The world has enough for everyone's need, but not enough for everyone's greed. - Mahatma Gandhi
যারা প্র্যাক্টিক্যাল হরর জনরা নিয়ে কাজ করতে চান, তাদের জন্য Tumbbad নিয়ে স্টাডি করা কম্পালসরী । ৫ কোটি রুপি দিয়ে কিভাবে ১০০ কোটির কন্টেন্ট বানানো যায়, সেটা পরিচালক রাহি অনিল বার্ভ এবং তার টিমের অবদান থেকে শেখা যেতে পারে ।
লোভ ব্যাপারটা ভয়ানক । সেটা পিতা থেকে পুত্রে, জেনারেশন থেকে জেনারেশনে বছরের পর বছর ধরে বংশানুক্রমে চলতে পারে । লুপের মত অনেকটা, যার শেষ থাকে না, এই লুপ ভাঙতে গেলে বড় ধরনের মাশুল দিতে হয় ।
গল্প অন্যান্য হরর গল্পের মতই, খুব বিচিত্র কিছু না, তবে এর ভেতরকার দর্শন প্রবল । হিন্দু মিথোলজির উপর ব্যাপক আগ্রহ কাজ করে আমার মধ্যে সবসময় । এখানে ডার্ক ইলেমেন্ট দিয়ে গল্প দাড় করাতে পারলে যেকোনো জনরা দিয়ে দর্শক ধরা যাবে, আর সেটা যদি করে ইন্ডিয়ান কোনো পরিচালক, তাহলে গল্প নিয়ে কারো অভিযোগ থাকার কথা না ।
যদিও ইন্ডিয়ান হরর কোনোদিনও আমার হজম হয় নাই, কিন্তু এই ফিল্ম টা নিয়ে লেখা জরুরী মনে হলো কেনো জানি ।
'ভিনায়ক' এর ন্যারেশন থেকে গল্প শুরু হলেও সেটা পর্দা ভেদ করে অডিয়েন্স হিসেবে আমাকেও ব্যাপক ভাবালো । ছোটবেলার ঠাকুমার ঝুলি'র রহস্যঘেরা গুপ্তধনের গল্পগুলোতে র' ব্যাপারগুলো যদি আপনি ফিল করে থাকেন, তাহলে এই গল্পটাও আপনার কাছে একদম র' মনে হবে ।
আমি এটাকে বলবো, 'আ ভিজ্যুয়াল মাস্টারপিস', টেকনিক্যাল সেন্সে । যখন আপনার হাতে বাজেট কম থাকবে এবং নায়কই প্রডিউসার হিসেবে থাকবে, তখন আপনি পুরো টাকা টেকনিক্যাল পোর্শনগুলোতে ব্যয় করবেন, স্বাভাবিক । এটার ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে ।
প্রথম ইন্ডিয়ান ফিল্ম হিসেবে 'ভেনিস ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল' ঘুরে আসা Tumbbad এর মত আন্ডাররেটেড হরর ফিল্ম লাস্ট ১০ বছরে অন্তত ইন্ডিয়াতে হয়নি, গ্যারান্টি দিয়ে বলবো আমি ।
সবচেয়ে ভালো লাগা দিকঃ
১. সিনেমাটোগ্রাফি
২. প্রোডাকশন ডিজাইন
৩. সাউন্ড এডিটিং, ডিজাইন
৪. ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক
কয়েকটা দৃশ্যে এডিটিং একটু এলোমেলো মনে হতে পারে, তবে সেগুলো গল্পের ভিজ্যুয়াল নির্মানের সামনে এড়িয়ে নিয়ে যেতে পারবেন । বাকিসব ঠিকঠাক আছে ।
Rating: 4/5
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৭