
সেদিন ছিল হেমন্তের ভরা বিকেল
আমার সামনে মহার্ঘ্য তুমি
আধো লাজে আকাশনীলা সাঁজে
তোমার সৌন্দর্য্যে বিধ্বস্ত হরিণ মন,
এমন ধ্বংসেও আমি ছিলাম ভীষন খুশি।
সোনালী রোদের চিকচিকে আভায়
বিকেলটাকে মনে হয়েছিল সোনালী সমুদ্র
আর সেই সমুদ্র মাঝে কত লাল নীলের বসতি।
আকাশ বুকে আত্মহারা সাদা সাদা মেঘের দল
সুষমায় নাড়া দিয়েছিল তোমার পলিশ গালে।
অতীত সময়ের সব ছিল ধূয়াশাময়
কিন্তূ উচ্ছ্বল ষোড়সী বিকেলের ক্যানভাসে
ছড়ানো ছিল বিশ্বাসের মন বাহারী রং ।
ভালোবাসার বর্ণীল তুলির আঁচড়ে,
একটু একটু করে এঁকেছিলাম জলরংগা ছবি ,
রুপালী ফ্রেমে বেঁধেছিলাম চারুযৌবনা স্বপ্ন ।
সেই সোনাঝরা পড়ন্ত বিকেল দেখে,ঝরেছিল
মন খারাপের শুকনো পাতা,হেসেছিল গোধূলী লগ্ন।
দীপ্তিরুপে তুমি ছিলে দিনশেষের আলোয়।
তোমার দীঘল চুলের সিঁড়ি বেয়ে নেমেছিল
সন্ধ্যাতারার সমান্তরাল আলোক রেখা।
তোমার পূর্ন চোখের আলোয় ছুঁয়েছিলে
আমার ভেতরের মোহগ্রস্ত চাওয়াকে।
হেমন্তের সেই কমলা রংগা বিকেলে....
তোমার উড়ন্ত শাড়ীর আঁচলে জন্মেছিল
যুগে যুগে ফিরে আসার নি:শর্ত অংগীকার।
সেদিন তুমি ছিলে সর্ব শ্রেষ্ঠা সুন্দরীতমা,
তোমার উপমা রক্তগোলাপ ছিল না,ছিল না
শ্বেতপাথরের শুভ্রতা।তোমার উপমা শুধু তুমি।
তোমার বুকে বাসা বেঁধেছিল গাংচিল মন। আর..
আমি মুগ্ধ... তোমার মগ্ধতা আমাকে ঘিরে ছিল।