পরী,
যেদিন থেকে তুমি হাটবে না, ল্যাম্পোস্টের প্রান্ত ধরে আমি দাড়িয়ে থাকবো । আষ্টেপৃষ্ঠে লেগে থাকা তোমার সেসব আলিঙ্গনে প্রাঞ্জলতা খোজার অভ্যাস টা যেদিন বদলে ফেলতে পারবো, ঠিক সেদিন থেকে এক মুহুর্তের জন্য হলেও তোমার নিঃশ্বাস গুলোকে আমার আর অস্বাভাবিক মনে হবে না ।
নীল রঙে তোমাকে নিয়ে লেখা আমার এই নোটগুলো আর রঙ বদলাবে না, ওগুলো নীল-ই থাকবে । কুয়াশা ওঠা কোনো এক ভোরে আমাদের একসাথে চা খাওয়ার আর কোনো গন্তব্য থাকবে না, সত্যি বলছি ।
বিশ্বাস না হলে তুমি মেঘ গুলোকে একপাশে সরিয়ে রেখে কফির মগে ধোঁয়া ওঠা বাষ্পগুলোর দিকে তাকিয়ে থেকো, উত্তর পেয়ে যাবা ।
ভাবছি, পৃথিবী টা গোল কেনো হলো! কেনো পৃথিবীর কোনো শেষ নেই! কেনো জীবাশ্ম আত্নাগুলো আর ফিরে আসে না! কেনো তোমার-আমার একসাথে বলা কথাগুলো বাতাসে ভেসে রইলো, কেনো কেউ শুনলো না!
ভাবছি, আর ল্যাম্পোস্টের সারি ধরে হাটছি । বাসা থেকে বের হয়েছি আজ, ফিরবো না । ফিরেই বা কি হবে, কেউ তো আর অপেক্ষায় থাকবে না ।
ইতি (নাহ! এ চিঠির কোনো ইতি নেই)
বিক্রমাদিত্য
২৯ শে জানুয়ারী, ২০১৮ ইং।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৫