আমি: তোমাদের বাবা কি করতেন?
ওরা: এই তো এইহানে ভ্যানে কইরা শব্জি বেঁচতো, স্যার!
মনে খুব ব্যথা পেলাম। তাই তো! সেজন্যই তো আজ জায়গাটা ফাঁকা লাগছে!
বললাম: তো, লাশ বাড়ি নিতে কত লাগবে?
ওরা: টাক-বারা পাছ-আজার, স্যার।
আমি: কত হয়েছে তোমাদের?
ওরা: তিন আজারের মতো।
আমি কিছু না বলে দু'হাজার টাকা হাতে গুঁজে দিয়ে বললাম:
আর ঘোরাঘুরি করোনা। বাসায় গিয়ে ওকে বাড়িতে নিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করো।
ওরা চলে গেল।
গাড়িতে কিছুটা সময় স্তব্ধ হয়ে রইলাম। ঘটনাটি আমাদের দেশের জন্য এখন আর তেমন কিছুই না। একটু পরই ভুলে গেলাম।
তবে অনেকক্ষণ পর অফিসে টিভির খবর দেখে আবার তা মনে পড়লো।
খবরটা হলো: ডেসটিনি হারুন-রফিকুলের আত্মসমর্পন, জামিন না-মঞ্জুর, জেলে প্রেরণ, রিমান্ড আবেদন ইত্যাদি।
ভাবলাম, যেখানে মাত্র ৫ হাজার টাকার জন্য একদল লোক বাবার লাশ দাফন করতে পারছে না, সেখানে - সেই দেশে - হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে আমাদের শিক্ষিত, দায়িত্বপ্রাপ্ত কথিত সম্মানিতরা!
কি হবে তাঁদের - জানি না।
তবে মনে একটি আবেগী প্রশ্ন অনুভব করলাম:
আমাদের সামাজিক নেতৃত্বের এই অ্যাপারেন্টলি ভালো মানুষগুলো যে কবে অন্তর থেকেই ভালো মানুষ হবে?
[ছবিটি রূপক]