
মুগ্ধতার অলংকারে জড়ানো সেই তোমাকে
কদিন আগেও দেখেছি শ্রান্ত প্রশান্ত আর স্বচ্ছ
কত অল্পতেই তুষ্টি আর খুশির স্বীকৃতি তোমার
হ্নদয়ে বিচ্ছুরিত সরলতার অমূল্য মধুর দান।
কিন্তূ হঠাৎ তুমি হয়ে গেলে এক নিষাদী মানুষ
এখন তোমাকে দেখলেই আমার বলতে ইচ্ছে হয়
তুমি এক অগ্নিচোখা প্রতিবাদী দূর্বার দেবী
তোমার চোখে অশরীরি আগুনের বৃষ্টি ঝরে
কিছুতেই স্থীরতা নেই প্রতিশোধের নেশায়,
উত্তাল তোমার রক্তআগুন ঝরা প্রতিবাদী দৃষ্টি।
অপরিমান কালোয় কালোয় ছেঁয়ে গেছে আশপাশ,
অপ্রাপ্ত আবদারে পরিপূর্ন মানবতার পত্তনি শব্দমালা
গা ঝেড়ে দিয়ে মাথা চাড়ার মহা উৎসবে মেতেছে
অনাদৃত পাপের যত শক্ত - অশক্ত উপাদান।
এতো সব অনাসৃষ্টির ভীড়ে স্বেচ্ছায় তুলে নিয়েছো
নিস্তারিণীর অবহেলায় পড়ে থাকা যাদুকাঠি,
আমরা শুধু অসহায়ের মতো চেয়ে দেখছি
প্রতারনা আর প্রবন্চনায় ক্ষয়ে যাওয়া মানবতা।
তোমার পরিবর্তন যেন সুন্দর স্বীকৃত হয়,
কষ্টের অশুভ ঘৃনীত রোশ প্রকাশ না করে
দেবীবরের সুষমা শক্তির বাহনে ভর করে
মুক্ত করো অসুস্থ্য আর জরাগ্রস্ত মনুষত্য।
দৃঢ় হাতে প্রতিহত করো ধেয়ে আসা কালাগ্নি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৩