অনেককিছুই চাইতে ইচ্ছা করে, কিন্তু না পাইলে কি অবস্থা হবে, এই ভয়ে চাই না । আচ্ছা একটা জিনিস বলেন, সবকিছুতে লজিক কেনো থাকা লাগবে! কেনো কিছু জিনিস আমরা বেহুদা করি না? ভার্সিটিতে ল্যাব রিপোর্ট না দিলে স্যারেরা মুখ ফিরায় নেন, প্রতিষ্ঠিত হইতে না পারলে সোসাইটি মুখ ফিরায় নেয়, বিয়ের সময় পাত্রীপক্ষরাও মুখ ফিরায় নিবেন (আশা করা যায়) । এসব ব্যাপার কেনো একটা ফিক্সড সিস্টেমে চলে আসতেসে এতগুলা বছর ধরে? কেনো কেউ ভাঙ্গার চেষ্টা করে নাই এতদিন? কাক কালো বলে কেউ তারে পছন্দ না করলেও কাক-ই কিন্তু পরিবেশের আবর্জনা খেয়ে-পরিস্কার করে ভারসাম্য বজায় রাখতেসে, অন্যদিকে কোকিল-টিয়াপাখির পায়খানাও আমাদের কাছে শিল্প মনে হয়, কেনো?
যেখানে রং বিদ্যমান, সেখানে ভেজালও বিদ্যমান । ব্যক্তিগতভাবে আমার সাদা-কালো ভালো লাগে । এত রং আমার ভালো লাগে না, কমপ্লিকেটেড লাগে । আবার একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখেন, যে মানুষগুলা কালো, তাদের জীবনে কমপ্লেক্সিটি কম থাকে তুলনামুলকভাবে । আমি হ্যাংলা-পাতলা একটা ছেলে, আমাকে দেখে কেউ কি কখনো ভাববে, এই ছেলেটার বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে? ভুলেও ভাববে না । এই দিক দিয়ে আমি খুবই আনপ্রেডিক্টেবল, অন্যরকম একটা মজা আছে আমার লাইফে ।
অনেক আগে একটা মেয়ে কে পছন্দ করতাম, কিন্তু মেয়েটা আমাকে পছন্দ করতো না (আমি দেখতে হ্যাংলা, এজন্য নিশ্চয়ই না) । যাই হোক, সাতবছর পর মেয়েটার সাথে ফেসবুকে আবারো যোগাযোগ হয়, কিন্তু এবার সে প্রচন্ড আগ্রহী আমার ব্যাপারে । ফুটবল বিশ্বকাপের সময় মেয়েটার আপলোড দেওয়া রোনালদো'র ছবিতে 'হাহা' রিঅ্যাক্ট দেবার অপরাধে বাংলাদেশী দন্ডবিধি ৩০২ ধারা মোতাবেক, মেয়েটা আমাকে ব্লক করে দেয় । আসলেই বুঝি নাই ব্যাপারটা, এরপর থেকে মেয়েটা আর কখনো নক দেয় নাই । তাহলে সাতবছর পর আবার আমাকে ফেসবুকে খুজে বের করে আগ্রহ-ই বা কেনো দেখালো সে?
ওই যে বললাম, অনেককিছুই আমি বুঝে উঠতে পারি না মাঝে মাঝে । মাথা চক্কর দেয়, অথচ মেয়েটার কথা মনে পড়লে মাথায় চক্কর না দিয়ে বুকে মোচড় দেয়ার কথা ছিলো, আফসোস মেয়েটা ব্লক করে দিলো ।
ছোটবেলা, ক্রিকেট খেলতে গেলাম, 'তুমি এই স্বাস্থ্য নিয়া আর যাই করো ক্রিকেট খেলতে পারবা না'... শুনলাম ক্রমাগত, বুঝলাম । কিছুদিনের মধ্যে টিমের ওপেনিং ব্যাটসম্যান + উইকেট কিপার হলাম । কম্পিউটার সায়েন্সে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পর ফিল্মমেকিং এ প্রোফেশনালী কাজ শুরু করলাম, ভিডিও এডিটিং বেসিক্যালি! বুঝতেই পারতেসেন, পাশের বাসার ভাবি রা কতটা কনফিউজশনে পড়ে গেসিলো । আমার আম্মাকে ডেকে, "ভাবী, ছেলেকে মিডিয়াতে কাজ করতে কেনো দিতেসেন, ওকে ইঞ্জিনিয়ারিং কেনো পড়ান নাই"?... বেচারী রা এই কথাটাও বলতে পারেন না, কারন আমার গ্র্যাজুয়েশন টা ইঞ্জিনিয়ারিং এ। খুব খারাপ লাগে মাঝে মাঝে তাদের জন্য ।
অনেক রাত হয়ে গেসে, ঘুমানো দরকার... এই ব্যাপারটা যেদিন ভাবি, সেদিন রাতেই আমার সবচেয়ে দেরীতে ঘুমানো হয় । রাত জাগা ভালো জিনিস, যদিও সায়েন্স বলে দেরীতে ঘুমালে তাড়াতাড়ি মৃত্যু হয়, আবার ভাবি, এত বছর বেঁচেই বা কি হবে? মরে গেলে আর রাত জাগা হবে না, এটা ভেবেই গা শিউরে উঠে । যাই হোক, শুভ রাত্রি ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৪