেয় ; চাঁদ বিরহের উৎস! কথাটা একদমই ভ্রান্ত। ভুলেও বা জোর করেও বিশ্বাস করতে যাবেন না।
মিথোলজিতে বিশ্বাস বা পড়াশুনা আছে? টুকিটাকি? ঘাটাঘাটি? তাহলে 'লোনার' বা 'লোনা' শব্দটা দু-একবার শুনার কথা! ওল্ভারিন বা ওয়্যারউল্ফ এর থিওরির সাথে এই লোনা বা চাঁদ এর একটা বিশাল মিথ জড়িত।
মারভেল এর ফ্যান। তাই আগে ওল্ভারিন নিয়েই বলবো। কমিক অনুযায়ী, ওল্ভারিন বিশ্বাস করে যে, গড তার ভালোবাসা কে কেড়ে নিয়ে আকাশের চাঁদ বানিয়ে দেয়। সেই থেকে প্রত্যেক ফুলমুনে ওল্ভারিন / উল্ফরা চাঁদ এর মুখ করে আর্তনাদ করে। কারণ সে জানে যে ঐ চন্দ্রাবতীর দেখা সে আর কখনোই পাবেনা। এই পুরো থিওরির উপর আমার একটু দূর্বলতার আছে। এবং থেকেই এক বন্ধুর কাছে এই পুরো থিমটার ওয়েল-পেইন্টিং চেয়ে বসি। এখন আপাতত সেটা আমার দেয়ালে ঝুলছে।
ওয়্যারউল্ফ এর থিওরি টা আসে আরেকটা মিথ থেকে । সেখানে বলা হয় যে, ওয়্যারউল্ফ বা ওল্ভারিন এবং চাঁদ একসাথে একটা স্পিরিট ওয়ার্ল্ডে বসবাস করতো। তবে কোনো একটা অশুভ আত্মা তাদেরকে আলাদা করার ফন্দি আঁটে। তখন সে ওল্ভারিন কে বলে পৃথিবী থেকে চাঁদের জন্য বন্য-গোলাপ নিয়ে আসতে, কিন্তু ওল্ভারিন জানতো না যে স্পিরিট এর দুনিয়া থেকে বাস্তব সময়ে আসলে আর ফেরত যাওয়া যাবেনা। এরপর থেকেই আকাশে চাঁদ উঠলেই ওল্ভারিন চাঁদের দিকে মুখ করে আর্তনাদ করতো।
এই পুরো মিথটার উপরে ভর করে সেই সময়ে লোনার তাদের বলা হতো যারা চাঁদের আলোতে এলার্জিক ছিলেন। মানে চাঁদ উঠলেই তারা অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। এখান থেকে লোনেটিক শব্দটা আসে।
ওরে বাবা, চাঁদ নিয়েই এতো বকবক করলাম। খেয়ে কাজ না থাকলে যা হয় আরকি!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩২