বয়ঃসন্ধিতে মানবমস্তিষ্ক সিন্যাপটিক প্রুনিং নামের একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কম ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত সিন্যাপস বন্ধ হয়ে যায়।
বয়ঃসন্ধির আগ পর্যন্ত আমার যে বই পড়ার ক্ষুধাটা ছিল, বয়ঃসন্ধিতে এসে এসএসসি, এইচএসসি, ভর্তি পরীক্ষা, হতাশার অত্যাচারে চূড়ান্ত মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার জায়গা দখল করে ফেইসবুক।
নিউরোসায়েন্সে আমার জ্ঞান এলিমেন্টারি। তারপরও আমার দৃঢ় সন্দেহ, এই সময়টাতেই যেসব নিউরাল সার্কিট্রি বই পড়ার প্লেজার সেন্টারের সাথে জড়িত ছিল, সেগুলোর সিন্যাপসগুলো প্রুনিংয়ের কবলে পড়ে হারিয়ে গেছে, যেহেতু কম ব্যবহৃত ছিল। প্রিন্টেড, পিডিএফ- বিভিন্ন আকৃতিতে অনেক বই পড়ে আছে আমার কাছে। অনেক বইয়েরই প্রথম বেশ কয়েক পাতা পড়ার পর আটকে গেছি, পেটের ভিতর বুকমার্ক নিয়ে সেগুলো আমার অপেক্ষা করছে।
তাই বয়ঃসন্ধিতে যারা আছেন, যাদের ছোট ভাইবোন বয়ঃসন্ধিতে আছে, তাদের প্রতি অনুরোধ অল্প হলেও সময় বের করে বই পড়ুন, অন্যকে উৎসাহ দিন। বই পড়া একটা স্কিল, যেটাকে সারাজীবনভর বিভিন্ন কাজে লাগে।