আজ কিছু হতে চলছে..., মনের অগোচরে, চোখের অগোচরে
সব কিছু হযবরল লেগে যাচ্ছে। সবার অগোচরে কিছুতো ঘটে যাচ্ছে। কি সাধ্য আমার প্রকৃতির লীলা বুঝবার? নিজের মাথার মধ্যে, গত তিন দশকের চিন্তা ভাবনা জড়ো হচ্ছে। সারাদিন ঘুমিয়ে এখন ঘুমকে খুঁজে বেড়াচ্ছি!
গানের মধ্যে নিজের প্রানকে ফিরে পাই। ধন্যবাদ আধুনিক যুগের ডিজিটাল কারাসাজীকে।
কি নজরুল, কি আধুনিক, কি রবীন্দ্র সংগীত, সেই পুরানো দিনের বাংলাদেশী ছবির গান, ভারতীয় বাংলা গান, শুরু করেছিলাম মান্নাদের গান দিয়ে ...”খুব জানতে ইচ্ছে...করে.....”
বদলেগেছি আমি, বদলেগেছো তুমি। এখন আর সন্ধ্যা হলে বই নিয়ে আর পড়তে বসি না। ভোর হলে... তোমায় ভেবে ঘুম ভাঙ্গে না। নিঝুম রাতে আর কবিতা লিখি না। এখন আর টেবিলে ডাইরী থাকে না, খুঁজে পাই না লিখার জন্য দোয়াত কলম।
এখন আর ছবি আঁকতে কাগজ আর হরেক রকমের রং পেন্সিল এর দরকার হয় না।
মন আর স্বপ্নে থাকতে চায় না । ভাঙ্গা মনের দেয়ালে আর স্বপ্ন আঁকা যায় না।
“কুড়িয়ে তোমার আচলেতে বেঁধে দিতে চাই... নতুন কোন স্বর্গ দিব কোথায় খুঁজে পাই...?”
সম্ভাবনা ভরা জীবনে যখন দুঃস্বপ্ন নেমে আসে। তখন আপন মানুষ গুলো আর আপন থাকেনা তারা পর হয়ে যায়। ঠিক একটি বৃক্ষের তার সবুজ পাতাগুলো যেভাবে ঝরে যায়। আবার মনের কষ্টগুলো যখন দুচোখ বেয়ে অস্রু হয়ে ঝরে পরে, তখন আমরা মানুষগুলো নিজেদের সম্পর্কের বন্ধন গুলো ভুলে যেতে যাই।
আর এখন নজরুলের গানে ভাসছি...
ভুলি নাই প্রিয়। ভুলি নাই প্রিয়। জীবনের যত ভালো লাগা, ভালোবাসা, যত খুশি, যত হাসি, যত দু;খ, যত অপূর্নতা একে একে স্বপ্নের মত ভাসছে।
এখন চৈত্রের অলস দুপুর না। গায়ে কলংক মাখার দিন শেষ। আজ ভাদ্র। এখনো বাতায়ন খুলে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করি।
আমি পারবো না চাঁদ হতে, পারবো না তোমায় সূর্য্য এনে দিতে। আকাশের গায়ে অনেক মেঘের ছুটোছুটি। সেথায় আমার বসতি কোথায় বলো? মুখে বিরক্তি, কিন্তু হৃদয়ের কিসের এত হাহকার? কথায় এত মায়া, কোথায় লুকাবে বলো? এসো কবির মতো করে বলি,
“সেথা জোসনার আলোরও খনিকা
যেনো সে তোমার প্রেমেরও মনিকা ||
কলঙ্ক সাথে জড়ায়ে রয়েছে
প্রেমের কলঙ্ক সাথে জড়ায়ে রয়েছে
আঁখি ভরে নিড়ও প্রিয় ওও”
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯