ঈদের দিন আইলেই খালি নতুন নতুন খাবার খাইবার মুঞ্চায়। ভাবলাম এই বার ফালুদা বানাইতাম। আমার সবসময় মনে হইত কাস্টার্ড আর ফালুদা বুঝি একি। তৈরি করবার সময় বুঝবার পারছি ক্যান এই দুইটা আলাদা।
ফালুদা বানানোর উপকরণঃ
১/ ১ কেজি খাটি (!) গরুর দুধ/ উটের দুধ হলে ভাল হয়
২/ নুডুলসঃ স্যুপের বাটির ১ কাপ
৩/ সাবু দানাঃ স্যুপের বাটির ১/২ কাপ
৪/ জেলোটিন পাউডারঃ ১ প্যাকেট
৫/ আপেলঃ আধা কেজি
৬/ কলা - ৬ টি
৭/ লাল আঙ্গুর - ২০০ গ্রাম
৮/ খোরমা - ২০০ গ্রাম
৯/ চিনি - ১ টেবিল চামচ
১০/ আইসক্রিম - প্রতি বাটিতে ১ চা চামচ
১১/ অন্যান্য - ভ্যানিলা এসেন্স, গোলাপ জল
বানানোর পদ্ধতিঃ
প্রথমে দুধ জ্বাল দিয়ে চার ভাগের তিন ভাগ করতে হবে। জ্বাল দেয়ার সময় চিনি পুরোটাই ঢেলে দিতে হবে। এ ছাড়া জ্বাল দিয়ে নামানোর আগে তিন-চার ফোটা ভ্যানিলা এসেন্স আর গোলাপ জল দিতে হবে
নুডুলস সবটুকু সিদ্ধ করে নিতে হবে। নুডুলস সিদ্ধ করতে পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিয়ে তাতে সবটুক নুডুলস ঢেলে দিতে হবে। সর্বোচ্চ ৫ মিনিট লাগবে সিদ্ধ হতে।
সাবু সবটুকু বাটিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ৫-৭ মিনিট পর নিয়ে সিদ্ধ করতে হবে। ১/২ বাটি সাবু সর্বোচ্চ ১ - ১ ১/২ গ্লাস পানি দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে। সাবু দানা সিদ্ধ হলে তা সাদা থেকে পুরোপুরি স্ফটিক এর মত হয়ে যায়। সিদ্ধ হলে তা পাত্রে নামিয়ে ঠান্ডা করতে হবে।
জেলোটিন পাউডার এর প্যাকেট এর নির্দেশিকা অনুযায়ী জেলোটিন তৈরি করতে হবে। সাধারণত সুপার শপ গুলোতে যে জেলো পাউডার এর প্যাকেট গুলা পাওয়া যায় তার পুরা এ প্যাকেট এক গ্লাস গরম পানিতে গুলে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করতে হবে। কিছুক্ষণ পর আরো এক গ্লাস ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে।
জেলো মিশ্রণ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসলে ফ্রিজ এ রেখে দিতে হবে। ঘন্টাখানেক রেখে দিলে জমাট বেধে যাবে।
এছাড়া দুধ, সাবু সিদ্ধ ও নুডুলস আলাদা পাত্রে ফ্রিজ এ রেখে দিতে হবে।
এর পর ফল গুলা (কলা, আপেল, লাল আঙ্গুর, খোরমা) কেটে আলাদ পাত্রে রাখতে হবে।
পরিবেশনঃ প্রতি বাটিতে শুরুতে কলা আর আপেল কাটা দিতে হবে। এর পর নুডুলস, সাবু সিদ্ধ পরিমাণমত দিয়ে দুধ ৪ টেবিল চামচ দিয়ে তার উপর জেলোটিন কিউব করে কেটে দিতে হবে।
এর উপর লাল আঙ্গুর, খোরমা এবং অন্যান্য রঙ্গিন ফল যেমন বেদানা ২-৩ টুকরা দিতে হবে।
সব শেষে ১ চামচ করে আইসক্রীম দিয়ে দিতে হবে। যেহেতু এটা আমার ফ্রুট ককটেল তাই আমার পছন্দ স্ট্রবেরী আইসক্রীম।
তো হয়ে গেল সাজান। চলুন শুরু করা যাক ঝটপট খাওয়া।