বিয়ের একেবারে শুরু থেকেই প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারে যথাযথ ধারনা ও প্র্যাক্টিস একটি সুস্থ্য পরিবার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ - যার ২/১টি কমন বিষয় এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম:
১. অত্যন্ত যত্নের সাথে সচেতনভাবে প্রাইভেট পার্টসএর হাইজিন মেইনটেইন করা।
২. দেহ, পোশাক, ও পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা এবং টাইম সিলেকশনের দিকে খেয়াল রাখা।
৩. স্ত্রীর বিশেষ শারীরিক অসুস্থ্যতার সময়টিকে অবশ্যই অনার করা। দ্য অ্যাক্ট প্রোপার থেকে শুধু বিরত থেকে বরং তখন আরো অনেক বেশি কাছাকাছি থাকা, মেন্টাল সাপোর্ট দেয়া।
৪. প্রথম প্রেগ্নেন্সি প্ল্যানিং এর ব্যাপারে সুচিন্তিত পরিকল্পনা নেয়া। নো ইনডিসিশন/হ্যাসিটেশন। অর্থাৎ প্ল্যান হওয়া উচিত ক্লিয়ার-কাট। কারণ কন্সিভের সময় মাতা-পিতার চিন্তা-ভাবনা এবং দৃষ্টিভঙ্গিও কিন্তু সুক্ষ্ণভাবে সন্তানের মনন ও ভবিষ্যতের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।
৫. সেইফ পিরিয়ড আসলে কখনোই সেইফ না।
৬. প্রথমেই কখনো কোনো ধরনের মেডিসিনে না যাওয়া। এমন কোনো জন্ম-প্রতিরোধক ওষুধ নেই - যা জরায়ুর প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি করে না। তাহলে আপনার পরিবারের প্রথম অতিথির আগমনের জায়গাটিকে আগেই কেন আক্রান্ত হতে দেবেন? বরং শুরুতেই এগুলোর ব্যবহার শিশুর জন্মগত ত্রুটির কারণও হতে পারে!
৭. ব্যারিয়ার (কনডম) ম্যাথডটিই সবচেয়ে কম ক্ষতিকর।
৮. কয়টাস ইন্টাররাপ্টাসও দু'জনের জন্যই অনেক অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে।
৯. আসলে নিজেদের সুবিধা, ক্যারিয়ার ইত্যাদির কথা ভেবে প্রথম বাচ্চাটি আসার আগেই মায়ের দেহে বিভিন্ন ল্যাবরেটরি মেডিসিন ইউজ করে প্রাকৃতিক পরিশুদ্ধতা বিনষ্ট করতে যাওয়া মোটেও ভাল কাজ না বলে মনে হয়। অবশ্য প্রথম বাচ্চার পর স্পেসিং-এ এসব করা দোষের কিছু না - তবুও নন-ফার্মাকোলজিক্যাল ম্যাথড গুলোই সেইফ। বিশেষ করে প্রায় সবধরনের কন্ট্রাসেপটিভ ওষুধই মায়ের হৃদরোগ, হরমোনাল ইম্ব্যালান্স, স্থূলতাসহ অনেক অনেক অসুস্থ্যতার অন্যতম কারণ!
১০. অবশ্যই নিয়মিত সেলফ ব্রেস্ট একজামিনেশনের অভ্যাস করতে হবে।
সুস্থ্য থাকুন। থাকুন সুখে। ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৬